TechJano

গোয়ায় আইসিজিসি ২০১৮ তে অংশ নিচ্ছে গিগাবাইটের ১২ গেমার

এশিয়ার সবচেয়ে বড় আয়োজন ইন্ডিয়ান সাইবার গেমিং চ্যাম্পিয়নশিপ (আইসিজিসি) ২০১৮ তে বাংলাদেশের তিনটি দল অংশগ্রহন করছে বলে জানিয়েছেন গিগাবাইট-এর কান্ট্রি ম্যানেজার খাজা মো: আনাস খান। তিনি বলেন, গিগাবাইট সেই প্রথম থেকেই গেমারদের পরিপূর্ণ সহযোগিতা করার চেষ্টা করে আসছে। এর ধারাবাহিকতায় তাদের এই সাফল্যে আশা করছি তারা চ্যাম্পিয়ন হয়ে বীরের বেশে দেশে ফিরে আসবে।

সোমবার (১০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ধানমন্ডিস্থ বিসিএস ইনোভেশন সেন্টারে ভারতের গোয়ায় অনুষ্ঠিতব্য আইসিজিসি ২০১৮ গেমে অংশগ্রহণকারীদের জাতীয় পতাকা এবং জার্সি প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস) এর সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার সুব্রত সরকার।

তিনি বলেন, ‘দেশের শিক্ষার্থীরা এখন আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বড় বড় গেমিং ইভেন্টগুলোতে অংশগ্রহণ করছে। তাদের সাফল্যও ঈর্ষণীয়। এদেশের ছেলেদের মেধা আছে। যেকোন গেম জিতে আনার দক্ষতাও তারা সমানভাবে অর্জন করছে। তারা দেশের সুনাম বয়ে আনছে। এই গেমারদের আরো সহযোগিতা করা উচিত।

শুধু গেম খেলাতেই নিজেদের সীমাবদ্ধ রাখলে চলবে না জানিয়ে সভাপতি বলেন, ‘তোমাদের গেম তৈরির প্রচেষ্টা নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। বিশ্বমানের গেম তৈরি করে বাংলাদেশের নাম সারাবিশ্বে ছড়িয়ে দেয়ার দায়িত্ব তোমাদের কাঁধে নিতে হবে।’

এসময় বিসিএস মহাসচিব মোশারফ হোসেন সুমন এবং বিসিএস পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান তুহিন বক্তব্য রাখেন।

খাজা আনাস বলেন, দেশে অনেক ধরনের বড় বড় কোম্পানি রয়েছে। যারা এই ই-গেমিং খাতটিতে উঠিয়ে আনতে কাজ করছে না। এটা খুবই দুঃখজনক। আজ এই বাংলাদেশের এই তিনটি দল ইন্ডিয়ান সাইবার গেমিং চ্যাম্পিয়নশিপ-(আইসিজিসি) ২০১৮ তে অংশগ্রহণ করছে এতে দেশের সুনাম হচ্ছে। এজন্য সরকারসহ সবারই এগিয়ে আসা উচিত।

তিনি আরো বলেন, দেশের ছেলেরা ভারতের গোয়াতে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে গেম খেলতে যাচ্ছে, এটি আমাদের জন্য গর্ব। বিজয়ের মুকুট তারা ছিনিয়ে আনবে বলেও আমি বিশ্বাস করি। কম্পিউটার গেমাররা এখন শুধু শখের গেমার নয়, কোটি ডলারের মার্কেট প্লেসের অংশও তারা। একটা সময় দেশে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের ক্ষেত্র হিসেবেও এই সেক্টর সমাদৃত হবে।

তিনি বলেন, এখন দেশে ১১ হাজারের বেশি নিবন্ধিত গেমার রয়েছে যারা লেখাপড়ার পাশাপাশি এই গেম খেলছে এবং বিভিন্ন গেমে পারদর্শী হয়ে উঠেছেন। আমরা চাই, গিগাবাইটের মতো অন্যান্য প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোও গেমারদের স্পন্সর করুক এবং দেশের আরো সুনাম বয়ে আনুক। বিশ্বায়নের এই যুগে গেমিং হবে নিজের দেশকে প্রতিষ্ঠিত করার অন্যতম একটি খাত।

গেমে অংশগ্রহণ করা সিএসবিডি অ্যানোনিমস দলের দলনেতা সুদিপ্ত কুমার মন্ডল বলেন, প্রায় পাঁচ মাস ধরে দুটি অনলাইন কোয়ালিফাই রাউন্ড খেলতে হয়েছে আমাদের। প্রতিটিতে যারা ফাইনাল খেলেছে ওই দুটো টিমই নির্বাচিত হয়েছে। এর মধ্যে গিগাবাইট এর ব্যানারে খেলা একটি দল হলো সিএসবিডি অ্যানোনিমস এবং অন্যটি সিএসবিডি রিভেঞ্জ। দেশের অন্য আরেকটি দলও আছে। এখানে প্রায় ১০০ টিমকে ক্রস করে আমাদের কোয়ালিফাই হতে হয়েছে।

সিএসবিডি অ্যানোনিমাস: লিডার সুদিপ্ত কুমার মন্ডল, রাশেদ ফারহান, সেলিম সাদ্দাম, তাজওয়ার আহমেদ, নাহিয়ান, জয় শাওন।

সিএসবিডি রিভেঞ্জ: দলনেতা জিশান চক্রবতী, রাহতিল ফারহান, সাদ্দাম সাকিব, ফারদিন হাসান, ক্রিশান, প্রিতম।

অন্যদলের নাম, অন্যটি সিএসবিডি রিভেঞ্জ।

উল্লেখ্য, এবারের এই গেমিং চ্যাম্পিয়নশিপে দেশের হয়ে গিগাবাইট অরোজ এর ব্যানারে ৬ জন করে মোট ১২ জন দুটি দলে বিভক্ত হয়ে ভারতের এই গেমিং প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবেন।

১৪ সেপ্টেম্বর ভারতের গোয়াতে এই গেমের উদ্বোধন হবে। ৩ দিন ব্যাপি এই গেমের চূড়ান্ত ফলাফল ১৬ সেপ্টেম্বর নির্ধারণ হবে।

আইসিজিসি ২০১৮ গেমের বিজয়ীরা প্রায় ৮০ হাজার রুপি সম্মাননা পাবেন।

Exit mobile version