TechJano

ঝংকার মাহবুবের পরিচালনায় আয়োজিত হল প্রোগ্রামিং বিষয়ক সেমিনার

সিএনজি হটিয়ে পাঠাও-উবার আসছে। টিভি-রেডিও শেষ করতে
ইউটিউব-টিকটক চলছে। সেই যুগে মান্ধাতার আমলের ঠুকুর ঠুকুর প্রোগ্রামিং শিখলে কি ফিউচার
ঠেকবে? আগামীদিনের প্রোগ্রামিংয়ের চ্যালেঞ্জগুলোকে চোখে চোখ রাঙিয়ে এগুতে হলে- ভবিষ্যতের
প্রোগ্রামারদের আঙুলের ডগায় থাকবে ইফিসিয়েন্ট থিংকিং, চিন্তায় থাকবে লেজার ফোকাসড
টার্গেট, কব্জিতে থাকবে রাইট লার্নিং টুলস। তাহলেই অপ্রোয়জনীয় জিনিসগুলোতে ঠুসা খেয়ে জ্ঞান
হারানোর চাইতে আগামীর জন্য নিজেকে প্রস্তুত করা সম্ভব। সেই ফিউচার আর ফিউচারের জন্য
নিজেকে প্রস্তুত করার নানাবিধ টুলস, টেকনিক আর যত প্রশ্ন, ভয়, সংশয় আছে সেগুলা নিয়ে আজ
বিকেল ৩.০০টায় বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্ক আয়োজন করেছে “লার্ন প্রোগ্রামিং ফর
ফিউচার” শীর্ষক একটি সেমিনার । সেমিনারে বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের প্রোগ্রামিং
জগতের লেখক এবং আমেরিকার শিকাগো শহরে নিলসেন কোম্পানিতে সিনিয়র ওয়েব ডেভেলপার হিসেবে
কর্মরত ঝংকার মাহবুব। আয়োজনটির পৃষ্ঠপোষকতায় ছিল আদর্শ বই।

মোট ৬০ জন প্রোগ্রামিং আগ্রহীদের অংশগ্রহণে রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডের দীপনপুর-এ
সেমিনারটি আয়োজিত হয়। ভবিষ্যতে প্রোগ্রামিং এর অবস্থান এবং এর প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে
আলোচনা করেন ঝংকার মাহবুব। তিনি বলেন, “আজ থেকে ৫/৭ বছর পরে জীবনযাত্রার সকল ক্ষেত্রে
টেকনোলজির ব্যবহার বৃদ্ধি পাবে। এমনকি সৃষ্টিশীলতার সাথেও যুক্ত হচ্ছে টেকনোলজির ব্যবহার।
সেই টেকনলোজির সাথে তাল মিলিয়ে যদি নিজেদের দক্ষতা বৃদ্ধি করা না যায় তবে পিছিয়ে পড়তে হবে”।
তিনি আরও বলেন, “কেউ যদি বেস্ট হয়ে ওই একই জায়গায় আটকে থাকে তবে দ্বিতীয় জন যে সবসময়
নিজের দক্ষতা কে আরও এক ধাপ এগিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছে সে কোন একদিন অবশ্যই তাকে টপকে
যাবে”।

সেমিনারে একটি প্রশ্নোত্তর পর্বের মাধ্যমে প্রোগ্রামিং সংক্রান্ত সকল প্রশ্নের উত্তর দেন
ঝঙ্কার মাহবুব। প্রোগ্রামারদের কর্মক্ষেত্রে একাডেমিক পড়াশুনা কতটা প্রভাব ফেলে প্রশ্নের
উত্তরে ঝংকার মাহবুব বলেন, প্রোগ্রামিং এর দক্ষতাই কর্মক্ষেত্রে যোগদানের প্রধান শর্ত।
প্রোগ্রামিং এর প্রাথমিক বিষয় থেকে শুরু করে কোডিং এর মাধ্যমে সমস্যা সমাধান করতে দক্ষ এমন
কাউকেই বেছে নেয় গুগল, মাইক্রোসফটের মত বড় বড় প্রতিষ্ঠান।
তিনি বলেন, “টেকনোলজি এখন আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের মাধ্যমে আরও বেশী স্মার্ট হচ্ছে।
কিছুদিন পর সকল কাজে রোবট এর ব্যবহার ও বৃদ্ধি পাবে। কিন্তু এই রোবট চালনাতেও দরকার
হিউম্যান ব্রেইন যা প্রোগ্রামিং এর মাধ্যমে রোবট কে কাজে লাগাবে। তাই ভবিষ্যতের উন্নত
টেকনোলজির সাথে নিজেকে খাপ খাইয়ে নিতে উন্নত প্রোগ্রামিং এ দক্ষ লোকবল দরকার”। বর্তমান
থেকে কয়েক বছর এগিয়ে যে চিন্তা করতে পারবে ভবিষ্যৎ পৃথিবীতে তারাই টিকে থাকবে বলে মন্তব্য
করেন ঝংকার মাহবুব। বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্কের সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান বলেন,
প্রোগ্রামিং এর ক্ষেত্রে স্কুল পর্যায় থেকে আগ্রহ ধরে রাখাতে হবে। শুধু শেখার জন্য নয়, সমস্যা
সমাধানে প্রোগ্রেয়ামিং কে কাজে লাগানো হতে পারে ভবিষ্যতের দক্ষ প্রোগ্রামারের জন্য একটি বড়
চ্যালেঞ্জ।

Exit mobile version