টেকনো মোবাইলের মার্কেট শেয়ার চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে সর্বোচ্চ লেভেল ৩১% শতাংশে গিয়ে দাড়িয়েছে। সম্প্রতি এমন তথ্য প্রকাশ করেছে বৃহত্তম বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান কাউন্টার পয়েন্ট। টেকনোর জনপ্রিয়তা মূলত তরুণদের পছন্দনীয় মডেল বাজারে ছাড়া ও প্রচারণামূলক বিভিন্ন অফারের করণে হয়েছে।
কাউন্টার পয়েন্ট এর গবেষক আনশিকা জাইন টেকনোর কর্মক্ষমতা সম্পর্কে বলেন, টেকনোর আধুনিক কর্মক্ষমতা ও সাশ্রয়ী মূল্য নাইজেরিয়ার বাজারে তরুণদের আকৃষ্ট করে। প্রতিষ্ঠানটি কেমন সিরিজের পণ্যগুলো আপগ্রেড করে বাজারে উপস্থিত করে এবং ডিভাইসগুলোতে অ্যান্ড্রয়েড গো ভার্সন (পপ২) ভার্সন চালু করে। এছাড়াও ভ্যালেন্টাইন ডে উপলক্ষ্যে আকর্ষণীয় বিভিন্ন উপহার সংযোজন করে।
টেকনোর ২০১৯ সালের প্রথম প্রান্তিকের অবস্থান ট্রানশান গ্র“পকে সহযোগীতা করেছে (টেকনো, আইটেল এবং ইনফিনিক্স) যা প্রতিষ্ঠানটিকে নাইজেরিয়ার স্মার্টফোন বাজারে শীর্ষস্থানে পৌঁছতে সাহায্য করেছে। বর্তমানে নাইজেরিয়ায় কোম্পানিটির মার্কেট শেয়ার ৫৬%।
২০১৯ সালের প্রথম প্রান্তিকে আইটেল বাৎসরিক ১৮% হারে প্রবৃদ্ধির মুখ দেখেছে। প্রতিষ্ঠানটি এ৩৩ এবং এ৩৩প্লাস নতুন মডেলের স্মার্টফোন আনার পাশাপাশি পূর্বের শক্তিশালী অবস্থানে থাকা এ ৩২এফ, এ১৬ এবং এ১ মডেলগুলোকে নতুন রূপে বাজারে এনেছে।
এদিকে ২০১৯ সালের প্রথম প্রান্তিকে এসে ইনফিনিক্স ব্র্যান্ডের মার্কেট শেয়ার বিগত বছরগুলোর তুলনায় একই অবস্থানে রয়েছে। এই ব্র্যান্ডের হট৬ ও হট৬ প্রো মডেল দুইটি নাইজেরিয়ার বাজারে সর্বোচ্চ কিক্রিত ১০টি স্মার্টফোনের মধ্যে রয়েছে।
নাইজেরিয়ার বাজারে ট্রানশান একমাত্র শীর্ষ অবস্থানে অবস্থান করছে। দেশটিতে টেকনো ও আইটেলের ফিচার ফোন ৭৪% মার্কেট শেয়ার দখল করেছে।
সব মিলিয়ে নাইজেরিয়ার বাজারে যতগুলো প্রতিষ্ঠান রয়েছে তারা ২০১৯ সালের প্রথম প্রান্তিকে এসে আগের প্রান্তিকের তুলনায় ১৬% মার্কেট শেয়ার হ্রাস পেয়েছে। কারণ, তারা তাদের আগের মডেলগুলোকে ক্লিয়ার সেল এর আওতায় ফেলেছিল।
সামগ্রীক বাজার বিশ্লেষন কর জাইন বলেন,আমরা আশা করি চলতি বছরের আগামি প্রান্তিকে স্মার্টফোনের বাজার বাড়বে। কারণ, স্মার্টফোনের বাজারে নতুন প্রতিযোগী প্রবেশ করছে। বিশেষ করে চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে লক্ষ্য করেছি যে, চীন ও অন্যান্য দেশের স্মার্টফোনের উপস্থিতি বৃদ্ধি পেয়েছে যা স্মার্টফোনের বাজারে প্রভাব ফেলবে।
এ ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে অপো এফ সিরিজ উন্মুক্ত করেছে, শাওমি রেডমি নোট সেভেন এবং লাভা তাদের জেট সিরিজ এবং আইরিশ সিরিজ উন্মুক্তকরেছে।
স্থানীয় স্মার্টফোন ব্যবসায়ী ও বিদেশি স্মার্টফোন ব্যবসায়ীদের মধ্যে আগামী প্রতিযোগীতার একটি ক্ষেত্র তৈরি হচ্ছে। আমরা শাওমি, লাভা এবং অপোর মধ্যে প্রতিযোগীতা হওয়ার সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছি। প্রতিযোগীতার ফলে স্থানীয় ক্রেতারা স্মার্টফোনের মূল্য সংক্রান্ত বিষয়ে লাভবান হবেন।’
ইতোমধ্যে চায়না ব্র্যান্ডগুলো নাইজেরিয়ার স্মার্টফোন মার্কেটের তিন এর দুই অংশ দখল করে আছে। মূলত তাদের এ অবস্থান দখলের পিছনে রয়েছে মূল্য সংক্রান্ত বিষয়টি। পণ্যের ডিজাইন ও বাজেটের মধ্যে আকর্ষণীয় ফোন উন্মুক্তকরে ও তাদের অবস্থানে পৌঁছেছে।
বাজারের সারসংক্ষেপ
* শীর্ষ পাঁচটি স্মার্টফোন ব্র্যান্ড ৭৭% শতাংশ মার্কেট শেয়ার দখল করেছে।
* স্যামসাং দ্বিতীয় বৃহত্তম স্মার্টফোন ব্র্যান্ড হিসেবে অবস্থান করছে। তাদের মার্কেট শেয়ার ১৭%। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিষ্ঠানটি তাদের ফ্ল্যাগশিপ স্মার্টফোন এস ১০ সিরিজ বাজারে উন্মুক্ত করে তাদের মার্কেট শেয়ার বাড়িয়েছে।
* দ্রত ক্রমবর্ধমান ব্র্যান্ড হিসেবে পরিচিতি লাভ করতে শুরু করেছে নকিয়া। তাদের ফ্ল্যাগশিপ ফোন ৮.১ এ কার্যক্রমে নোকিয়াকে সহায়তা করছে।
* হুয়াওয়ের প্রবৃদ্ধি গত বছরের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে ৪% যা তাদের জনপ্রিয় ডিভাইস অনর ৭এস, ওয়াই৯ ও অনর ৭এ-এর কারণে হয়েছে। ২০১৯ সালের প্রথম প্রান্তিকে নাইজেরিয়ার বাজারে তাদের উপস্থিতি বৃদ্ধি পেয়েছে। অপেক্ষাকৃত উচ্চ মূল্যের কারণে নাইজেরিয়ার বাজারে তাদের ব্যপক স্বীকৃতি অর্জন করতে সক্ষম হয়নি।