কোভিড-১৯ মহামারিকালীন সময়ে হাসপাতাল বা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পৌঁছতে এবং হাসপাতাল বা স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে বাসায় ফিরে আসতে চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, হাসাপতালের সাথে সংশ্লিষ্ট কর্মী এবং রোগীদের জন্য বিশেষ যাতায়াত ব্যবস্থা OBHAISheba™এর উদ্যোগ নিয়েছে জনপ্রিয় রাইড শেয়ারিং সার্ভিস ওভাই।
বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের আর্থিক, সামাজিক এবং চিকিৎসাক্ষেত্রেও কোভিড-১৯ ভাইরাসের নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে । বিশেষ করে, বাংলাদেশে বর্তমানে মহামারিকালীন এই পরিস্থিতিতে রোগী এবং চিকিৎসকদের পক্ষে প্রয়োজনমাফিক যাতায়াত করা কষ্টকর হয়ে পড়েছে। যানবাহনের অপ্রতুলতার কারণে অসংখ্য রোগীর চিকিৎসাসেবা পেতে বিলম্ব হচ্ছে।
নিজ নিজ অবস্থান থেকে সরকার, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠান এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। ওভাই রাইড সেবাভিত্তিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে সবসময় চালক ও যাত্রীদের পাশে থাকার, মানবসেবাকে প্রাধান্য দেওয়ার চেষ্টা করে এসেছে। সেই চেষ্টার সূত্র ধরেই এবার নিজ লোকবল এবং যানবাহনের মাধ্যমে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে পরিচালিত এই লড়াইয়ে অংশ নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
এ ব্যাপারে ওভাই কর্তৃপক্ষ জানান-
“নভেল করোনাভাইরাস বা কোভিড-১৯ আমাদের জনজীবনকে অনেকাংশে স্থবির করে তুলেছে। এসময় নিরাপদ যাতায়াতমাধ্যমের অভাবে চিকিৎসাসেবা গ্রহণ করতে ব্যর্থ হচ্ছেন অনেকেই। চিকিৎসকদের পক্ষেও চিকিৎসাসেবা প্রদান করা কষ্টকর হয়ে পড়েছে।“
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আরো জানান- “বর্তমান পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতেই তাই নিজস্ব লোকবল এবং যানবাহনের মাধ্যমে যাতায়াত ব্যবস্থা OBHAISheba™এর উদ্যোগ নিয়েছে ওভাই। ওভাইয়ের এই প্রচেষ্টা জনদূর্ভোগ থেকে সাধারণ মানুষকে কিছুটা হলেও স্বস্তি দিতে সক্ষম হবে এমনটাই আশা করছে প্রতিষ্ঠানটি”। “
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)র অনুমতিক্রমে সর্বোচ্চ স্বাস্থ্য নিরাপত্তা বজায় রেখে ওভাই জি (সেডান গাড়ি) এবং ওভাই সিএনজির মাধ্যমে জরুরী সেবাব্যবস্থা OBHAISheba™ পরিচালোনা করছে ওভাই। এই ব্যবস্থায় প্রাথমিকভাবে এলাকাভিত্তিক ওভাই হাব তৈরি করে সেখানে চালকদের সুস্থতা নিশ্চিত করার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এছাড়া ওভাই যাত্রী ও চালকদের জন্য হ্যান্ড স্যানিটাইজার, টিস্যু ইত্যাদির ব্যবস্থা করেছে। স্বল্পমূল্যে চালকরা আর পাচ্ছেন মাস্ক, ফেস শিল্ড, গ্লাভস ইত্যাদি ব্যবহারের সুবিধা। বাড়তি নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা হিসেবে রাইড শেষ হওয়ার সাথে সাথেই একজন চালক ওভাই প্রদত্ত জীবাণুনাশক ব্যবহারের মাধ্যমে গাড়িকে জীবাণুমুক্ত করবেন। এজন্য চালকদের বিশেষ প্রশিক্ষণ এবং জীবাণুনাশক সরবরাহ করেছে ওভাই।
OBHAISheba™-র জরুরী যানবাহন ব্যবহারের ক্ষেত্রে ওভাইয়ের নিয়মিত অ্যাপ বন্ধ থাকবে। এক্ষেত্রে একজন যাত্রী রাইড বুক করার জন্য ওভাই কল সেন্টার নম্বর ১৬৬৩৩-তে ফোন করে, ফেসবুক পেইজে (https://www.facebook.com/ObhaiSolutions/) বা হোয়াটসঅ্যাপে (+8801313037546) রাইড বুক করতে পারবেন। রাইড গ্রহণের ২৪ ঘন্টা থেকে সর্বনিম্ন ১ ঘন্টা আগে যাত্রী রাইড বুক করতে পারবেন।
উল্লেখ্য, যাতায়তের বিশেষ এই ব্যবস্থা প্রাথমিকভাবে শুধু ঢাকা মেট্রোপলিটন এরিয়ায় পরিচালিত হলেও আসন্ন সপ্তাহগুলোতে OBHAISheba™ কার্যক্রম ক্রমান্বয়ে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, সিলেট, রাজশাহী, খুলনা, যশোর, বগুড়াসহ বাংলাদেশের অন্যান্য প্রান্তেও ছড়িয়ে দেওয়া হবে। সবাই নিজ নিজ স্থান থেকে একযোগে প্রতিরোধ গড়ে তুললে এবং সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিলে বর্তমান এই পরিস্থিতি খুব দ্রুত স্বাভাবিক হয়ে উঠবে- এমনটাই আশা করছে ওভাই। আর সেই আশাবাদ নিয়েই এবার রাষ্ট্রের সাধারণ নাগরিকের পথচলাকে সহজসাধ্য করে তুলতে OBHAISheba™ জরুরী যাতায়াত সেবা ব্যবস্থার পদক্ষেপ নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
ওভাই পরিচিতি ( www.obhai.com )-
প্রতিটি বাংলাদেশীর জীবনকে আরো একটু সহজ করে তুলতেই নিরাপত্তা, সুরক্ষা এবং তুলনামূলক সহজ মাধ্যম হিসেবে ২০১৮ সালে যাত্রা শুরু করে ওভাই। মোটরবাইক, গাড়ি, সিএনজি এবং ওবোন (নারী ক্ষমতায়নে, নারীদের জন্য ওভাইয়ের বিশেষ শাখা)- বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির মোট ৪ রকমের সেবা রয়েছে। ঢাকা, খুলনা, যশোর, বরিশাল, চট্টগ্রামসহ মোট ২৩টির বেশি শহরে চালু রয়েছে এই সেবা। সাথে আছে ২৪/৭ কল সেন্টারের (১৬৬৩৩) ব্যবস্থা। এছাড়াও, দেশে প্রথম রাইড শেয়ারিং সেবা হিসেবে সেবা গ্রহনকারীদের রিওয়ার্ড পয়েন্ট পাওয়ার জন্য ওভাইমাইলস চালু করেছি ওভাই। নিরাপত্তার ব্যাপারে নজর রেখে গাড়িতে ভিটিএস সিস্টেম সংযোজন করেছে ওভাই। এতে করে জরুরী অবস্থায় দ্রুত সাহায্য পাবেন ব্যবহারকারীরা।