বাংলাদেশের অন্যতম ডিজিটাল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান বাংলালিংক এবং ফেসবুক যৌথভাবে চালু করলো “শিখবো ইন্টারনেট, দেখবো দুনিয়া” নামক ডিজিটাল প্রশিক্ষণ কর্মসূচি। দেশের সাধারণ মানুষের দৈনন্দিক জীবনে ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ ও এর সুফল নিশ্চিত করার মাধ্যমে তাদের ক্ষমতায়নে ভূমিকা রাখার লক্ষ্য নিয়ে এই কর্মসূচি চালু করা হয়েছে। বাংলালিংক-এর চিফ সেলস্ এ্যান্ড মার্কেটিং অফিসার রিতেশ কুমার সিং আজ রাজধানীর লা মেরিডিয়ান হোটেলে আয়োজিত এক প্রেস কনফারেন্সে এই ঘোষণা দেন। উক্ত অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলালিংক-এর চিফ কর্পোরেট এ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার তাইমুর রহমানসহ বাংলালিংক ও ফেসবুকের অন্যন্য উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারা ।
”ট্রেইন দ্যা ট্রেইনার” মডেল ভিত্তিক “শিখবো ইন্টারনেট, দেখবো দুনিয়া” প্রোগ্রামের মাধ্যমে বাংলালিংক-এর ২০,০০০ রিটেইলার ও ৪,৫০০ স্থায়ী প্রমোটারকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে আগামী দুই বছরে প্রায় ২০ লক্ষেরও বেশি বাংলালিংক গ্রাহক ইন্টারনেটের ব্যবহার সম্পর্কে শিক্ষf গ্রহণের সুযোগ পাবে। প্রোগ্রামটির আওতায় ইন্টারনেট ব্যবহার ও এর সুবিধার উপর প্রশিক্ষণসহ ফেসবুকের মাধ্যমে বন্ধু ও পরিবারের সদস্যদের সাথে সংযোগ স্থাপন, পছন্দানুযায়ী গ্রুপ অনুসন্ধান এবং নিজেদের দক্ষতা বৃদ্ধির বিষয়ে বাংলালিংক রিটেইলারদের নির্দেশনা দেওয়া হবে। এছাড়া বিশেষ এই কর্মসূচি উপলক্ষে মাত্র ১৯ টাকার স্ক্র্যাচ কার্ড-এর মাধ্যমে বাংলালিংক গ্রাহকরা ৫ দিনের জন্য শুধুমাত্র ফেসবুকের জন্য পাবেন আনলিমিটেড ডেটা ব্যবহারের সুযোগ।
এই প্রোগ্রাম উপলক্ষে আয়োজিত প্রেস কনফারেন্সে বাংলালিংক-এর চিফ সেলস্ এ্যান্ড মার্কেটিং অফিসার রিতেশ কুমার সিং বলেন,“ গ্রাহকদের ডিজিটাল ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে ফেসবুকের মতো একটি বিশ্বখ্যাত প্রতিষ্ঠানের সাথে কাজ করতে পেরে আমরা অত্যন্ত গর্বিত। দেশের প্রত্যেকটি প্রান্তে ডিজিটাল সুবিধা নিশ্চিত করতে বাংলালিংক নিরলসভাবে কাজ করে আসছে। আমরা বিশ্বাস করি, এই যৌথ উদ্যোগ আমাদের লক্ষ্য বাস্তবায়নের দিকে আরও একধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে। ”
ফেসবুক-এর মোবাইল পার্টনারশিপ – এপিএসি-এর ডিরেক্টর কারান খাড়া বলেন, “বর্তমানে ইন্টারনেট আমাদের জীবনের একটি মৌলিক চাহিদায় পরিণত হয়েছে। এটি বিভিন্ন ডিজিটাল সেবা ব্যবহারের সুযোগ দেওয়ার মাধ্যমে সম্ভাবনার এক নতুন বিশ্ব উন্মোচন করতে পারে। আমরা বাংলালিংক-এর সাথে অংশীদারিত্বে যেতে পেরে আনন্দিত। এই উদ্যোগ ডিজিটাল শিক্ষাকে দেশের অনেক মানুষের কাছে পৌঁছে দেবে এবং তাদের ক্ষমতায়নের অবদান রাখতে পারবে।”
গ্রাহকদের উন্নত মানের ডিজিটাল সেবা প্রদানের পাশাপাশি দেশে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ডিজিটাল কাঠামো নির্মাণে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে চায় বাংলালিংক।