TechJano

নগদ অ্যাপ ও ডিজিটাল কেওয়াইসি উদ্বোধন, কি সুবধিা?

সহজে ডিজিটাল আর্থিক সেবা দিতে অ্যাপ ও ডিজিটাল কেওয়াইসি নিবন্ধন প্রক্রিয়া উদ্বোধন করেছে ডিজিটাল আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান নগদ। এত সহযোগিতা করছে বাংলাদেশ ডাক বিভাগ। গতকাল রাজধানীর ওয়েস্টিন হোটেলে এক অনুষ্ঠানে নগদ অ্যাপ ও ডিজিটাল কেওয়াইসি উদ্বোধন করে নগদ কর্তৃপক্ষ।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব অশোক কুমার বিশ্বাস, বাংলাদেশ ডাক বিভাগের মহাপরিচালক সুশান্ত কুমার মণ্ডল এবং নগদের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর এ. মিশুক। এ সময় বাংলাদেশ ডাক বিভাগ ও নগদের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণও উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘দেশের মানুষের সুবিধার্থে বাংলাদেশ সরকার স্বপ্রণোদিতভাবে নানা ধরনের সেবা নিয়ে আসছে। এর ধারাবাহিকতায় এসেছে বাংলাদেশ ডাক বিভাগের সেবা ‘নগদ’। মুক্তবাজার অর্থনীতিতে একচেটিয়া ভেঙে প্রতিযোগিতার জন্য কাজ করবে নগদ।

সুশান্ত কুমার মণ্ডল বলেন, ‘আর্থিক লেনদেন ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে আমাদের একশ’ বছরেরও বেশি অভিজ্ঞতা রয়েছে। দেশজুড়ে ডাক বিভাগের ৯৮৮৬টি ডাকঘর ও এর কর্মী নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ডিজিটাল আর্থিক খাতে দ্রুততা ও কার্যকারিতার সঙ্গে আমরা যেকোনো অনিয়ম মোকাবিলায় প্রস্তুত।’

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, বাংলাদেশের মোবাইলে আর্থিক সেবা সারা পৃথিবীকে চমকে দেওয়ার অবস্থানে পৌঁছেছে। এই সেবার আওতায় প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১ হাজার ২৪ কোটি টাকা লেনদেন হচ্ছে। এতে এক টুকরো কাগজেরও দরকার হয় না। এটাই হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টিসম্পন্ন কর্মসূচি ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল।

মোস্তাফা জব্বার বলেন, মুক্তবাজার অর্থনীতির গতির জন্য প্রতিযোগিতা দরকার। মোবাইল আর্থিক সেবার ক্ষেত্রে ডাক অধিদপ্তরের নগদ গতি সঞ্চার করবে। মন্ত্রী দেশের সার্বিক অগ্রগতির বিভিন্ন সূচক তুলে ধরে বলেন, ‘বাংলাদেশ প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শিল্পবিপ্লবে যুক্ত হতে না পারলেও চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের পথে দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে ২০০৯ থেকে ২০১৯ সালের এই পর্যন্ত বাংলাদেশ প্রযুক্তিতে পিছিয়ে পড়ার জায়গা অতিক্রম করেছে। যেসব দেশ প্রথম তিনটি শিল্পবিপ্লব করেছে, তারাও এখন বাংলাদেশের দিকে নজর রাখছে। ডিজিটাল বাংলাদেশকে অনুকরণ করছে। প্রযুক্তির সর্বশেষ সংযোজন ফাইভজি পৃথিবীকে নতুন করে ভাবিয়ে তুলছে। গত জুলাই মাসে ফাইভজির পরীক্ষামূলক কার্যক্রম আমরা সফলভাবে শেষ করেছি। প্রযুক্তির রূপান্তরের সঙ্গে বাংলাদেশের মানুষ নিজেদের খাপ খাওয়াতে পারলে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ দেশ হিসেবে কেউ বাংলাদেশকে ঠেকাতে পারবে না।’

ডিজিটাল কেওয়াইসি নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে ক্রেতাদের জাতীয় পরিচয়পত্র ও নিবন্ধনকৃত মোবাইল ফোন নিয়ে আসতে হবে। গ্রাহকের ছবি ও পরিচয়পত্রের তথ্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সহায়তায় রিয়েল টাইমে নির্বাচন কমিশনের ডেটাবেইসের সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হবে। কেওয়াইসি আবেদন পত্রের নির্দিষ্ট ঘর স্বয়ংক্রিয় স্ক্যানিং প্রক্রিয়ায় পরিচয়পত্রের তথ্য থেকে পূরণ হবে। বর্তমানে নগদ অ্যাপটি শুধুমাত্র অ্যান্ড্রয়েড প্ল্যাটফর্মে রয়েছে। কম মেগাবাইটের সহজে ব্যবহারযোগ্য এ অ্যাপটির বেটা সংস্করণে ব্যবহারকারী ছিল ৫০ হাজারেরও বেশি।

Exit mobile version