আজ ৩০ ডিসেম্বর ২০১৯ সোমবার মন্ত্রিপরিষদের নিয়মিত বৈঠকে স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড নামে সম্পূর্ণ সরকারি মালিকানাধীন একটি ভেঞ্চার ক্যাপিটাল কোম্পানির চূড়ান্ত অনুমোদন প্রদান করা হয়। বাংলাদেশে একটি টেকসই স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম তৈরিতে সরকারি মালিকানায় প্রথম ভেঞ্চার ক্যাপিটাল কোম্পানি হিসেবে স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড বিশেষ ভূমিকা পালন করার পাশাপাশি সরকারের রূপকল্প-২০২১ বাস্তবায়নের কাজকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে। এর আগে, গত ১৯ আগস্ট ২০১৯ মন্ত্রিপরিষদের নিয়মিত বৈঠকে এই কোম্পানির নীতিগত অনুমোদন প্রদান করা হয়। পরবর্তীতে, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ কর্তৃক কোম্পানিটির আইনগত বিষয়সমূহের খুঁটিনাটি যাচাইপূর্বক অনুমোদন দেওয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় আজ মন্ত্রিসভায় এই আইনটি চূড়ান্ত অনুমোদন পায়।
প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক মাননীয় উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ – এর তত্ত্বাবধান ও নির্দেশনায় ২০১৬ সাল থেকে আইসিটি ডিভিশনের আওতায় বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের অধীনে “উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তা উন্নয়ন একাডেমী প্রতিষ্ঠাকরণ প্রকল্প (iDEA)” এর মাধ্যমে স্টার্টআপদের উদ্ভাবনী ধারণাকে সফল ব্যবসায় রুপান্তরিত করার লক্ষ্যে প্রণোদনা ও সার্বিক সহোযোগিতা প্রদানের জন্যে একটি স্টার্টআপ সংস্কৃতি তৈরির কার্যক্রম শুরু হয়। ইতোমধ্যে স্টার্টআপ বাংলাদেশ-আইডিয়া প্রকল্পের মাধ্যমে প্রায় ১২৬টি স্টার্টআপকে অনুদান প্রদান করা হয়েছে। সরকারি মালিকানায় প্রথম ভেঞ্চার ক্যাপিটাল কোম্পানি হতে স্টার্টআপদেরকে মূল্যায়নের প্রেক্ষিতে সীড স্টেজে সর্বোচ্চ ১ কোটি এবং গ্রোথ স্টেজে প্রতি রাঊন্ডে সর্বোচ্চ ৫ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা যাবে।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, এমপি এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড কোম্পানি গঠনের আইনের খসড়াটি মন্ত্রিসভায় আজ উপস্থাপন করেন।