TechJano

আলোচিত ৬ উদ্ভাবন

হাত নাড়িয়ে ড্রোনকে নিয়ন্ত্রণ করার মতো প্রযুক্তি যখন হাতের কাছে চলে এসেছে তখন এ বছরের সেরা উদ্ভাবনগুলোকে আলাদা করা সত্যিই কঠিন কাজ বটে! ডিজেআই স্পার্ক ড্রোনের অপারেটিং সিস্টেমের তথ্য হয়তো আপনার জানা নেই, কিন্তু হাতের ইশারা কিন্তু ঠিকই ধরে ফেলছে অত্যাধুনিক এ উদ্ভাবন। আমাদের সামনে প্রযুক্তি উদ্ভাবনের এক সম্ভবনার দুয়ার খুলে ধরেছে।এ বছর ছিল জনপ্রিয় পণ্য আমাজনের কণ্ঠস্বর চিনতে পারা ইকো স্পিকার, আমাজন, সনোস গুগলের ভয়েস কম্পিউটিং ফিচার, স্পার্কের জেশ্চার কন্ট্রোল কনজুমার ডিভাইসের চমক দেওয়ার বছর। ড্রোনে যদি সেন্সর বসে তবে টিভি, স্মার্টফোন কি আর বাদ যাবে? এ ক্ষেত্রগুলোর ছিল চমকে ঠাসা। তবে কিছু উদ্ভাবন সত্যিই বিশ্বকে নাড়া দিয়ে গেছে। চলুন ফিরে দেখি এ বছরের প্রযুক্তি উদ্ভাবনগুলো:

উড়ুক্কু গাড়ি বাস্তবতার পথে

চট-জলদি কোথাও যাওয়া দরকার। কিন্তু যানজটের কারণে রাস্তায় আটকে আছেন। এ অবস্থায় রাস্তা দিয়ে গন্তব্য সময় মতো যাওয়া সম্ভব নয়। ওই সময় মনে হতে পারে, এমন একটি বাহন দরকার যা দিয়ে একই সঙ্গে রাস্তায় চলতে পারবে আবার আকাশেও উড়তে পারে। আপনার ওই চিন্তার সফর বাস্তবায়ন হয়েই গেছে। উড়ুক্কু গাড়ি কবে আসবে? বছর জুড়ে এ আলোচনা শুনেছেন। কিটি হক ফ্লায়ারের মতো উড়ুক্বু গাড়ি কেনার সময় হয়তো এ বছর আসেনি তবে শিগগির হয়তো উড়ুক্কু গাড়ি হাতের নাগালে চলে আসবে। এ বছর গুগলের সহ–প্রতিষ্ঠাতাদের কাছ থেকে উড়ুক্কু নৌকার মতো এক ধরনের গাড়ির কনসেপ্ট এসেছে। বিশাল এক ড্রোনের মতো উড়ুক্কু যান। ল্যারি পেজ বলেছিলেন ২০১৭ সালে বাজারে আসবে এটি। অবশ্য বাজারে আসার তারিখ ঠিক মেলেনি। তবে ইউটিউবে এ যানটির ভিডিও দেখা হয়েছে ৩০ লাখ বার। তবে শুধু কিটি হক নয় এবছর উবার, টয়োটার মতো প্রতিষ্ঠান উড়ুক্কু গাড়ির ঘোষণা দিয়েছে। আগামী তিন বছরের মধ্যে উড়ুক্কু গাড়ি বাজারে আনতে চাইছে প্রতিষ্ঠানগুলো।

স্বয়ংক্রিয় গাড়িতে যাত্রী পরিবহন

এ বছর উদ্ভাবনী প্রযুক্তিক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি শোনা গেছে স্বয়ংক্রিয় গাড়ির কথা। গাড়ি নির্মাতা ও প্রযুক্তি উদ্ভাবনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো তুমুল আগ্রহ নিয়ে নেমে পড়েছে এ খাতটিতে। তবে এক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় পদক্ষেপ নিয়েছে গুগলের স্বয়ংক্রিয় গাড়ি নির্মাতা বিভাগ ওয়েমো। এর পাশাপাশি জেনারেল মোটরসের পক্ষ থেকে রাইড শেয়ারিং সেবা দেওয়ার ঘোষণা এসেছে। ২০১৯ সালে স্বয়ংক্রিয় গাড়ির মাধ্যমে এ সেবা দেবে প্রতিষ্ঠানটি।

