জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে রাষ্ট্রীয় মোবাইল অপারেটর টেলিটক মুজিব কর্নার স্থাপন করেছে। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার আজ বুধবার ঢাকায় গুলশানে টেলিটক প্রধান কার্যালয়ে স্থাপিত মুজিব কর্নার উদ্বোধন করেন।
এই উপলক্ষ্যে টেলিটক আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন আধুনিক ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশের পথপ্রদর্শক। ১৯৭৩ সালে আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়ন এবং ইউনিভার্সেল পোস্টাল ইউনিয়নের সদস্যপদ গ্রহণ এবং ১৯৭৫ সালের ১৪ জুন বেতবুনিয়ায় ভূ- উপগ্রহ কেন্দ্র উদ্বোধনের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগের মহাসড়কে সংযুক্ত করেন। বঙ্গবন্ধুর অবদান নিয়ে মুজিববর্ষে শত কর্মসূচি বাস্তবায়ন করার আছে। ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের প্রতিটি সংস্থায় মুজিব কর্নার করা হবে বলে মন্ত্রী ঘোষণা দেন। টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো: সাহাব উদ্দিনসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী বলেন, করোনা ভাইরাসের সতর্কতার কারণে মুজিব জন্মশতবর্ষ অনুষ্ঠান সশরীরে উৎসব মুখর পরিবেশে অনুষ্ঠান পালন করতে না পারায় ব্যক্তিগত আনন্দ বা সামাজিকতা হয়ত হয়নি। কিন্তু ডিজিটাল মিডিয়ার মাধ্যমে মুজিব জন্মশতবর্ষের অনুষ্ঠানমালা দেশের প্রতিটি মানুষের কাছে পৌঁছে গেছে। ডিজিটাল প্রযুক্তির সুবাধে আমরা মাঠের অনুষ্ঠানের ঘাটতি অনেকটাই অতিক্রম করতে পেরেছি। তিনি বলেন, ডিজিটাল প্রযুক্তিকে ব্যবহার করতে পারা দূরদৃষ্টিসম্পন্ন ও প্রজ্ঞাবান রাজনীতিক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা‘র ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠারই সফলতা। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর কণ্ঠে ৭ মার্চের ভাষণের অংশবিশেষ দশকোটিরও বেশী মোবাইল গ্রাহককে পৌছে দেয়া হচ্ছে । একইভাবে করোনা সংক্রান্ত সতর্কতা এবং বঙ্গবন্ধুর জন্ম দিনের শুভেচ্ছা আমরা ডিজিটাল মাধ্যমে জনগণের কাছে পৌঁছে দিচ্ছি। ডাক বিভাগের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা বাণী দেশের চারকোটি পরিবারের হাতে পৌছে দেওয়া হচ্ছে। মোবাইল রিংটোনে করোনা ভাইরাসের সতর্ক বার্তা পৌছে দেওয়ার উদ্যোগ আমরা গ্রহণ করেছি। এই ক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে টেলিটক অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে এবং আগামীতেও করবে।
জনাব মোস্তাফা জব্বার বলেন, মুজিব জন্মশতবর্ষের কর্মসূচির অংশ হিসেবে গত মঙ্গলবার বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি জনাব মো: আবদুল হামিদ এর কাছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা‘র শুভেচ্ছা বাণী সম্বলিত এই পোস্টকার্ড হস্তান্তর করা হয়েছে। এরই মধ্য দিয়ে দেশব্যাপী চারকোটি পরিবারের প্রতিটি পরিবারের প্রধানের হাতে ডাকযোগে এই পোস্টকার্ড বিতরণের কার্যক্রম শুরু হলো। এছাড়াও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের উদ্যোগে স্মারক ডাকটিকিট প্রকাশ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা গতকাল ১৭ মার্চ গণভবনে স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত করেন।
উল্লেখ্য ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী গত ১৭ মার্চ ডাকভবনে কেক কেটে জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ আয়োজিত অনুষ্ঠানমালার শুভ সূচনা করেন। টেলিটকে মুজিব কর্নার উদ্বোধনের আগে মন্ত্রী টেলিটকে সদ্য যোগদানকৃত ৬০ জন কর্মকর্তার দেড় মাসব্যাপী ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। তিনি আদর্শ মানুষ হওয়ার জন্য বঙ্গবন্ধুর জীবন ও আদর্শ অনুসরণের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।