TechJano

বাংলাদেশের সবচেয়ে দামী মোটরসাইকেল কোনটি?

মোটরসাইকেল কেনার কথা ভাবছেন? দেশের মধ্যে সবচেয়ে দামী মোটরসাইকেলগুলোয় একবার চোখ বুলিয়ে না নিলে কি হয়? প্রতিবেশী দেশের তুলনায় বাংলাদেশে মোটরসাইকেল এর ট্যাক্স অনেক বেশি, তবুও আমাদের দেশের মানুষদের মোটরসাইকেল এর উপর অনেক টান এবং অনেকেই আছে যে তাদের প্রিয় মোটরসাইকেল কেনার জন্য এর পিছনে অনেক টাকা ব্যয় করতে দ্বিধা বোধ করে না। ০১৮ সালে বাংলাদেশের ৫টি দামী মোটরসাইকেল সম্পর্কে জেনে নিন:

কেটিএম ডিউক ১২৫

ইঞ্জিনঃ ১২৫সিসি
পাওয়ারঃ ১৪.৮ বিএইচপি এবং ১১.৮ এনএম অফ টর্ক
ইম্পোটারঃ মোটরসাইকেল ওয়ার্ল্ড লিমিটেড

কেটিএম হল অস্ট্রিয়ান ব্র্যান্ডের মোটরসাইকেল। কেটিএম বাংলাদেশে ২০১৭ সালের ৮ই আগস্ট এ লঞ্চ হয় এবং এটা বাংলাদেশে মোস্ট এক্সপেনসিভ মোটরসাইকেল এর তালিকায় প্রথম স্থান অধিকার করেছে। মোটরসাইকেল এর ফিচারস গুলো হল ডুয়েল চ্যানেল এবিএস, ১৫০ মি.মি. স্পেসিফিকেশন রিয়ার মিশেলান টায়ার এবং ইউএসডি ফ্রন্ট সাস্পেনশন। কেটিএম পুরো বিশ্বে ১২৫সিসি সেগমেন্ট এর মধ্যে সব থেকে দামি মোটরসাইকেল। বাইকটিতে রয়েছে ইউরো ৪ ইঞ্জিন সাথে এলইডি হেডলাইটস এবং টেইল লাইটস। পিলিওন সিটটা খুব ভাল পজিশনে এডজাস্ট করা হয়েছে এই মডেলের অন্যান্য মোটরসাইকেল এর তুলনায় এবং এর সিট ও বড়।

এপ্রিলা আরএস৪ ১২৫সিসি

ইঞ্জিনঃ ১২৫সিসি
পাওয়ারঃ ১৫ বিএইচপি এবং ১১ এনএম অফ টর্ক
ইর্ম্পোটারঃ মোটরসাইকেল ওয়ার্ল্ড লিমিটেড

এপ্রিলা সুপারবাইক এর জগতে সব থেকে জনপ্রিয় ব্র্যান্ড(১০০০সিসি)। আরএস৪ ১২৫ ইউরোপিয়ান মার্কেটে অচেনা কোন বাইক না। বাইকটি অসাধারণ প্রাইস ট্যাগ এর সাথে ঢাকা বাইক শো ২০১৭ তে লঞ্চ হয়। কেটিএম এর মত এতে এবিএস ফিচারটা নেই কিন্তু স্টাইল এর দিক দিয়ে এর মত দ্বিতীয় কিছু নেই। বাইকটা দেখতেই সুন্দর লাগে। এটার মধ্যে ফিচারস গুলো হল ১৩০ সেকশন রিয়ার টায়ারস এবং ফ্রন্ট ইউএসডি সাস্পেনশন। বাইক এর ইঞ্জিন হল ইউরো ৩ ইঞ্জিন। এর আরও একটি ফিচারস হল হ্যালোজেন হেডলাইটস।

হোন্ডা সিবি১৫০আর এক্সমোশন (এবিসি ভার্শন রেজিস্ট্রেশন সহ)

ইঞ্জিনঃ ১৫০সিসি
পাওয়ারঃ কোম্পানি এখন ও এটা প্রকাশ করে নাই
ইম্পোটারঃ ইআরএস গ্লোবাল

