TechJano

ফেসবুকের প্রতি টেলিযোগাযোগ মন্ত্রীর আহ্বান ডিজিটাল অবকাঠামো উন্নয়নে অবদান রাখতে

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার ডিজিটাল অবকাঠামো উন্নয়নে বিশ্বের অন্যান্য কয়েকটি দেশের ন্যায় বাংলাদেশে অবদান রাখার জন্য ফেসবুক কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন ডিজিটাল অবকাঠামো খাতে সরকারের বিনিয়োগ বান্ধব সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে ফেসবুকও লাভবান হবে। তিনি ফেসবুককে বাংলাদেশের ডিজিটাল সংযু্ক্তির অবকাঠামো উন্নয়নে সহায়তা করার আহ্বান জানান।

মন্ত্রী আজ ঢাকায় বিটিআরসি মিলনায়তনে বিটিআরসি কর্তৃক মোবাইল ডাটা প্যাকেজ নির্দেশিকা এবং টেক্সট-এর মাধ্যমে ফেসবুক, ম্যাসেঞ্জার ও ডিসকভার অ্যাপ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তৃতায় এ আহ্বান জানান।

বিটিআরসি চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো: খলিলুর রহমান, ফেসবুকের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের হেড অব কানেক্টিভিটি টম সি. ভার্গিস , টেলিটকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো: সাহাব উদ্দিন, গ্রামীণ ফোনের সিইও ইয়াসির আজমান, রবির ভারপ্রাপ্ত সিইও রিয়াজ রহমান এবং বাংলালিংকের চীফ কর্পোরেট অফিসার তৈমুর রহমান বক্তৃতা করেন। বিটিআরসি‘র মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো: নাসিম পারভেজ অনুষ্ঠানে মূল বিষয় বস্তু উপস্থাপন করেন।

টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, মোবাইল ডাটা প্যাকেজ নির্দেশিকা এবং টেক্সট-এর মাধ্যমে ফেসবুক, ম্যাসেঞ্জার ও ডিসকভার অ্যাপ এর উদ্বোধনের মাধ্যমে ডিজিটাল সংযোগ বিকাশে আমরা ত্রিমাত্রিক মাইল ফলক অর্জন করেছি। তিনি ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টি সম্পন্ন চিন্তা বাস্তবায়নে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ স্তর বলে উল্লেখ করেন।

ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশের অগ্রনায়ক মোস্তাফা জব্বার মোবাইল অপারেটরসহ ডিজিটাল সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান সমূহকে উদ্দেশ্য করে বলেন, বস্তুতপক্ষে জনগণকে যদি সেবা দেই তবে তাদের প্রয়োজনের প্রতি নজর রাখতে হবে। অন্যথায় কোন প্রতিষ্ঠানই বিকশিত হতে পারবে না। অঙ্গিকার বাস্তবায়ন করতে না পারলে দায়িত্ব পালনও সঠিক হবে না বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি কোভিডকালে মানুষের চাহিদার সাথে সামঞ্জস্য রেখে স্পেকট্রাম বরাদ্দ এবং মোবাইলের ৪জি নেটওয়ার্ক প্রত্যন্ত ও দুর্গম গ্রাম পর্যন্ত সম্প্রসারণে বিটিআরসি ও মোবাইল অপারেটরদের ভূমিকার প্রশংসা করে বলেন, করোনাকালে টেলকো কোনভাবেই সেবাকে ব্যবসায়িক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখেনি তারা দেখেছে দেশ ও জাতির স্বার্থ।

তিনি মোবাইলে বাংলা ভাষায় এসএমএস প্রবর্তণকে একটি ঐতিহাসিক কাজ বলে উল্লেখ করে বলেন, বাংলা ভাষার জনগণের সাথে জনগণের ভাষায় কথা বলতে চাই। আগামী ২৬ মার্চের মধ্যে তা করতে হবে । এ লক্ষ্যে বাংলায় এসএমএস –এর মূল্য অর্ধেকে নির্ধারণ করার কথা তিনি জানান।

তিনি ২০১৮ সালে ওয়ার্ল্ড মোবাইল কংগ্রেসের সাইড লাইনে ফেসবুক কর্তৃপক্ষের সাথে তার ফলপ্রসূ বৈঠকের প্রসংগ তুলে ধরে বলেন, বাংলাদেশ ফেসবুক ব্যবহারকারীর দিক থেকে বিশ্বের দশম দেশ, গত তিন চার বছর আগেও তা ছিল না। ফেসবুকের সাথে দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্কোন্নয়নের ধারাবাহিকতায় তারা এখন আমাদের প্রতি অনেক সহযোগিতামূলক আচরণ করছে।

শিক্ষায় ডিজিটাল রূপান্তরের অগ্রদূত জনাব মোস্তাফা জব্বার বলেন, করোনাকালে দেশের মানুষের জীবনযাত্রা ডিজিটাল সংযোগের অসামান্য অগ্রগতির কারণে সচল আছে। আমাদের শক্তিশালী ডিজিটাল অবকাঠামো না থাকলে তা সম্ভব হতো না। তিনি বলেন, দেশব্যাপী ডিজিটাল সংযোগ সম্প্রসারণের ফলে বাংলাদেশে উচ্চ গতির ইন্টারনেটের চাহিদা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। শক্তিশালী নেটওয়ার্ক যত সম্প্রসারিত হবে ফেসবুকের ব্যবহারকারী তত বাড়বে। এতে ফেসবুকও অনেক বেশি লাভবান হবে। বাংলাদেশ ডিজিটাল কানেক্টিভিটির দিক থেকে অনেক উন্নত দেশকেও ছাড়িয়ে গেছে বলে উল্লেখ করেন।

অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব মোবাইল ডাটা প্যাকেজ নির্দেশিকা এবং টেক্সট-এর মাধ্যমে ফেসবুক, ম্যাসেঞ্জার ও ডিসকভার অ্যাপ সেবার সাথে সম্পৃক্ত সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন. ডিজিটাল প্রযুক্তি মানুষের জীবনকে পাল্টে দিয়েছে।

বিটিআরসি চেয়ারম্যান ডিজিটাল বাংলাদেশ অগ্রযাত্রায় কানেক্টিভিটির প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে বলেন, বিটিআরসি কেবল নিয়ন্ত্রক হিসেবে নয় – সেবার সুযোগ তৈরি করতে সংশ্লিষ্টদের সাথে সব সময়ই থাকবে।

Exit mobile version