TechJano

এটিএম বুথে জাল নোট পেলে যা করবেন

অনেকেই এখন নিজের কাছে বেশি টাকা রাখেন না। এর অন্যতম কারণ খুব সহজেই হাতের কাছে এটিএম বুথ পাওয়া যায়। আর বর্তমানে টাকা সংগ্রহের ক্ষেত্রে জনপ্রিয় একটি মাধ্যম এটিএম। কিন্তু বর্তমানে এটিএম বুথ থেকেও জাল টাকা পাওয়া যাচ্ছে। কে, কখন, কোথায়, কিভাবে নকল টাকার পাল্লায় পড়ে যাবেন তা কেউ জানেন না। কেননা সেই মুহূর্তে কেউ এর সাক্ষী থাকে না। কোনো এটিএম বুথ থেকে জাল বা অচল নোট বের হলে সে ক্ষেত্রে আপনি কি করবেন?

এটিএম-এ নকল নোট রোধ করতে বিভিন্ন ধাপে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়। তাও যদি আসে তখন গ্রাহককে বিপাকে পড়তে হয়। কেননা বিদেশে এটিএম রিসিপ্টে কারেন্সির নম্বর উল্লেখ থাকে, কিন্তু বাংলাদেশে শুধু কত টাকা তোলা হচ্ছে তার অ্যামাউন্টই উল্লেখ থাকে।এ টিএম থেকে টাকা বের হওয়ার পর গ্রাহকের প্রথম কাজ হচ্ছে- এটিএম বুথে দাঁড়িয়েই যাচাই করা। নিশ্চিত হতে হবে যে, নোট আসল এবং ব্যবহারযোগ্য কি না।

কোনো এটিএম বুথ থেকে জাল বা অচল নোট বের হলে সে ক্ষেত্রে আপনি কি করবেন?

১. নোটটি যদি সন্দেহজনক মনে হয় তাহলে প্রথমেই নোটটি সিসিটিভি-র সামনে ধরা উচিৎ, যাতে স্পষ্ট বোঝা যায় যে নোটটি এটিএম-থেকেই পাওয়া গিয়েছে ।যদি সিসিটিভি ক্যামেরা না থাকে, কিংবা খুঁজে না পাওয়া যায়, তাহলে জাল বা অচল নোটের বিষয়টি বুথের গার্ডকে জানান।

২.সঙ্গে সঙ্গে এটিএম-এ যে নিরাপত্তারক্ষী আছেন তার কাছে নোটের ডিটেলস দিয়ে অভিযোগ দায়ের করে রাখা শ্রেয়। এতে নোটটি এটিএম থেকে কোন সময়ে বেরিয়েছে, তা স্পষ্ট হবে।

৩. যদি বুথের ভিতর কোনো হেল্প লাইন নম্বর থাকে তাহলে সেখানে ফোন করেও বিষয়টি জানানো উচিত।

৪.পাশাপাশি যে ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট আছে সেখানেও সঙ্গে সঙ্গে অভিযোগ জানিয়ে রাখতে হবে। প্রয়োজন হলে রিজার্ভ ব্যাংকেও। এছাড়া পুলিশের কাছেও অভিযোগ দায়ের করতে হবে।

তদন্ত চলাকালীন সিসিটিভি ফুটেজই প্রমাণ করবে নোটটি এটিএম থেকে বেরিয়েছে। প্রমাণ দেবে নিরাপত্তারক্ষীর কাছে জমা হওয়া অভিযোগও। একই সঙ্গে ব্যাংকও জানাবে যে গ্রাহক, এই অসুবিধার কথা জানিয়েছেন।

Exit mobile version