TechJano

আরও বাস্তব ও জীবন্ত হয়েছে করোনাকালে ডিজিটাল বাংলাদেশ: মোস্তাফা জব্বার

ডাক ও টেলিযোগাযোগাগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ১৯৭৩ সালে আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন্স ইউনিয়ন (আইটিইউ) ও ইউপিইউ এর সদস্য পদ অর্জন এবং ১৯৭৫ সালের ১৪ জুন বেতবুনিয়ায় উপগ্রহ ভূ-কেন্দ্র চালু করা ছিলো বাংলাদেশকে ডিজিটাল যোগাযোগ প্রযুক্তি দুনিয়ায় এগিয়ে নেওয়ার সোপান। যুদ্ধের ধ্বংশস্তুপের ওপর দাঁড়িয়েও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এই তিনটি অভাবনীয় দূরদৃষ্টি সম্পন্ন কর্মসূচির মধ্যদিয়ে তথ্য যোগাযোগ বিকাশের বীজ বপন করেছিলেন যা তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে ডিজিটাল আজ বাংলাদেশে রূপান্তর লাভ করেছে। করোনাকালে ডিজিটাল বাংলাদেশ মানুষের জীবন যাত্রায় চরম দুর্ভোগ লাগবে নিরাপদ অবলম্বন হিসেবে রূপান্তর লাভ করেছে।শতশত বছরের পশ্চাৎপদতা অতিক্রম করে গত ১১ বছরে ডিজিটাল দুনিয়ায় বাংলাদেশ নেতৃত্বের জায়গায় উপনীত হয়েছে।

মন্ত্রী আজ মঙ্গলবার ঢাকায় তাঁর দপ্তর থেকে ২৩ জুন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭১তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী এবং ১৯৭৫ সালের ১৪ জুন বেতবুনিয়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক উপগ্রগ ভূ-কেন্দ্র উদ্বোধন উপলক্ষে স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ, ডাক অধিদপ্তর, বিটিসিএল, সাবমেরিন ক্যাবল লিমিটেড, টেলিটক এবং খুলনা টেলিফোন ক্যাবল ইন্ডাস্ট্রিসহ ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের কর্মকতারা এ সময় জুম ভিডিও কনফারেন্সিংয়ে সংযুক্ত ছিলেন।

মন্ত্রী ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন ঢাকার রোজ গার্ডেনে পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগ মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তা ও এর ঐতিহাসিক পেক্ষাপট তুলে ধরে বলেন, জাতির ইতিহাস, তার সংগ্রামের ইতিহাস না জানলে আত্ম পরিচয় জানা হয় না। আওয়ামী লীগের ইতিহাস শোষণ ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ইতিহাস, সাম্য সমাজ প্রতিষ্ঠার সংগ্রামের ইতিহাস।বঙ্গবন্ধু পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে শরীক হয়েছিলেন। কিন্তু ১৯৪৭ সালের আগস্টে প্রতিষ্ঠিত পাকিস্তান তিনি চাননি। তিনি চেয়ে ছিলেন ১৯৪০ সালে লাহোর প্রস্তাবের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত পাকিস্তান। লাহোর প্রস্তাবে দুটি পৃথক রাষ্ট্র গঠনের কথা ছিলো।মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ সেই প্রস্তাব পদদলিত করে যে পাকিস্তান তৈরি করে ছিলেন সেই পাকিস্তানের আমাদের জন্য ছিলো পশ্চিম পাকিস্তানের একটি ঔপনিবেশিক শাসন। এই পরিস্থিতিতে তরুণ শেখ মুজিব ৪৭ সালেই হুল্কার দিয়ে বলেছিলেন আমরা স্বাধীন হবো ‘সোনার বাংলা গড়ে তুলব’। তাঁর এই দৃষ্টি ভঙ্গি পাকিস্তান সৃষ্টির পর থেকে তাঁকে ভিন্ন একটি খাতে প্রবাহিত করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় ৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি তিনি ছাত্র সংগঠ গড়ে তুলেছিলেন। ২৩ জুন আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠার দিনটিতেও তিনি জেল খানায় ছিলেন। পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর ৭১ পর্যন্ত তিনি শাসক গোষ্ঠীর চক্ষুশূল ছিলেন। জেল জুলুম ছিল তার নিত্য সাথী বলে উল্লেখ করেন মন্ত্রী।

তিনি বলেন ‘ঐতিহাসিক দুটি বিষয়ে ডাক অধিদপ্তর দুটি স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত করছে। এই দুটি স্মারক ডাকটিকিট প্রধানমন্ত্রী অবমুক্ত করার কথা। করোনা পরিস্থিতির কারণে তা হয়ে উঠেনি। তার একজন কর্মী হিসেবে এই স্মারক ডাক অবমুক্ত করতে পেরে আমি অহংকার বোধ করছি’।

পরে মন্ত্রী স্মারক ডাকটিকিট দুটি অবমুক্ত করেন।

ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শুধাংশু শেখর ভদ্র এর সভাপতিত্বে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো: নূর-উর-রহমান, অতিরিক্ত সচিব শাহাদাত হোসেন এবং ডাক অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক হারুন উর রশীদ অনুষ্ঠানে ভিডিওতে সংযুক্ত থেকে বক্তৃতা করেন।

Exit mobile version