TechJano

বেসরকারি কলেজকে জাতীয়করণে ক্যাডার অন্তর্ভূক্তির নতুন বিধিমালা

জাতীয়করণ হতে যাওয়া বেসরকারি কলেজের শিক্ষকেরা শিক্ষা ক্যাডারভুক্ত হতে পারবেন। তবে এ জন্য তাঁদের সরকারি কর্ম কমিশনের অধীনে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। এই সুযোগ রেখে ‘সরকারিকৃত কলেজশিক্ষক ও কর্মচারী আত্তীকৃত বিধিমালা ২০১৮’ জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

এই নীতিমালার ভিত্তিতেই দেশের ২৮৩টি বেসরকারি কলেজকে জাতীয়করণ করার আদেশ জারি করতে যাচ্ছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এর ফলে দুই বছর ধরে কলেজশিক্ষকদের মধ্যে ক্যাডার ও নন-ক্যাডার নিয়ে যে দ্বন্দ্ব চলছে, সেটা নিরসন হবে বলে মনে করছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। তবে বিসিএস পরীক্ষা দিয়ে সরকারি কলেজে (শিক্ষা ক্যাডার) চাকরি পাওয়া শিক্ষক ও কর্মকর্তারা বলছেন, জাতীয়করণ হওয়া কলেজশিক্ষকদের নন-ক্যাডারই করতে হবে। অন্যথায় তাঁরা মানবেন না।

তবে ‘সরকারিকৃত কলেজশিক্ষক ও কর্মচারী আত্তীকৃত বিধিমালা ২০১৮’ তে বলা হয়েছে, কোনো শিক্ষক শিক্ষা ক্যাডারে অন্তর্ভুক্তির উদ্দেশ্যে ওই ক্যাডারের প্রভাষক পদে নিয়োগের জন্য প্রয়োজনীয় যোগ্যতা থাকলে পিএসসির অধীনে গৃহীত পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন। কোনো শিক্ষক ওই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে পিএসসি কর্তৃক সুপারিশপ্রাপ্ত হলে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ তাঁকে শিক্ষা ক্যাডারে প্রভাষক পদে নিয়োগ দিতে পারবে। যোগদানের তারিখ থেকে শিক্ষা ক্যাডারে অন্তর্ভুক্ত হবেন। ক্যাডারে অন্তর্ভুক্ত হওয়া শিক্ষকেরা বিভিন্ন সরকারি কলেজ ও দপ্তরে বদলি হতে পারবেন।

গতকাল এই বিধিমালা জারি হয় বলে জানিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন। তিনি বলেন, শিগগিরই জাতীয়করণের তালিকায় থাকা বেসরকারি কলেজগুলোকে সরকারিকরণের আদেশ জারি করা হবে। নতুন বিধিমালা অনুযায়ী সাধারণভাবে সরকারি হতে যাওয়া কলেজের অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, সহকারী অধ্যাপক ও প্রভাষকেরা নন–ক্যাডার হিসেবে নিজ নিজ পদে নিয়োগ পাবেন। তাঁদের চাকরি বদলিযোগ্য হবে না।

যেসব উপজেলায় সরকারি কলেজ নেই, সেগুলোতে একটি করে কলেজ জাতীয়করণের জন্য ২০১৬ সাল থেকে তালিকাভুক্তির কাজ শুরু করে সরকার। বিভিন্ন ধাপ পেরিয়ে ২৮৩টি কলেজ জাতীয়করণের জন্য ঠিক করে ওই সব কলেজের সব সম্পত্তি ইতিমধ্যে সরকারের নামে দান (ডিড অব গিফট) করা হয়েছে। জাতীয়করণের তালিকায় থাকা কলেজগুলোতে ৮ থেকে ১০ হাজার শিক্ষক আছেন। নিয়মানুযায়ী কাঠামোভুক্ত (প্যাটার্ন) শিক্ষকেরা সরকারি হবেন। কিন্তু এসব শিক্ষকের অবস্থান, মর্যাদা এবং বদলি ও পদোন্নতি কীভাবে হবে তা দুই বছরেও ঠিক না হওয়ায় সরকারি আদেশ জারি হয়নি। বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তাদের দাবি, ওই সব কলেজের শিক্ষকদের নন-ক্যাডার রাখতে হবে। এ জন্য তাঁরা দীর্ঘদিন আন্দোলন করেছেন। আর জাতীয়করণ হতে যাওয়া কলেজশিক্ষকেরা চান পুরোনো নিয়মে তাঁদেরও ক্যাডারভুক্ত করতে হবে। বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। এর মধ্যে ‘সরকারিকৃত কলেজশিক্ষক ও কর্মচারী আত্তীকৃত বিধিমালা ২০১৮’ জারি করা হলো।

Exit mobile version