মানুষের জন্য মাইক্রোচিপ

আপনার পছন্দ হোক না নাহোক, একটি প্রতিষ্ঠান তার কর্মীদের শরীরে মাইক্রোচিপ বসিয়েছে এ বছর। এর উদ্দেশ্য হচ্ছে কর্মীদের সহজে শনাক্ত করা। সুইডেনের একটি প্রতিষ্ঠান এ মাইক্রোচিপ তৈরি করেছে। শ্রমিকদের হাতের বুড়ো আঙ্গুল এবং তর্জনীর মাঝের একটি স্থানে মাইক্রোচিপ বসানো হয়। এই মাইক্রোচিপের ফলে শ্রমিকদের প্রতিদিন অনেক ছোটোখাটো উপাদান বহন করার ঝামেলা করতে হচ্ছে না। দরজা খোলা, প্রিন্টার অপারেট এবং ফলের জুস কেনার মতো কাজগুলো স্রেফ হাতের ইশারাতেই করা যাচ্ছে।শরীরে প্রতিস্থাপন করায় কোনো ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা না থাকায় একে নিরাপদ বলে গন্য করা হচ্ছে। এর মধ্যে থাকা চিপের মধ্যে কোম্পানি খুব সহজেই জানতে পারে তাদের শ্রমিকরা কখন কাজে আসলো কিংবা কোথায় অবস্থান করছেন। ২০১৮ সালে এর ব্যবহার আরও বাড়ানোর চিন্তা করছে প্রতিষ্ঠানটি।

অ্যানিমেটেড ইমোজি

এ বছর আইফোন টেনের সঙ্গে অ্যানিমেটেড ইমোজির পরিচয় করিয়ে দিয়েছে অ্যাপল। পোষাপ্রাণীদের ইমোজি জন্য এ নাম।  যাকে তারা বলছে ‘অ্যানিমোজি’। অ্যাপলের নতুন ফেসিয়াল রিকগনিশন (চেহারা শণাক্তকরণ) সফটওয়্যার ব্যবহার করে যেকোনো চেহারাকে অ্যানিমেটেড ইমোজিতে রূপান্তর করা যাবে। যা মুখের অভিব্যক্তি প্রকাশ এবং কথা বলতে পারে। ১২ ধরনের অ্যানিমোজি প্রকাশ করা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে বানর, পান্ডা, এলিয়েন ও শিয়াল।

এজ টু এজ ডিসপ্লে

এ বছর বেশি দেখা গেছে এজ–টু–এজ ডিসপ্লে। অ্যাপল, স্যামসাং, এলজি, গুগলসহ অনেক ফোন নির্মাতা তাদের স্মার্টফোনে এজ–টু–এজ ডিসপ্লে ব্যবহার করেছ। এতে বড়মাপের ফোন ছাড়াই বড় ডিসপ্লে পান ব্যবহারকারী। নতুন আইফোনের অল-স্ক্রিন ডিজাইন এবং এজ-টু-এজ ডিসপ্লেচমক সৃষ্টি করেছে।

ভয়েস

এ বছর গ্যাজেটগুলো যেন কথা বলা শিখেছে। আমাজন, অ্যাপল, গুগল তাদের পার্সোনাল অ্যাসিসটেন্ট ব্যবহার করে নতুন ট্রেন্ড শুরু করেছে। গুগল অ্যাসিসট্যান্ট, অ্যালেক্সা, সিরির চেয়ে আর কি ভালো উদাহরণ হতে পারে?

 

 

 

 

 

 

 

Exit mobile version