বাংলাদেশের অন্যতম ডিজিটাল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান বাংলালিংক আনুষ্ঠানিকভাবে ‘বাংলালিংক এসডিজি হ্যাকাথন কোড ফর এ কজ’ প্রতিযোগিতার আবেদন প্রক্রিয়া শুরু করেছে। দেশের উদ্ভাবনী তরুণদেরকে ডিজিটাল উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে এসডিজি (টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা) সংক্রান্ত আর্থ-সামাজিক সমস্যার সমাধানে সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে প্রেনিউর ল্যাব এবং জিডিজি ঢাকা-এর সাথে সম্মিলিতভাবে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে বাংলালিংক।
প্রযুক্তিতে আগ্রহী তরুণ, দক্ষ প্রোগ্রামার এবং একই সাথে কোডিং-ডিজাইনে আগ্রহী ও সমস্যা সমাধানে উৎসাহীরা ২২-২৩ ডিসেম্বর, ২০১৮-তে অনুষ্ঠিতব্য ২৪ ঘন্টা ব্যাপী এই হ্যাকাথনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য আগ্রহীদেরকে একটি ৩ সদস্যের দল গঠন করতে হবে এবং ৫টি এসডিজি ক্ষেত্র সংক্রান্ত সমস্যার উদ্ভাবনী সমাধান সাবমিট করতে হবে এই ওয়েবসাইটে: https://sdghackathon.banglalink.net/ । এই ৫টি এসডিজি ক্ষেত্র হলো গুণগত শিক্ষা, লিঙ্গ সমতা, শিল্প-উদ্ভাবন-অবকাঠামো, জলবায়ু সংক্রান্ত উদ্যোগ এবং টেকশই শহর ও সমাজ। হ্যাকাথনটি সম্পর্কে প্রয়োজনীয় সকল তথ্য পাওয়া যাবে উপরোক্ত ওয়েবসাইটে। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য আবেদন করা যাবে ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৮ পর্যন্ত।
প্রাথমিক বাছাই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য বিবেচিত দলগুলিকে নির্বাচিত করা হবে। নির্বাচিত দলগুলি ২৪ ঘন্টা ব্যাপী এই প্রোগ্রামে তাদের সমস্যা সমাধানের দক্ষতা প্রদর্শনের সুযোগ পাবে। বিশেষ এই প্রতিযোগিতায় থাকছে বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে গঠিত জাজ প্যানেলের সামনে পিচিং সেশনে অংশগ্রহণের সুযোগ। প্রতিযোগীতের প্রস্তাবিত সমাধানগুলির কার্যকারিতা ও অভিনবত্বের উপর ভিত্তি করে বিচারকরা প্রতিযোগিতার বিজয়ী দল ঘোষণা করবেন। বিজয়ী দল পাবে বাংলালিংক-এর সঙ্গে পার্টনারশিপের আকর্ষণীয় সুযোগ ।
বাংলালিংক-এর চিফ কর্পোরেট এ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার তাইমুর রহমান বলেন, “দেশের অন্যতম ডিজিটাল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান হিসেবে বাংলালিংক উদ্ভাবনী ডিজিটাল উদ্যোগের মাধ্যমে ভবিষ্যতে দেশের টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে দৃষ্টান্তমূলক ভূমিকা পালন করতে চায়। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে, আমাদের মেধাবী তরুণদের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা সাফল্যের সাথে অর্জনের জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা রয়েছে। বাংলালিংক এসডিজি হ্যাকাথন তাদেরকে দক্ষতা প্রদর্শন ও বিভিন্ন আর্থ-সামাজিক সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার সুযোগ করে দিচ্ছে।”
প্রেনিউর ল্যাব-এর সিইও আরিফ নিজামী বলেন, “বাংলালিংক-এর মতো একটি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানের সাথে যৌথভাবে এ ধরনের একটি উদ্যোগ গ্রহণ করতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। ভবিষ্যতে টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করার জন্য বাংলাদেশকে এসডিজি সংক্রান্ত সমস্যাগুলিকে চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। মেধাবী তরুণরা তাদের উদ্ভাবনী উদ্যোগের মাধ্যমে এই প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।”
গ্রাহকদের উন্নত মানের ডিজিটাল সেবা প্রদানের পাশাপাশি বাংলালিংক বিভিন্ন উদ্ভাবনী ডিজিটাল উদ্যোগের মাধ্যমে দেশের আর্থ-সামাজিক অবকাঠামোকে শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। ভবিষ্যতেও এ ধরনের উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে অনুরূপ ভূমিকা পালন অব্যাহত রাখতে চায় দেশের অন্যতম ডিজিটাল সেবাদাতা এই প্রতিষ্ঠান ।