ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, প্রচলিত ধারায় ব্যবসা-বাণিজ্যের দিন শেষ হওয়ার দ্বারপ্রান্তে। আমরা চতুর্থ শিল্প বিপ্লব যুগে পদার্পণ করেছি। এরই ধারাবাহিকতায় বিদ্যমান প্রচলিত পদ্ধতির ব্যবসা-বাণিজ্য ডিজিটাল ব্যবসা-বাণিজ্যে রূপান্তর হচ্ছে। পাশাপাশি তৃতীয় শিল্প বিপ্লব থেকে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব যুগে প্রবেশের কারণে কায়িক শ্রম নির্ভর পেশা মেধা ভিত্তিক পেশায় পরিবর্তিত হচ্ছে। তিনি বলেন, পরিবর্তিত এই পরিস্থিতিতে ডিজিটাল কমার্স একটি বড় কর্মক্ষেত্র হতে পারে। এই জন্য তরুণদের উপযোগী করে তৈরি করার বিকল্প হতে পারে না।
মন্ত্রী আজ শুক্রবার ঢাকায় ওয়েবিনারে ‘দেশীয় ই-কমার্সের বিকাশে ১৪টি ইক্যাব মেম্বার কোম্পানীর যৌথ প্রচার কার্যক্রম ‘অন-লাইন শপিং উৎসব’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল কমার্সের সফলতার জন্য দরকার আন্তরিকতা, ব্যবসায়িক সততার মাধ্যমে গ্রাহকের আস্হা অর্জন করা। আস্হা অর্জনের উপায় হলো গ্রাহকের সাথে একেবারেই প্রতারণা না করা। যে পণ্য অন-লাইনে দেখাব সেটা গ্রাহককে নিশ্চিত করতে হবে। ইতিবাচক দৃষ্টি ভঙ্গি নিয়ে কাজ করতে পারলে ডিজিটাল কমার্স সম্ভাবনার জায়গায় পৌঁছুতে খুব একটা সময় লাগবে না বলে তিনি উল্লেখ করেন।
মন্ত্রী ডিজিটাল প্রযুক্তি দুনিয়ায় তার ৩৩ বছরের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেন ডিজিটাল কমার্সের জন্য ডিজিটাল প্রযুক্তির গুরুত্ব অপরিহার্য। ডিজিটাল কমার্সের জন্য বিদ্যমান অবকাঠামো পর্যাপ্ত নয়। ছোট উদ্যোক্তাদের ডাকঘর অথবা কোরিয়ার সার্ভিসের ওপর নির্ভর করতে হয়। দেশের বিদ্যমান ডাক ব্যবস্হাকে ডিজিটাল ডাক সেবায় রূপান্তরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গৃহীত কর্মসূচি তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তির বছরটি হবে ডাক ব্যবস্হার ডিজিটালাইজেশন করার বছর। আমরা আমাদের নিজেদের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে বিদ্যমান জনবলকে উপযোগী করে গড়ে তোলার মাধ্যমে ডিজিটাল ডাকঘর উপযোগী করে তৈরি করবো।
মন্ত্রী বলেন, কোভিডকালে দেশে ডিজিটাল কমার্স মানুষের জীবন ধারায় এক অভাবনীয় পরিবর্তনের সূচনা করেছে। ডিজিটাল কমার্স মানুষের জীবনের প্রয়োজনের সাথে ওতপ্রোতভাবে মিশে গেছে। এই অগ্রযাত্রা ধরে রাখতে হবে।
ই-ক্যাব সভাপতি শমি কায়সারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সংগঠনের সহ-সভাপতি আশিকুর রহমান খান শিপনসহ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠানে শমি কায়সার সভাপতির বক্তৃতায় ডিজিটাল কমার্স নীতিমালা প্রণয়ন ও ই-ক্যাব গঠনে জনাব মোস্তাফা জব্বারের অবদান অবিস্মরণী হয়ে থাকবে উল্লেখ করে বলেন, আমাদের অগ্রযাত্রা এগিয়ে নিতে উদ্যোগ নিতে হবে।