গ্রাহকদের জন্য ই-নিবন্ধন বা ইলেকট্রনিক রেজিস্ট্রেশন সেবা নিয়ে এলো বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় ডিজিটাল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান গ্রামীণফোন। আজ গুলশানের জিপি লাউঞ্জে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই ব্যবস্থাটি মিডিয়ার কাছে তুলে ধরা হয়। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) মহাপরিচালক সিস্টেমস এন্ড সার্ভিসেস, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শাহরিয়ার আহমেদ, বিজিবিএমএস, এনডিসি, পিএসসি এই অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন । গ্রামীণফোনের ডেপুটি সিইও ও সিএমও ইয়াসির আজমান এবং সিসিএও মাহমুদ হোসেন এসময় উপস্থিত ছিলেন।
ই-নিবন্ধন একটি কাগজবিহীন সিম নিবন্ধন প্রক্রিয়া যেখানে গ্রাহকদের নতুন সিম কেনার জন্য ছবি কিংবা কোনো আইডি (জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স) দিতে হবে না। গ্রাহক সিম বিক্রেতাকে শুধুমাত্র তার নাম, আইডি নম্বর, জন্মতারিখ, বর্তমান ঠিকানা ও আঙুলের ছাপ দেয়ার মাধ্যমেই নতুন সিম কিনতে পারবেন। এছাড়াও, গ্রাহককে গ্রাহক আবেদন পত্রও (এসএএফ) পূরণ করতে হবে না। এই প্রক্রিয়ায় গ্রাহকদের ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তা আরো জোরদার হবে।
এ নিয়ে গ্রামীণফোনের ডেপুটি সিইও ও সিএমও ইয়াসির আজমান বলেন, ‘এই উদ্যোগ একটি নির্দিষ্ট ব্যবস্থার মাধ্যমে আমাদের গ্রাহকদের জীবনকে সহজ করার পাশাপাশি, টেলিযোগাযোগ ইকোসিস্টেমের ডিজিটালকরণকে আরো সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবে। তাছাড়া, দীর্ঘমেয়াদে এটা পরিবেশ সংরক্ষণেও ইতিবাচক অবদান রাখবে।’
প্রাথমিকভাবে, ই-নিবন্ধন প্রক্রিয়া শুধুমাত্র নতুন সিম বিক্রির ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে। ধীরে ধীরে এ প্রক্রিয়া মালিকানা হস্তান্তরসহ (গ্রাহক ও করপোরেট), দ্বৈত দাবি, মৃত্যুর মামলা নিষ্পত্তি, এমএনপি এবং ঠিকানা পরিবর্তন প্রভৃতি ক্ষেত্রেও কার্যকর হবে।
এ সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াই গ্রাহক সম্পন্ন করতে পারবেন সম্পূর্ণ বিনামূল্যে। তবে, নতুন সংযোগের দাম কিংবা প্রাসঙ্গিক সার্ভিস চার্জ প্রযোজ্য হবে। কোন বায়োমেট্রিক তথ্য যেমন জন্ম তারিখ বা আ্ংগুলের ছাপ, এনআইডি/স্মার্ট কার্ডের সাথে না মিললে সিম সক্রিয় হবে না এবং নিবন্ধিতও হবে না।