তথ্যপ্রযুক্তির নেতিবাচক বিষয়গুলোতে তরুণরা অন্যদের চেয়ে তুলনামূলকভাবে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এ থেকে রক্ষায় সচেতনতার বিকল্প নেই। সহিংস উগ্রবাদ ও সাইবার অপরাধ সচেতনতায় শিক্ষকরা এগিয়ে আসা উচিত। তাহলে তাদের মাধ্যমে তরুণরা বিষয়গুলোর ভালো-মন্দ বুঝতে পারবে। সরকার স্কুল কলেজের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়েও সচেতনতামূলক কার্যক্রমের দিকে নজর দিচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের জন্য ‘সাইবার অপরাধ সচেতনতা ও সহিংস উগ্রবাদ প্রতিরোধ’ বিষয়ক কর্মশালায় এসব কথা বলেন সরকারের তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের কন্ট্রোলার অব সার্টিফাইং অথরিটিজের (সিসিএ) নিয়ন্ত্রক (যুগ্ম সচিব) আবুল মানসুর মোহাম্মদ সারফ উদ্দিন।
শুক্রবার রাজধানীর প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ মিলনায়তনে কর্মশালার আয়োজন করে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সাইবার ক্রাইম অ্যাওয়ারনেস (সিসিএ) ফাউন্ডেশন। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের ‘সম্প্রীতি’ প্রকল্পের পৃষ্ঠপোষকতায় এই আয়োজন হয়। সরকারি-বেসরকারি সাতটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কর্মশালায় অংশ নেন।
একেএম নজরুল হায়দার বলেন, প্রযুক্তি ব্যবহারে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। এর সঙ্গে তৃণমূল থেকে সব শ্রেণী-পেশার মানুষের মধ্যে সচেতনতামূলক কার্যক্রমও জোরদার করা উচিত।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃতত্ত্ব বিভাগের সহকারি অধ্যাপক রাশেদা রওনক খান বলেন, সন্তানের ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহারের বিষয়ে বাবা-মা-অভিভাবকদের সচেতনতা খুব জরুরি। প্রযুক্তিকে আসক্তির পর্যায়ে নয় বরং প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যবহারের দিকে সবার দৃষ্টি দেয়া উচিত।
কর্মশালায় সাইবার অপরাধ ও সহিংস উগ্রবাদ বিষয়ে আলোচনা করেন সিসিএ ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা তথ্যপ্রযুক্তিবিদ একেএম নজরুল হায়দার ও সাইবার নিরাপত্তা গবেষক-প্রশিক্ষক মেহেদী হাসান। সঞ্চালক ছিলেন সংগঠনের সভাপতি কাজী মুস্তাফিজ।