তথ্য-প্রযুক্তি খাতে বিশ্বের অন্যতম সম্মানজনক পুরস্কার ‘ওয়ার্ল্ড সামিট অন ইনফরমেশন সোসাইটি (ডাব্লিউএসআইএস) পুরস্কার-২০২০’ পেয়েছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অধিনস্ত বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি)। ৯ম এই আয়োজনে ই-এমপ্লয়মেন্ট ক্যাটাগরিতে ন্যাশনাল ডিজিটাল আর্কিটেকচার (বিএনডিএ) টিম তাদের ই-রিক্রুটমেন্ট প্ল্যাটফর্ম (erecruitment.bcc.gov.bd) নিয়ে এই অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছে। ই-এমপ্লয়মেন্ট ক্যাটাগরিতে ফিলিপাইনস্, সৌদি আরব, ইসরাইল ও বাংলাদেশ নমিনেশন পায় এবং বাংলাদেশ চূড়ান্ত বিজয়ী হয়।
গতকাল সোমবার অনলাইনে অনুষ্ঠিত ডাব্লিউএসআইএস ফোরাম অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন্স ইউনিয়নের (আইটিইউ) মহাসচিব হাওলিন ঝাও এই ঘোষণা দেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইউএন এসকেপের এক্সিকিউটিভ সেক্রেটারি আর্মিদা সালসিয়া আলিসজাবানা, আইটিইউ থেকে ক্যাটালিন ম্যারিনেসক, ডমিনিক্যান রিপাবলিকের অ্যামব্যাসেডর ক্যাটরিনা ন্যট, ইন্টারন্যাশনাল সিভিল অ্যাভিয়েশন অর্গানাইজেশনের সেক্রেটারি জেনারেল ফ্যাং লিউসহ আরো অনেকে।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এই অর্জনে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। জাতিসংঘের অ্যাওয়ার্ডটি ভবিষ্যতে আরোও বিভিন্ন সফল উদ্যোগ নিতে সবাইকে অনুপ্রাণিত করবে।
আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম বলেন, বাংলাদেশ তথ্য-প্রযুক্তি খাতে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ একটি প্রত্যয়, একটি স্বপ্ন। বাংলাদেশ এর সুফল ইতিমধ্যে পেতে শুরু করেছে। বিসিসির এই অর্জন প্রশংসনীয়।
বিসিসির নির্বাহী পরিচালক পার্থপ্রতিম দেব বলেন, রিক্রুটমেন্ট প্রসেস ম্যানেজমেন্ট সার্ভিসটি বিএনডিএ ফ্রেমওয়ার্কের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে যাতে এটা বিসিসিকে সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ উদ্যোগে অবদান রাখতে সহায়তা করে।
তথ্য-প্রযুক্তি ক্ষেত্রে একটি অন্যতম আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি হিসেবে বিবেচনা করা হয় ডব্লিউএসআইএস অ্যাওয়ার্ডকে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে মানুষের জীবনকে সহজ ও পরিবর্তন আনার জন্য ওয়ার্ল্ড সামিট ফর ইনফরমেশন সোসাইটি কাজ করে যাচ্ছে।
জানা গেছে, ডব্লিউএসআইএসির এই প্রতিযোগিতায় সরকারি, বেসরকারি, সাধারণ নাগরিক, আন্তর্জাতিক সংস্থা ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রকল্প জমা দেওয়া দিয়েছে। বিশ্বের শতাধিক দেশ থেকে পাওয়া আবেদনের থেকে বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় বাছাই ও অনলাইন ভোটিং প্রক্রিয়া শেষে চ‚ড়ান্ত বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়। মোট ১৮ টি ক্যাটাগরিতে আবেদন গ্রহণ করা হয় যেখানে মোট ৭৬২ সাবমিশন থেকে ৩৫৪টি প্রকল্পকে নমিনেশন দেওয়া হয়।
বিসিসি এই ই-রিক্রুটমেন্ট প্ল্যাটফর্মটি মূলত সকল সরকারি সংস্থার জন্য একটি শেয়ার্ড সার্ভিস হিসাবে প্রতিষ্ঠা করেছে। এর মাধ্যমে চাকরির আবেদনকারী তার স্মার্টফোনের মাধ্যমে বাসা থেকেই চাকরিতে আবেদন ও পেমেন্ট করতে পারবেন। এছাড়া, এখানে জব পোস্টিং থেকে আবেদনকারিকে শর্টলিস্ট করা পর্যন্ত সমস্ত রিক্রটমেন্টের যাবতীয় কাজ করা সম্ভব। গত ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে এই সিস্টেমটি ৭০টির বেশি পদে এক লাখ ৭০ হাজার অনলাইন আবেদন প্রসেস করেছে।