TechJano

পাঠাও চালকের ধর্ষণচেষ্টা, কোন পথে চলছে রাইড শেয়ারিং?

পাঠাও আর পাঠাও নেই, হয়ে গেছে লেগুনা। যত্রতত্র গড়ে উঠছে পাঠাও স্ট্যান্ড। অনেকেই অ্যাপের বাইরে ভাড়া মারছেন বলে অভিযোগ। হেলমেট না পরা, ট্রাফিক আইন না মানার মতো অভিযোগ তো আছেই। সবচেয়ে বড় অভিযোগ উঠেছে সম্প্রতি আর তা ধর্ষণ চেষ্টার।

গণমাধ্যমে খবর এসেছে, চট্টগ্রামে এক শিক্ষানবিশ চিকিৎসককে গাড়িতে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে চালককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁর নাম মিজানুর রহমান (২৯)। রোববার নগরের নিউমুরিং আবাসিক এলাকার বাসা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মিজান রাইড শেয়ারিং অ্যাপ পাঠাওয়ের তালিকাভুক্ত চালক।
গণমাধ্যমের খবর, গত ২৪ জুলাই ঘটনাটি ঘটে।

কর্ণফুলী শাহ আমানত সেতু এলাকায় যাওয়ার জন্য পাঠাও অ্যাপের মাধ্যমে যোগাযোগ করে ব্যর্থ হন। গাড়িতে ওঠার পর চিকিৎসক নগরের জিইসি মোড়ে একটি কাজ থাকায় এলাকাটি হয়ে শাহ আমানত সেতু এলাকায় যেতে বলেন। কিন্তু চালক শহরের দিকে না এসে বন্দর টোল রোডে চলে যান। তখন চিকিৎসক জানতে চাইলে যানজট থেকে বাঁচতে তাড়াতাড়ি পৌঁছার জন্য টোল রোড দিয়ে যাওয়ার যুক্তি দেখান চালক। গাড়িটি ভাটিয়ারির আগে পাহাড়তলীর নির্জন জেলেপাড়ায় পৌঁছার পর চালক রাস্তার পাশে গাড়িটি থামান। তখন গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি পড়ছিল। নেমেই গাড়ির পেছনে থাকা যাত্রী চিকিৎসকের পাশে বসেন চালক মিজান। ধর্ষণের চেষ্টা করলে চিৎকার দিতে থাকেন ওই চিকিৎসক। ওই সময় মোটরসাইকেল আরোহী এক যাত্রী গাড়িটির পাশে এলে চালক পেছনের আসন থেকে নেমে চালকের আসনে বসে যান। চিকিৎসকও গাড়ি থেকে নেমে যান। তৎক্ষণাৎ গাড়িটি নিয়ে চলে যান চালক মিজান। গাড়িতে ওই চিকিৎসকের ভ্যানিটি ব্যাগ ও মোবাইল ছিল।

ঘটনার দিন পুলিশকে ওই চিকিৎসক লিখিত অভিযোগ দেন। মালামাল উদ্ধারের জন্য পুলিশ অভিযান শুরু করে। রোববার চিকিৎসকের ভ্যানিটি ব্যাগ ও মোবাইলসহ চালক মিজানকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই চিকিৎসকের করা মামলায় বিকেলে আদালতের মাধ্যমে তাঁকে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

মিজান পাঠাওয়ের তালিকাভুক্ত চালক। তিনি নিজে গাড়ি কিনে ভাড়ায় চালান। ঘটনার দিন ওই চিকিৎসককে পাঠাওয়ের মাধ্যমে ঘটনাস্থলে নেননি। অভিযোগগুলো এতদিন পর সত্যি হতে শুরু করেছে। কোন পথে পাঠাওয়ের ভবিষ্যৎ?

Exit mobile version