TechJano

ই-কমার্সের প্রসারে নেট-নিউট্রালিটির দাবি

রাজধানীর বেসিস সফটএক্সপো প্রদর্শনীতে বৃহস্পতিবার ২২ ফেব্রুয়ারি বিআইসিসি’র উইন্ডিহলে ‘নেট নিউট্রালিটি’ বিষয়ে সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও আইসিটি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।বিশেষ অতিথি ছিলেন ড. শাহজাহান মাহমুদ, চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ টেলি কমিউনিকেশন্স রেগুলেটরি কমিশন(বিটিআরসি)।
এ বিষয়ে মূল বক্তব্য রাখেন ড. এম রোকনুজ্জামান, অধ্যাপক, তড়িৎ ও কম্পিউটার প্রকৌশল বিভাগ, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়। ।তিনি বলেন, সাধারণত কোন ধরনের প্লাটফর্ম প্রদানকারী যদি ওই প্লাটফর্মের সব সেবা সরবরাহ করে তাহলে একই প্লাটফর্মের অন্য সেবা সরবরাহকারীরা কি ন্যায্যভাবে প্রবেশ করতে পারবে? টেলিকম ক্ষেত্রে এই উদ্বেগকে মূলত ‘নেট নিউট্রালিটি’বলা হয়।
নেট নিউট্রালিটি নিশ্চিত করার জন্য মোবাইল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে প্রেরণ করা সব ইলেকট্রনিক যোগাযোগ সমান ভাবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে। সুতরা ই-কমার্সে এমএন ও অনুমোদন করে, নানান প্রতিযোগিতা বিরোধী কৌশল যেমন প্রতিদ্বদ্বীদের আগমন রোধ করার মাধ্যমে এবং আরও বিভিন্ন আইন অনুমোদন করে নেট নিরপেক্ষতা নিশ্চিত হয়ে থাকে, এটাই স্বাভাবিক।  ইন্টারনেট প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান যদি ই-কমার্স বা এফ কমার্সে যুক্ত হয় তবে সত্যিকারের ই-কমার্স সেবা প্রদান করছে তাদের জন্য বিষয়টি চ্যালেঞ্জিং।  কারণ ইন্টারনেট সেবা দানকারীদের ক্রেতা সন্তুষ্টি সাধারণ ই-কমার্স সেবাদান কারীদের চেয়ে বেশি।  যেহেতু ইন্টারনেট গতি এবং অন্যান্য বিষয়ের নিয়ন্ত্রণ তাদের হাতেই থাকে। ফলে বাজার প্রতিযোগিতায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের জন্য আরো চ্যালেঞ্জিং।  এজন্য নেট নিউট্রালিটির বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ।
তবে এ ধরনের সমস্যা সমাধানের জন্য নীতিমালা ব্যবহার নিয়ে আলোচনা হতে পারে।  তবে তথ্য অস্থিতিশীলতার কারণে অনিয়মিত আচরণ পর্যবেক্ষণ করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের চেয়ে স্বার্থের সংঘাত হ্রাস করা আরও কার্যকরী হতে হবে।এখানে সরকারি এবং নীতি নির্ধারকদের হস্তক্ষেপ জরুরি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও আইসিটি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, ইন্টারনেট হলো ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার মূল ভিত্তি।  ইন্টারনেট ন্যায্যতার দাবি সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে ই-কমার্সে ও প্রসারে। আমরা বিটিআরসিকে নতুন ভাবে সাজাতে কাজ করছি। আশা করি, এ বিষয়গুলো বিবেচনা করা হবে।
Exit mobile version