TechJano

নিরাপদ থাকার উপায় ভিডিও কলে

লকডাউনের সময় ভিডিও কলের ব্যবহার বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। সেই সঙ্গে এই প্রযুক্তির প্রাইভেসি নিয়ে বেড়েছে উদ্বেগ। ভিডিও কলের সিকিউরিটি সিস্টেম অ্যাপভেদে আলাদা হয়। তবে কিছু বিষয় সব অ্যাপেই এক রকম। সেসব বিষয়ে সতর্ক থাকলে এই ধরনের আলাপে নিরাপদ থাকা যায়।

পাসওয়ার্ড: অনেক ভিডিও মিটিং ইনভাইটেশন লিংকের মাধ্যমে শুরু হয়। এই ধরনের ইনভাইট লিংক কখনোই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করবেন না। অধিকাংশ ভিডিও কলিং অ্যাপ পাসওয়ার্ড সুবিধা দিয়ে থাকে। তাই গেস্ট ইনভাইট করার সময় পাসওয়ার্ড সতর্কভাবে ব্যবহার করতে হবে। ভিডিও চ্যাট লক করতে পালে সেটি করে নিন।

জনপ্রিয় হাউজপার্টি অ্যাপ প্যাডলক ট্যাপের মাধ্যমে রুম লকের সুবিধা দিয়ে থাকে। সব গেস্ট যুক্ত হওয়ার পর এটি করতে হয়। যে জুম অ্যাপ নিয়ে চারদিকে অনেক সমালোচনা হয়েছে তারাও ‘লক মিটিং’ অপশন সুবিধা রেখেছে। এর জন্য ‘Manage Participants’ অপশনে ক্লিক করতে হয়।

শেয়ারে সতর্কতা: অনলাইনে আপনি কী শেয়ার করছেন, সে বিষয়ে সব সময় সতর্ক থাকবেন। বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলার সময়ও বিষয়টি মাথায় রাখা উচিত। কে কখন কী রেকর্ড করে তা আপনি নাও জানতে পারেন। একান্ত দরকার না হলে ব্যক্তিগত বিষয়ে কথা বলা বন্ধ রাখুন।

আপনার ব্যাকগ্রাউন্ডে কী আছে, সেটি দেখাতে না চাইলে সুবিধামতো স্থানে কথা বলা উচিত। জুমে ব্যাকগ্রাউন্ড পরিবর্তনের অপশন আছে। ভিডিও সেটিংস থেকে ভার্চুয়াল ব্যাকগ্রাউন্ড নির্বাচন করতে পারেন। স্কাইপে টগল সুইচের মাধ্যমে পেছনে যা-ই থাকুক না কেন ব্লার করে নিতে পারেন।

নিয়ম জানা: যে কোনো ভিডিও সফটওয়্যার ব্যবহারের আগে তাদের নিয়ম-কানুন পড়ে নিন। কল রেকর্ড করা যায় কি না, সেটি দেখে নিন। আপনার ডেটা কিভাবে ব্যবহৃত হবে, সেটিও পড়ুন। কলে থাকা অবস্থায় গেস্ট কিভাবে যোগ দেয়, কোথা থেকে যোগ দিতে পারে-সেসব জেনে নিন।

এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন: এটি হচ্ছে তৃতীয় পক্ষের হাত থেকে আপনার তথ্য রক্ষা করার একটি প্রযুক্তি। যখন আপনি অন্য কারোর সঙ্গে কলিং অ্যাপ ব্যবহার করে কথা বলেন, তখন এই ফিচারটি গোপন একটি কোডের সাহায্যে আলাপনকে শুধু আপনাদের ভেতরই সীমাবদ্ধ রাখে।

যখন আপনি অ্যাপটি চালু করেন, তখন একসঙ্গে প্রাইভেট এবং পাবলিক নিরাপত্তাব্যবস্থা সচল হয়। এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন ফিচারযুক্ত অ্যাপ এখানে প্রাইভেট নিরাপত্তাব্যবস্থাকে শক্ত করে। কম্পিউটারের হিউমার রিডেবল কোনো তথ্যকে এটি এমনভাবে পরিবর্তন করে, যা তৃতীয় পক্ষ পড়তে এবং বুঝতে পারে না।

এনক্রিপশনের মৌলিক ফাংশন হলো কোনো নরমাল টেক্সটকে পরিবর্তন করে অপাঠ্য টেক্সটে পরিবর্তন করা। এনক্রিপশন নিশ্চয়তা প্রদান করে, এটা কোনো অসাধু মানুষের হাতে গেলে সে যেন ডেটাটিকে পড়তে না পারে। শুধু তা-ই নয়, ইন্টারনেট সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান, অ্যাপ মেকার কিংবা কোনো দেশের সরকারও সেটি পড়তে পারবে না।

ফেইসবুকের মেসেঞ্জার অ্যাপ এখন এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন ফিচার সুবিধা সরবরাহ করে । গুগল প্লে-স্টোরের সব অ্যাপে এই সুবিধা নেই। বিভিন্ন অ্যাপে থাকলেও কিছু বিষয় না জানলে চ্যাটিং অনিরাপদ থেকে যেতে পারে। গুগল ডুও এবং অ্যাপলের ফেসটাইম থেকে শুরু করে সিসকোর ওয়েবেক্স এবং গোটুমিটিং সফটওয়্যারে এই সুবিধা আছে। হোয়াটসঅ্যাপ এবং সিগন্যালেও পাবেন।

কোন অ্যাপে এই সুবিধা আছে, কোন অ্যাপে নেই; ব্যবহারের আগে সেটি খেয়াল করতে হবে।

স্কাইপ এবং জুম অ্যাপের বড় পরিধির কারণে এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন নেই। এটা নেই মানেই যে অ্যাপ দুটি অনিরাপদ তা কিন্তু নয়। আপনাকে কোম্পানির ওপর বেশি বিশ্বাস রাখতে হচ্ছে এই যা। ভিডিও কলে নিরাপদ থাকার আরও যে উপায় রয়েছে তার মধ্যে কমন হচ্ছে সফটওয়্যার আপডেট রাখা। নিয়মিত আপডেট না করলে হ্যাকিংয়ের শিকার হতে পারেন।

Exit mobile version