TechJano

ওয়ার্ল্ড ফ্যামিলি হেলথ প্রফেশনালস ডে উদযাপন করলো প্রাভা হেলথ

প্রাভা হেলথ-এর উদ্যোগে রাজধানীর বনানীতে সম্প্রতি ‘বিশ্ব পারিবারিক স্বাস্থ্য চিকিৎসক দিবস’ (ওয়ার্ল্ড ফ্যামিলি হেলথ প্রফেশনালস ডে) উদযাপিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রাভার প্রতিষ্ঠাতা, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও সিলভানা কিউ. সিনহা, সিনিয়র মেডিকেল ডিরেক্টর ডা. সিমীন এম আখতারসহ মেডিকেল সার্ভিস টিমের অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
দুই বছর আগে প্রাভা বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো ‘পারিবারিক স্বাস্থ্য চিকিৎসক’ ধারণাটিকে সামনে নিয়ে আসে। এই ধারণার মধ্য দিয়ে পারিবারিক স্বাস্থ্য চিকিৎসকদের এমন একটি বিশেষায়িত দলকে বোঝানো হয়, যাদের মধ্যে রয়েছেন পারিবারিক চিকিৎসক, স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ, শিশু বিশেষজ্ঞ, দন্ত চিকিৎসক, চক্ষু বিশেষজ্ঞ, ফিজিওথেরাপিস্ট , পুষ্টিবিদ, স্বাস্থ্য প্রশিক্ষক, মনোরোগ বিশেষজ্ঞ এবং সেবিকা। বিশেষজ্ঞদের কাছে না পাঠিয়ে চিকিৎসাসংক্রান্ত ৮০ থেকে ৯০ ভাগ বিষয় চিহ্নিত করে সমাধান করতে পারেন পারিবারিক চিকিৎসকরা। ডায়াবেটিসের মতো জটিল ও দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতাগুলো নির্ণয় এবং চিকিৎসা করা ছাড়াও, সময়ানুযায়ী স্বাস্থ্য পরীক্ষা, টিকাদান ও জীবনযাত্রার পরিবর্তনের বিষয়ে পরামর্শ প্রদান করেন তারা। কোনও রোগীকে বিশেষজ্ঞগণের কাছে পাঠানোর প্রয়োজন হলে পারিবারিক স্বাস্থ্য পেশাদাররা তৎক্ষণাত তার ব্যবস্থা করে চিকিৎসা সেবা সমন্বিত করতে সহায়তা করেন।
‘বিশ্ব পারিবারিক স্বাস্থ্য চিকিৎসক দিবস’ উদযাপনের অংশ হিসেবে প্রাভা হেলথ্-এর পক্ষ থেকে বনানীতে একটি র্যা লির আয়োজন করা হয়। পরে প্রাভা ফ্যাসালিটিতে কেক কাটার পাশাপাশি আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রাভার প্রতিষ্ঠাতা, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও সিলভানা কিউ. সিনহা বলেন, ‘যথাযথ স্বাস্থ্য সুরক্ষা আমাদের মৌলিক মানবাধিকার। আমরা ২ বছর আগে যখন শুরু করেছিলাম, আমরা তখন এমন একটা পারিবারিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র প্রতিষ্ঠার কথা চিন্তা করেছিলাম যেখানে পেশাদারিত্ব, দক্ষতা এবং চিকিৎসক আর রোগীদের মধ্যে আস্থার প্রশ্নটি কেবল মুষ্টিমেয়র প্রশ্ন হবে না, বরং দেশের প্রত্যেক নাগরিকের অধিকার হিসেবে বাস্তব আকারে হাজির হবে। প্রত্যেক রোগীই যথাযথ যত্ন আর সম্মানের সঙ্গে চিকিৎসা পাওয়ার অধিকার রাখে। আমাদের পারিবারিক স্বাস্থ্য চিকিৎসকরা স্বাস্থ্যসেবায় রোগীদের অংশ। কেবল রোগী নয়, তাদের গোটা পরিবারের জন্য বিশেষায়িত ও সাশ্রয়ী স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে অঙ্গীকারবদ্ধ। আমাদের লক্ষ্য অব্যাহতভাবে আমাদের রোগীদেরকে বিশ্বস্ত স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করা এবং বাংলাদেশে একটি ব্র্যান্ড আকারে হাজির হওয়া যেন প্রত্যেক বাংলাদেশি তাদের স্বাস্থ্যসুরক্ষায় আমাদের প্রতি আস্থাশীল হন।
ডা. সিমীন বলেন, ‘বাংলাদেশে স্বাস্থ্য সুরক্ষা খাতে মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্য নিয়ে প্রাভার যাত্রা শুরু হওয়ার দ্বিতীয় বর্ষপূর্তিতে সামিল হতে পেরে সম্মানিত বোধ করছি। রোগীদের জন্য সর্বোচ্চ মানের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে নিষ্ঠাবান ও বিশ্বমানের পারিবারিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের নিয়ে গঠিত দলের সঙ্গে কাজ করতে পেরে আমি গর্বিত।’ তিনি আরও বলেন, ‘প্রকৃতপক্ষে আমাদের এখানকার পারিবারিক চিকিৎসকরা প্রত্যেক রোগীকে কমপক্ষে ১৫ মিনিট করে সময় দেন এবং তাদের কথা শোনেন, ভালোভাবে পরিচিত হন এবং তাদের স্বাস্থ্যবিষয়ক ঝুঁকিগুলো বোঝার চেষ্টা করেন। এর মধ্য দিয়ে তারা ভালোভাবে রোগ শনাক্ত করতে পারেন এবং আরও বেশি আন্তরিকভাবে চিকিৎসা দিতে পারেন।
ডা. ফায়সাল রহমান বলেন, ‘সব বয়সের মানুষ ও তাদের পরিবারের জন্য বিস্তৃত পরিসরে চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছে পারিবারিক চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা। পারিবারিক চিকিৎসকরা প্রথমেই বিশেষজ্ঞদের কাছে না পাঠিয়ে রোগীর চিকিৎসা সংক্রান্ত ৮০ থেকে ৯০ ভাগ সমস্যা চিহ্নিত করে সমাধান করতে সক্ষম। পারিবারিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞগণ প্রতিরোধমূলক স্বাস্থ্যসেবার বিষয়ে আমাদের প্রতিষ্ঠানের সাধারণ মূল্যবোধ নিয়ে মত বিনিময় করেন। । প্রাভাতে সত্যিকার অর্থেই রোগীদের কম অর্থ ব্যয় হয় এবং তারা দীর্ঘ ও স্বাস্থ্যসম্মত জীবন উপভোগ করতে সক্ষম হয়।

Exit mobile version