বাংলাদেশের বিজয় দিবস উপলক্ষে টিকটক চালু করেছে #আমারবাংলাদেশ ক্যাম্পেইন। এই ক্যাম্পেইনটি চলবে সারা ডিসেম্বর মাস জুড়ে। বাংলাদেশিদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য তুলে ধরতে এবং ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে জাতির জয় উদযাপন করতে টিকটকের এই উদ্যোগ।
#আমারবাংলাদেশ হ্যাশট্যাগ ক্যাম্পেইনের লক্ষ্য হল বাংলাদেশের সমৃদ্ধ ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতির জন্য একটি ডিজিটাল জায়গা তৈরি করা। একই সাথে এর মধ্য দিয়ে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো। এই ক্যাম্পেইনে দেশের ঐতিহ্য এবং শহরগুলোর সৌন্দর্য নিয়ে নানান গল্প টিকটকে তুলে ধরতে উৎসাহিত করা হচ্ছে। বিভিন্ন শহর নিয়ে নিজেদের আরও অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে ব্যবহার করা যাবে টিকটক অ্যাপের লোকেশন ট্যাগিং এবং পয়েন্টস অফ ইন্টারেস্ট (পিওআই) ফিচার।
১৬ই ডিসেম্বর পর্যন্ত #আমারবাংলাদেশ ক্যাম্পেইনে ইতিমধ্যে ৫৯৪.৫ মিলিয়ন হ্যাশট্যাগ ভিউ হয়েছে, যেখানে দেখা গিয়েছে জাতীয় ঐতিহ্যের নানান উদযাপন। এই ক্যাম্পেইনটি বিজয় দিবসের ইতিহাসকে গুরুত্ব দেয়। জাতিগত পরিচয় এবং ইতিহাসের স্মৃতিকথাকে তুলে ধরার জন্য প্ল্যাটফর্মটি বাংলাদেশে টিকটকের কমিউনিটির জন্য একটি জায়গা হয়ে উঠেছে।
ভ্রমণের জন্য পরিচিত রবিউল টিকটকে শেয়ার করেন দেশের অজানা সব স্থানকে। রবিউল বলেন, “আমাদের দেশের রয়েছে একটি সমৃদ্ধ ইতিহাস এবং অদেখা নানান সুন্দর দিক যেখানে আছে মানুষ, সংস্কৃতি, অনন্যতা, সরলতা এবং আমাদের প্রকৃতি। আমি এই সব কিছুকে তুলে ধরতে চাই। টিকটক আমার জন্য এমন একটি প্ল্যাটফর্ম যেখানে নিজেকে আমি প্রকাশ করতে পারি এবং আমি যা পছন্দ করি তা এখানে নিজের মত করে তুলে ধরতে পারি।”
টিকটক ক্রিয়েটর ক্যাথরিন খেয়া কনটেন্ট তৈরি করেন ফ্যাশন এবং লাইফস্টাইল সম্পর্কে, বিশেষ করে তুলে ধরেন বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী পোশাককে। তিনি বলেন, “আমি বাংলাদেশি পোশাক পরতে পছন্দ করি, বিশেষ করে যে পোশাকগুলো তৈরি হয় বাংলাদেশি কাপড় দিয়ে। সাধারণ বাঙালি লুকের জন্য আমি জামদানি এবং মসলিন শাড়ি পরি। দেশের উৎসবগুলো নিয়েও আমি ভ্লগ তৈরি করি যেন তার মধ্য দিয়ে প্রকাশ পায় বাংলাদেশের সংস্কৃতি। টিকটকের মাধ্যমে আমি বিশ্বের কাছে বাংলাদেশি এই ফ্যাশন এবং লাইফস্টাইল তুলে ধরতে পারছি।”
ফুডখোর নামে পরিচিত রিজোন বলেন, “বাংলাদেশি রন্ধনশিল্পের না জানা দিকগুলো খুঁজে পেতে আমি পছন্দ করি। খাওয়াদাওয়ার জন্য বাংলাদেশে রয়েছে চমৎকার সব জায়গা এবং আমি সেরা খাবারগুলোর জন্য দেশের প্রতিটি কোণ ঘুরে বেড়াতে আনন্দ পাই। আমার প্যাশন এবং বাংলাদেশের ক্যুজিন অন্যদের সাথে শেয়ার করার জন্য টিকটক একটি দারুন প্ল্যাটফর্ম।”
এমন ক্রিয়েটরদের মতো আরও অনেকেই টিকটক প্ল্যাটফর্মটি ব্যবহার করে বাংলাদেশের বৈচিত্র্যগুলোকে তুলে ধরছেন। ফ্যাশন, উৎসব, প্রকৃতি, সংস্কৃতি থেকে শুরু করে দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরছেন এই কনটেন্ট ক্রিয়েটররা। দেশীয় সংস্কৃতি এবং এর উদযাপনগুলো তুলে ধরার জন্য টিকটক একটি জায়গা তৈরি করে দিতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। #আমারবাংলাদেশ ক্যাম্পেইনটির মাধ্যমে, টিকটক বাংলাদেশের ইতিহাসকে স্মরণ করছে এবং বিশ্বের কাছে দেশের সংস্কৃতিকে প্রচার করছে।