TechJano

ওয়ালটনের ফোনের বড় সুবিধা কি?

এত কম দামে ওয়ালটনের ফোন পাওয়া যায় আবার তাতে থাকে নানা সুবিধা। সবচেয়ে বড় সুবিধা কি? এর উত্তর হচ্ছে ফোনের ব্যাটারি লাইফ। অন্যান্য সব ফিচার তো আছেই। যাঁরা ওয়ালটন ব্যবহার করেন তাঁরা সবাই মানবেন, ওয়ালটন এখন ব্যাটারির রাজা।
দেশে তৈরি ৯৯৯ টাকার ফিচার ফোনটির কথাই ধরুন। ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ ট্যাগ লাগানো ফোনের মডেল ‘ওলভিও এমএম১৭’। দীর্ঘ ব্যাটারি ব্যাকআপ সমৃদ্ধ এই ফোনে ফেসবুক, ইন্টারনেট ব্রাউজিংসহ ভিডিও দেখা বা গান শোনা যাবে নিশ্চিন্তে। গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ওই কারখানা থেকে ইতোমধ্যেই ৬ মডেলের স্মার্টফোন বাজারে ছাড়া হয়েছে। এবার প্রথমবারের মতো দেশে তৈরি ফিচার ফোন ছেড়েছে ওয়ালটন। ডুয়াল সিমের ফোনটিতে ব্যবহৃত হয়েছে ২.৪ ইঞ্চির উজ্জ্বল রেজ্যুলেশনের পর্দা। গ্রাহকের পছন্দমতো গান, ছবি বা ভিডিও সংরক্ষণে ফোনটি ৩২ গিগাবাইট পর্যন্ত মেমোরি কার্ড সাপোর্ট করবে।
নতুন এই ফোনে ব্যবহৃত হয়েছে ১৮০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার লি-আয়ন ব্যাটারি। যা দেবে দীর্ঘ সময় পাওয়ার ব্যাকআপ। অনেক সময় ধরে কথা বলা, টর্চলাইট ব্যবহার, ইন্টারনেট ও ফেসবুক ব্রাউজিং, ভিডিও দেখা বা গান শোনা যাবে নিশ্চিন্তে। রয়েছে পাওয়ার সেভিং মোড।
কল বা মেসেজ নোটিফিকেশনে ব্যবহার করা যাবে টর্চ বা কি-প্যাড লাইট।
বিরক্তিকর ও অনাকাক্সিক্ষত নাম্বার থেকে কল আসা বন্ধ করতে রয়েছে ব্লাকলিস্টের সুবিধা। জিপিআরএস সমৃদ্ধ ফোনটিতে রয়েছে বিল্ট-ইন ফেসবুক। ব্লুটুথ থাকায় ফাইল আদান-প্রদান করা যাবে সহজেই। এতে আছে অটোমেটিক কল রেকর্ডিংয়ের সুবিধাও।
ফোনটির অন্যান্য ফিচারের মধ্যে আছে ডিজিটাল ক্যামেরা, এমপিথ্রি, এমপি ফোর ও থ্রিজিপি প্লেয়ার। রয়েছে রেকর্ডিংসহ এফএম রেডিও, সাউন্ড ও ভিডিও রেকর্ডিংয়ের সুবিধা।
বাংলাদেশে তৈরি এই ফোনে ক্রেতারা পাবেন বিশেষ রিপ্লেসমেন্ট সুবিধা। কেনার ৩০ দিনের মধ্যে যেকোনো ধরনের ত্রুটিতে সাথে সাথে ফোনটি পাল্টে ক্রেতাকে নতুন আরেকটি ফোন দেয়া হবে। এছাড়াও, ১০১ দিনের মধ্যে প্রায়োরিটি বেসিসে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে ক্রেতা বিক্রয়োত্তর সেবা পাবেন। তাছাড়া, এক বছরের রেগুলার ওয়ারেন্টি তো থাকছেই।
এতগুলো সুবিধার চেয়ে ইউজারদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ হল ফিচারফোনে চার্জ কয়দিন যায় সেটাই। ওয়ালটন সেখানে এগিয়ে আছে বলেই মনে করেন ভক্তরা।

Exit mobile version