TechJano

পাঠাওয়ে নারী চালকের সমস্যা কি?

দেশে নারী মোটরসাইকেল চালকের সংখ্যা হাতে গোনা। অনেকেই স্কুটার চালান। তবে ঢাকা শহরে কর্মজীবী কিছু নারী বাইক চালান। এ ছাড়া সৗখিন বাইকার আছেন কিছু। কিন্তু রাইড শেয়ারিংয়ের মতো পেশাদার কাজে নারী চালক প্রয়োজন। সম্প্রতি রাইড শেয়ারিং সেবাদাতা একটি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা জানালেন, নারী চালক বাড়ানোর জন্য বেশ কিছু কর্মসূচি হাতে নিয়েছেন তারা। কিন্তু একাজে সমস্যা আছে। এমনিতেই নারী চালক কম। তা ছাড়া দেশে একটা ট্যাবু আছে। নারী বাইকের পেছনে চড়া নিয়ে। সবাই সমান ভাবে নিতে পারেনা। রাইড শেয়ারিংয়ে নারীদের এগিয়ে আসার সুযোগ রয়েছে বলে মনে করেন এ খাতের উদ্যোক্তারা। তবে ঢাকা শহরের চলাচল আর পরিবহন ব্যবস্থার কারণে কিছুটা বাধা থেকে। তবে উদ্যোগ নিতে পারলে এ অনেকেই উৎসাহী হবেন। বিশেষ করে কর্মজীবীরা চলার পথে কাউকে রাইড শেয়ার করতে পারেন। সম্প্রতি পাঠাওয়ের এক নারী বাইকারকে নিয়ে প্রথম আলোয় খবর প্রকাশিত হয়। সেখানে স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএর ছাত্রী রাবেয়া বশরিকে চালক হিসেবে তুলে ধরা হয়। রাবেয়া জানান, যাত্রাবাড়ী থেকে প্রতিদিন ধানমন্ডিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে যাতায়াত করতে যানজটে পড়ে অনেক সময় নষ্ট হতো তাঁর। সেই সঙ্গে গণপরিবহনের ভোগান্তি তো ছিলই। এসব থেকে মুক্তি পেতে প্রথম দিকে পাঠাও সেবা নেন তিনি। কিছুদিন পর কিনে ফেলেন একটি স্কুটি। প্রতিদিন তিনি নিজে যাতায়াত করতেন। আবার স্বজন-বন্ধুদেরও পৌঁছে দিতেন এখানে-সেখানে। তারপর মাথায় আসে নিজের ও পড়াশোনার খরচ হিসেবে কিছু আয় করার বিষয়টি। কী ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হন জানতে চাইলে রাবেয়া বশরি বলেন, নিজের সাহসটাই আসল এবং সেটাই প্রথম নিরাপত্তা। অনেকে বিদ্রূপ করতে পারেন, কিন্তু সেগুলোকে গুরুত্ব দিলে চলবে না। আর পরিবার ও বন্ধুরা পাশে থাকলে আত্মবিশ্বাস আরও বেড়ে যায়। চালকের আসনে বসে নানা রকম অভিজ্ঞতা হয়েছে বলেও জানালেন রাবেয়া। সুন্দর অভিজ্ঞতাই বেশি। তিক্ততা কিছু থাকলে সামলাতে হয় উপস্থিত বুদ্ধি দিয়ে।
সব মিলিয়েে দেখা যায়. নারীবান্ধব পরিবেশের ঘাটতি এবং এ নিয়ে নানা সংশয় এ পথে নারীদের জন্য বাধা। রাবেয়ার মতে, পেশা হিসেবে একে খুব জটিল করে না দেখে অন্যান্য পেশার মতো সহজ ভাবলেই সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টাতে শুরু করবে। এ ক্ষেত্রে পুরুষ যাত্রীদের ভূমিকা খুব গুরুত্বপূর্ণ।

Exit mobile version