বাংলাদেশ ডাক বিভাগের ডিজিটাল লেনদেন “নগদ” ও মুঠোফোন অপারেটর রবি আজিয়াটা লিমিটেড যৌথভাবে ৫ কোটি গ্রাহককে আর্থিক অন্তর্ভূক্তিতে আনার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। এর মাধ্যমে বিশ্বের ইতিহাসে একটি যুগান্তকারী উদাহরণ সৃষ্টি হলো। সম্প্রতি “নগদ” ও রবি-এর মধ্যে এ বিষয়ে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
এই চুক্তির ফলে খুব অল্প সময়ের মধ্যে প্রায় ৬ কোটি গ্রাহক ভিত্তি তৈরি করতে সক্ষম হলো “নগদ”, বিশ্বে এই প্রথম আর্থিক অন্তর্ভূক্তির এই অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করল “নগদ”। এর মধ্য দিয়ে গ্রাহক সংখ্যায় দেশের ১ নম্বর ডিজিটাল আর্থিক সেবা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হলো “নগদ”।
২৬ মার্চ ২০১৯ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে “নগদ”-এর উদ্বোধন করেন। এরপর মাত্র ১০ মাস ১০ দিনে “নগদ” দেশের মানুষের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। এই স্বল্প সময়ে সারা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিস্তৃত হয়েছে “নগদ”-এর নেটওয়ার্ক। ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের (ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়) মাননীয় মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের তত্বাবধানে দেশের মানুষের নির্ভরতার প্রতীক হয়ে ওঠায় খুব অল্প সময়ে দৈনিক ১০০ কোটি টাকা লেনদেনের মাইলফলক অতিক্রম করেছে “নগদ”। এরই মধ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সকল ধরনের উপবৃত্তি, ভাতা ও অনুদান “নগদ’-এর মাধ্যমে বিতরণের জন্য অনুশাসন জারি করেন; যার ফলে সরকারের সকল ভাতা বিতরণ হবে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ডাক বিভাগেরদ “নগদ”-এর মাধ্যমে।
যুগান্তকারী এই উদ্যোগ দেশের নিম্ম ও মধ্যম আয়ের জনগোষ্ঠীকে আর্থিক অন্তর্ভূক্তিতে আনতে সহায়তা করবে। পাশাপাশি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনেও সহায়ক ভূমিকা পালন করবে । এর মাধ্যমে বাংলাদেশে সূচনা হবে ডিজিটাল বিপ্লবের এক নতুন অধ্যায়, যা বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তর করতে সহায়তা করবে।
মানুষের ভালোবাসার প্রতিদান হিসেবে “নগদ” প্রতি হাজার ক্যাশ-আউট চার্জ নিচ্ছে ১৪ টাকা ৫০ পয়সা, যা দেশের সবচেয়ে কম ক্যাশ-আউট চার্জ। এ ছাড়া প্রতি হাজার ক্যাশ-ইনে “নগদ” দিচ্ছে ৫ টাকা ক্যাশ-ব্যাক। এভাবে দেশের সাধারণ জনগণের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে “নগদ” দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে বদ্ধপরিকর।