TechJano

করোনা সঙ্কটে মানবকল্যাণে নিয়োজিত এনজিও প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে দারাজ

কোভিড-১৯ সংকটকালীন সময়ে দুস্থ ও অভাবীদের সাহায্য করতে আলিবাবা গ্রুপের অঙ্গ সংগঠন দারাজ বাংলাদেশ “হেলপিং আদারস ফ্রম হোম” মূলমন্ত্রে আরো ৪টি এনজিও- এর সাথে ৯ এপ্রিল থেকে একটি ত্রাণ কার্যক্রম শুরু করেছে। উল্লেখ্য, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা বিদ্যানন্দের সাথে ৭ এপ্রিল থেকে ত্রাণ কার্যক্রম শুরু করেছে দারাজ এবং এরই ধারাবাহিকতায় পরবর্তীতে অন্যান্য এনজিও-এর সাথেও কাজ শুরু হয়েছে। মানবসেবায় নিয়োজিত এসব এনজিও এবং দাতব্য প্রতিষ্ঠানগুলো হল- অভিযাত্রিক ফাউন্ডেশন, সাজিদা ফাউন্ডেশন, বন্ধু ফাউন্ডেশন এবং চ্যারিটি রাইট। অনুদান সরবরাহের জন্য প্রতিষ্ঠানটিগুলো আলাদা তহবিল গঠন করেছে যেখানে দারাজের (daraz.com.bd) মাধ্যমে গ্রাহক ও অনুদান দাতারা (১০০ থেকে ৫,০০০ টাকা পর্যন্ত) ক্যাশ টাকা দান করতে পারবেন অথবা দারাজ অ্যাপে রাখা বিভিন্ন রকমের র্যাশন বান্ডেল থেকে (চাল, ডাল, আটা, ময়দা, তেল) ইত্যাদি কিনেও সাহায্য করতে পারবেন। এই ক্ষেত্রে প্রতিটি অনুদানের ৭৫% সমমূল্যের অনুদান গ্রাহকরা প্রি-পেমেন্ট করবেন এবং বাকি ২৫% বহন করবে দারাজ। এছাড়াও এনজিওগুলোতে খাবার/অনুদান পৌঁছে দেওয়ার কাজে নিয়োজিত থাকবে দারাজের (daraz.com.bd) নিজস্ব লজিস্টিক সাপোর্ট বা ভেহিক্যাল ডেক্স (দারাজ এক্সপ্রেস)।
অভিযাত্রিক ফাউন্ডেশন
বর্তমানে বাংলাদেশের বিপুল সংখ্যক মানুষ জাতীয় দারিদ্র্যসীমার অধীনে বসবাস করে। যেহেতু দারিদ্র্য অনাহার সৃষ্টি করে তাই অভিযাত্রিক ফাউন্ডেশনের লক্ষ্য হল দারিদ্র্য বিমোচনের মাধ্যমে স্থায়ীভাবে ক্ষুধার অবসান ঘটান। এই মুহুর্তে, প্রতিষ্ঠানটির ৩,৫০০ স্বেচ্ছাসেবক, ১৫টি কর্পোরেট ডোনার, ১৯০টি শিশু স্পনসর এবং ৪৬৫টি সক্ষম প্রকল্প রয়েছে।
বন্ধু ফাউন্ডেশন
বাংলাদেশে বন্ধু ফাউন্ডেশন একটি দাতব্য যুব সংগঠন যা বিভিন্ন ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে আসা শিক্ষার্থীদের নিয়ে গঠিত। প্রতিষ্ঠানটি তার আয়-উৎপাদক প্রকল্পগুলির মাধ্যমে মানবিক ও অর্থনৈতিক উভয় উন্নয়নের জন্য কাজ করে এবং অর্থনৈতিক সুযোগ তৈরি করে জীবনযাত্রার মান উন্নত করার মাধ্যমে প্রান্তিক স্বল্প

আয়ের গোষ্ঠীর ক্ষমতায়ন করে। এই ফাউন্ডেশনের অধীনে আরও এনজিও কাজ করছে যারা হল- গিভ বাংলাদেশ, শুনতে কি পাও এবং প্রচেষ্টা ফাউন্ডেশন।

সাজিদা ফাউন্ডেশন
সাজিদা ফাউন্ডেশন ১৯৮৭ সালে অনানুষ্ঠানিকভাবে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য একটি ছোট গ্যারেজ স্কুল হিসাবে শুরু হয়েছিল যা বর্তমানে তিন ধরণের হস্তক্ষেপ যথা আর্থিক সেবা, উন্নয়ন কর্মসূচী এবং সামাজিক উদ্যোগের মাধ্যমে মানুষের সেবা করে। ফাউন্ডেশনটি কোভিড-১৯ সংকটকালীন বিভিন্ন কমিউনিটিতে স্থানীয়ভাবে পরিকল্পিত ৪০০ টিরও বেশি হ্যান্ড ওয়াশিং স্টেশন স্থাপন করেছে।

চ্যারিটি রাইট
চ্যারিটি রাইট একটি আন্তর্জাতিক খাদ্য প্রোগ্রাম যা স্কুল ছাত্র-ছাত্রী, পরিবার এবং জরুরী পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্থ সম্প্রদায়ের জন্য নিয়মিত খাবার সরবরাহ করে। এটি ২০১৩ সালে বাংলাদেশে কার্যক্রম শুরু করে এমন পরিবেশ তৈরি করার লক্ষ্যে যেখানে ক্ষুধা মানুষের আর বাধা হিসাবে কাজ করবেনা যা তাদের পূর্ণ বিকাশে পৌঁছাতে সাহায্য করবে।
বিস্তারিত জানতে এবং অনুদান দিতে ভিজিট করুন:
https://www.daraz.com.bd/wow/camp/daraz/megascenario/bd/c…ight-corona?hybrid=1

Exit mobile version