TechJano

কি তৈরি হচ্ছে ওয়ালটন কারখানায়? দেখে এল কৌতূহলী চোখগুলো

ওয়ালটন কারখানায় রয়েছে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও মেশিনারিজ সমৃদ্ধ রেফ্রিজারেটর ও ফিজার, কম্প্রেসর, টেলিভিশন, এসি, মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ-কম্পিউটার, হোম, কিচেন এবং ইলেকট্রিক্যাল অ্যাপ্লায়েন্স প্রোডাকশন লাইন। যেখানে তৈরি হচ্ছে উচ্চমানসম্পন্ন বিভিন্ন প্রযুক্তিপণ্য, যা দেশের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হচ্ছে। এসব প্রযুক্তিপণ্য দেখার সুযোগ পেলেন রিটেইলাররা।
‘টুগেদার উই রেইজ’ স্লোগানে ওয়ালটন মোবাইলের রিটেইলারদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হলো ইন্ডাস্ট্রি ভিজিট। শনিবার (১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৮) গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন হেড কোয়ার্টারে দিনব্যাপী এই আয়োজনে ওয়ালটন মোবাইলের দুই শতাধিক রিটেইলার অংশ নেন।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন ওয়ালটনের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর এবং হেড অব প্রোডাকশন আলমগীর আলম সরকার। তিনি জানান,
স্বাগত বক্তব্য দেন ওয়ালটনের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ইউসুফ আলী এবং ফার্স্ট সিনিয়র অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর মোহসিন আলী মোল্লা। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডিশনাল অপারেটিভ ডিরেক্টর এবং মোবাইল সেলস বিভাগের প্রধান আসিফুর রহমান খান, সিনিয়র অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর মাহমুদুল হাসান, অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর হাবিবুর রহমান, সিনিয়র ডেপুটি ডিরেক্টর মাহবুবুল হাসান প্রমুখ।
রিটেইলারগণ বিশ্বের লেটেস্ট প্রযুক্তি ও মেশিনারিজ সমৃদ্ধ ওয়ালটনের অত্যাধুনিক কারখানায় বিভিন্ন পণ্যের উৎপাদন প্রক্রিয়া পরিদর্শন করেন। তারা বিশেষভাবে ওয়ালটন মোবাইল ফোন উৎপাদন কারখানার বিভিন্ন ইউনিট ঘুরে দেখেন।
ওয়ালটনের অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর এবং মোবাইল ফোন অপারেশন্স অ্যান্ড মনিটরিং (কারখানা) প্রধান ইঞ্জিনিয়ার মো. হাবিবুর রহমান জানান, ওয়ালটন মোবাইল ফোন কারখানার আয়তন ১০ লাখ বর্গফুট। যেখানে কাজ করছেন আড়াই হাজার প্রকৌশলী এবং টেকনিশিয়ান। এখানে রয়েছে আরএন্ডডি, প্রোসেস ইঞ্জিনিয়ারিং, প্রোডাকশন, কোয়ালিটি কন্ট্রোল, সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট, প্লানিং অ্যান্ড ম্যাটেরিয়াল কন্ট্রোল, টেস্টিং ল্যাব অপারেশন্স ইত্যাদি বিভাগ। উৎপাদনে ব্যবহৃত হচ্ছে জার্মানি ও জাপানের প্রযুক্তি।
তিনি বলেন, ওয়ালটন মোবাইল ফোন উৎপাদন কারখানায় যেসব যন্ত্রাংশ তৈরি হচ্ছে সেগুলো হলো, হাউজিং অ্যান্ড কেসিং, চার্জার অ্যান্ড কেবল, ব্যাটারি, পিসিবি অ্যান্ড মাদারবোর্ড ও ডিসপ্লে। বর্তমানে ওয়ালটন কারখানায় পিসিবি, এসএমটি, ব্যাটারি, চার্জার ইত্যাদির পাশাপাশি ৬টি প্রোডাকশন লাইন চালু রয়েছে। দৈনিক উৎপাদন ক্ষমতা ১০ হাজার ফিচার ফোন এবং ৬ হাজার স্মার্টফোন।
ওয়ালটনের অ্যাডিশনাল অপারেটিভ ডিরেক্টর এবং মোবাইল সেলস বিভাগের প্রধান আসিফুর রহমান খান কারখানা পরিদর্শনে আসার জন্য রিটেইলারদের ধন্যবাদ দেন। তিনি জানান, শুরু থেকেই স্থানীয় উৎপাদন লক্ষ্য নিয়ে ২০১০ সালে ফিচার ফোন দিয়ে দেশের বাজারে প্রবেশ করে ওয়ালটন। ২০১২ সালে স্মার্টফোন বাজারে ছাড়ে। ২০১৭ সালে দেশের প্রথম ও একমাত্র প্রতিষ্ঠান হিসেবে মোবাইল ফোন উৎপাদন কারখানা চালু করে ওয়ালটন।
ওয়ালটন কারখানা পরিদর্শনে আসা রিটেইলারগণ জানান, দেশের অভ্যন্তরে এরকম সুবিশাল উৎপাদন কারখানা দেখে তারা অভিভূত। নিজ চোখে ফ্রিজ, কম্প্রেসর, টিভি, মোবাইল ফোন এবং ল্যাপটপ-কম্পিউটারের মতো প্রযুক্তিপণ্যের উৎপাদন প্রক্রিয়া দেখে তারা মুগ্ধ। ওয়ালটন কারখানা পরিদর্শনের সুযোগ দেয়ায় তারা কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ দেন।
অনুষ্ঠানে ওয়ালটন মোবাইলের সেলস নেটওয়ার্কের দশটি অঞ্চলের সেরা রিটেইলার ও ব্রান্ড আউটলেটকে পুরস্কৃত করা হয়।

Exit mobile version