TechJano

একগুচ্ছ প্রযুক্তি জায়ান্ট মার্কিন আইনপ্রণেতাদের তোপের মুখে

আগামী ৩ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রযুক্তি জায়ান্টগুলোকে নিয়ে এক ভার্চুয়াল শুনানির আয়োজন করেছিল হাউজ প্যানেল। মূলত ডিজিটাল প্লাটফর্ম ব্যবহার করে মার্কিন নির্বাচনে বিদেশী প্রভাব রুখতে এবং নিরাপত্তার বিষয়ে কী ধরনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, তা জানতে ফেসবুক, গুগল ও টুইটারের মতো প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের নিয়ে এ শুনানির আয়োজন করা হয়। যেখানে আইনপ্রণেতাদের তোপের মুখে পড়েছেন প্রযুক্তি জায়ান্টগুলোর শীর্ষ কর্মকর্তারা।

হাউজ অব রিপ্রেজেনটেটিভস ইন্টেলিজেন্স কমিটিকে ফেসবুক ও টুইটারের শীর্ষ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অনুপস্থিত ভোটিং বা সাম্প্রতিক বর্ণবৈষম্যবিরোধী বিক্ষোভ এবং পুলিশি কার্যক্রম নিয়ে কথোপকথনে তাদের প্লাটফর্মে বিদেশী হস্তক্ষেপের কোনো প্রমাণ মেলেনি।

ভার্চুয়াল শুনানিতে ফেসবুকের অ্যালগরিদম মেরুকরণমুখী প্রচার চালাচ্ছে এ বিষয় নিয়ে প্রতিষ্ঠানটি কী পদক্ষেপ নিচ্ছে, তা জানতে ফেসবুকের নিরাপত্তা নীতিমালা প্রধান নাথানিয়েল গ্লেইশারকে চাপ দেন ডেমোক্র্যাট প্রতিনিধি জিম হাইমস। দিসি বলেন, এখন যদি প্রতিটি মার্কিন বসতি বিষাক্ত, বিস্ফোরক গ্যাস দিয়ে পরিপূর্ণ হয়, যা আমি মনে করি এখন রয়েছে, তাহলে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড ঘটাতে রাশিয়া বা ইরান বা উত্তর কোরিয়া বা চীন থেকে একটি দেয়াশলাইই যথেষ্ট।

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পোস্ট প্লাটফর্মে অনুমোদন দেয়ার বিষয়ে দুই পথে এগিয়েছে ফেসবুক ও টুইটার। সম্প্রতি তাই কনটেন্ট মডারেশন নিয়ে বিতর্কও বেড়েছে। এ বিষয় নিয়েও শুনানিতে গ্লেইশারকে চাপ দিয়েছে হাউজ প্যানেল। পোস্ট নিয়ে বিতর্কের জেরে সামাজিক মাধ্যমগুলোর সেন্সরশিপ বাতিলের আহ্বান জানিয়েছেন ট্রাম্প।

ভার্চুয়াল শুনানিতে মার্কিন কমিউনিকেশনস ডিসেন্সি অ্যাক্টের ২৩০ ধারায় পরিবর্তন আনার বিষয়ে জানতে চাইলে গ্লেইশার বলেন, কংগ্রেস পরিবর্তন আনলে তারা আইন মেনে চলবে। ওই আইনের ২৩০ ধারায় বলা আছে, পারস্পরিক প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করে কম্পিউটারভিত্তিক এমন কোনো সেবাকে প্রকাশক হিসেবে বিবেচনা করা যাবে না এবং সেখানে অন্য সেবা বা তথ্যদাতার প্রকাশিত তথ্যের জন্য ওই সেবাকে দায়ী করা যাবে না। মূলত এ ধারার কারণেই ফেসবুক বলতে পারছে যে ডোনাল্ড ট্রাম্পের কোনো পোস্টে মিথাচার থাকলেও তারা সেটি রেখে দেবে।

গুগলের আইন প্রয়োগ এবং তথ্য সুরক্ষা বিভাগের পরিচালক রিচার্ড সালগাদোর কাছে হাউজ প্যানেলের দাবি, স্বচ্ছতার অভাবে গুগল সমালোচনা এড়িয়ে যাচ্ছে। জবাবে সালগাদো বলেন, প্লাটফর্মের বিজ্ঞাপনের বিষয়ে গুগল স্বচ্ছতা প্রতিবেদন প্রকাশ করে।

Exit mobile version