আমরা প্রায় হোন্ডা মোটরসাইকেল এর কোয়ালিটি নিয়ে কম্পেলইন করি কিন্তু এক্সমোশন আসার পর সব ধারনা চেঞ্জ হয়ে গিয়েছে। যদিও তারা ইঞ্জিন এর ক্ষমতা সর্ম্পকে কিছু জানায়নি কিন্তু এতে ইউরো ৫ ইঞ্জিন দেওয়া হয়েছে। বাইকটিতে ফ্রন্ট ইউএসডি সাস্পেনশন এবং ডুয়েল চ্যানেল এবিএস আছে। এছাড়াও রিয়ার টায়ার ১৫০ সেকশন এবং এলইডি হেডলাইটস এবং টেইল লাইটস রয়েছে। এর ডিজাইন এবং ফিনিশিং টাচ মোটরসাইকেলটাকে অন্যন্যা বাইক থেকে আরো আকর্ষনীয় করে তুলেছে। এটার ওজন ১২৫কে.জি. এবং এতে ৪ ক্যালিপারস ফ্রন্ট ডিস্ক ব্রেক আছে। এবিএস ছাড়া ভার্শন এর বাইক এর দাম ৫২৫,০০ টাকা।

ইয়ামাহা আর১৫ ভি৩ (মুভিস্টার এডিশন রেজিস্ট্রশন সহ) Honda CB150R ExMotion

ইঞ্জিনঃ ১৫০সিসি
পাওয়ারঃ ১৯.০৪ বিএইচপি এবং ১৪.৭ এনএম অফ টর্ক
ইম্পোটারঃ ইআরএস গ্লোবাল

প্রথমত আর১৫ ভি৩ এর নরমাল এডিশন এর দাম ৫১০,০০০ রেজিস্ট্রশনসহ এবং দ্বিতীয়ত বর্তমানে বাংলাদেশের সব থেকে ভাল মোটরসাইকেল বাংলাদেশের। কেন? সর্ব প্রথম ১৫০ সিসি সেগমেন্ট এর মোটরসাইকেল এর ইঞ্জিন এর মধ্যে এর ইঞ্জিন এর ক্ষমতা সব থেকে বেশি, দ্বিতীয়ত এই বাইক এর মধ্যে এমন অনেক কিছু আছে যা এটার প্রতিদ্বন্দীকে পিছিয়ে রাখবে এবং সব শেষে বলব যে এটার রাইড অসাধারণ। বাইকটির ফিচারস এর মধ্যে আছে যেমন বিগার ডিস্ক ব্রেক, ফ্রন্ট ইউএসডি সাস্পেনশ, এলইডি হেডলাইটস এবং টেইল লাইটস, নতুন ডিজাইন করা মোটরসাইকেল ও রিয়ার ১৪০ সেকশন টায়ার। আমার মতে তারা শুধু একটা জিনিস মিস করছে তা হল এবিএস কিন্তু আমি খুশি এজন্য যে এছাড়া সব দিক দিয়ে থেকে এবং এর পার্ফমেন্স দিক দিয়ে এটা খুব ভাল।

হোন্ডা সিবিআর ১৫০আর(র‍্যাপসল এডিশন)

ইঞ্জিনঃ ১৫০সিসি
পাওয়ারঃ ১৬.৯ বিএইচপি এন্ড ১৪.৪ এনএম অফ টর্ক
ইম্পোটারঃ বাংলাদেশ হোন্ডা প্রাইভেট লিমিটেড

যখন বাংলাদেশে হোন্ডা প্রাইভেট লিমিটেড সিবিআর১৫০আর(ইন্দোনেশিয়ান ভার্শন) লঞ্চ করল তখন বাংলাদেশের হোন্ডা লাভারসদের সারপ্রাইজ করে দিল। সব থেকে প্রধান কারন হল যে তারা রেগুলার এডিশন এর দাম ৪৫০,০০ টাকা রেখেছে (পুরাতন ইন্ডিয়ান ভার্শন) কিন্তু তারা এই র‍্যাপসল এডিশন এর দাম মাত্র ২০০০ টাকা বাড়িয়েছিল যেখানে ইম্পোর্টার এর মাধ্যমে র‍্যাপসল এডিশন এর দাম আরও ৫০-৬০ হাজার টাকা বেশি লাগত। মোটরসাইকেল এ কিছুটা সমস্যা আছে কিন্তু অল রাউন্ডার স্পোর্টস বাইক হিসেবে এটা খুব চমৎকার। এছাড়াও এটা শহরের রাস্তা ও হাইওয়ে দুইটাতে রাইড করে বেশ মজা। কিন্তু মজার বিষয় হল যে তারা মোটরসাইকেল ইঞ্জিন কিল সুইচ দেয়নি। সোর্স: বাইকবিডি।

Exit mobile version