TechJano

ফেইসবুক টাইমলাইনে শুরু হয়ে গেছে আর্জেন্টিনা-ব্রাজিলের বিশ্বকাপ

বিশ্বকাপের বাকী আর মাত্র ২৫ দিন, কে জিতবে, কে হারবে; কে কাকে হারাবে, কে কয়টি গোল করবে এমন নানা পূর্বানুমানে অনেকটা যুদ্ধের সামিল ফুটবল ভক্তরা। এদের কেউ ব্রাজিলের সমর্থন করেন আবার কেউবা আর্জেন্টিনার। পরস্পর পরস্পরকে যেন তীরে বিদ্ধ করতে পারলেই যেন আসল মজাটা পাচ্ছেন। এই মজা নেবার ক্ষেত্রে সম্পর্ক কোনো বিষয় নয়।

ফেইসবুকে এমন ঘুম হারাম করা দেখে আগামী দুই মাস টাইমলাইনের কী অবস্থা দাড়াতে পারে সেটা নিয়ে ধারণা করেছেন মুক্তা খাতুন।তিনি লিখেছেন, আগামী দুই মাস ‘পাড়ার লোকের ঘুম নাই’ প্রমাণের জন্য সবাই নিজেরা নিজেদের প্রতিপক্ষ হয়ে ফেইসবুকের হোমপেজের তেরটা বাজাবে। দুই মাস পর আবার সবাই ‘ভাই ভাই’ হয়ে যাবে।

বিশ্বকাপ ফুটবল আসতে এখনো বাকি ২৫ দিন। কিন্তু তার অনেক আগেই দেশে ফুটবল ভক্তরা এমন সব কাণ্ড শুরু করেছেন তাতে অবাক না হয়ে উপায় নেই। এইতো কদিন আগে থেকেই ফেইসবুকে ফটোশপ করা ছবি দিয়ে ভুয়া ‘নিউজ’ ছড়িয়ে দিয়েছেন কেউ। ‘মাদকসহ আর্জেন্টিনার ফুটবল সার্পোটার গ্রেপ্তার’। আবার একই শিরোনামে শুধু ব্রাজিল লাগিয়ে আরেকপক্ষ ‘নিউজটি’ ছড়ায়।শুধু কি তাই, এখন ফেইসবুক টাইমলাইন স্ক্রল করলেই চোখে পড়ে, স্ট্যাম্পে আর্জেন্টিনার সমর্থক ছিলেন, যিনি এফিডেবিট করে ব্রাজিলের সমর্থক হয়েছেন। একই চিত্রের ভিন্নতাও দেখা যাচ্ছে।বিভিন্ন স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে আবার সমর্থক গোষ্ঠী নামের কমিটিও করা হয়েছে। যেখানে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, সহ-সভাপতিসহ উপদেষ্টা পরিষদও রাখা হচ্ছে। সেটি ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে ফেইসবুকের মাধ্যমে।

এমনটাও দেখা যাচ্ছে, টাইমলাইনে অনেকেই ঘোষণা দিয়ে সমর্থক দল বদল করছেন।তবে ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা দলকে টিপ্পনি কাটতে কম যাচ্ছেন না অন্যান্য দলের সমর্থকরা। এই দুই দলের কাদা ছোড়াছুড়িতে তারা আখেরে মজা নিচ্ছেন। জার্মানির সমর্থক হিসেবে ঘোষণা দিয়ে উদিসা ইমন ফেইসবুকে লিখেছেন, ব্রাজিল সমর্থকরদের টিটকারি আর্জেন্টিনা সমর্থকরা এতদিন বিলুপ্ত হইতে দেয় নাই।রাতুল ইসলাম নামের এক ফেইসবুক ব্যবহারকারী লিখেছেন, আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল সার্পোটারদের এমন অবস্থা, মনে হচ্ছে তারা ফেইসবুকেই কাপ নিয়ে নিলো। নে বাবা, তোরা তাই নে। বাস্তবে যখন দেখবি জার্মানির ঘরে কাপ তখন গলাগালি করেই কাঁদিস সব। রাশিয়ায় ফুটবল বিশ্বকাপের পর্দা উঠবে ১৪ জুন। আর ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে ১৫ জুলাই। ৩২ দিনের এই আয়োজন হবে ১২টি ভেন্যুতে।

তথ্যসূত্র:টেকশহর

Exit mobile version