ভয়াবহ রূপ নিল ইসরায়েল হিজবুল্লাহ যুদ্ধ। ভয়াবহ পেজার ও ওয়াকিটকি হামলার পর সবচেয়ে বড় বিমান হামলা করল ইসরায়েল।
সোমবার লেবাননে ইসরায়েলের ভয়াবহ বিমান হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৭৪ জনে দাঁড়িয়েছে। এদের মধ্যে ২১ জন শিশু এবং ৩৯ জন নারী রয়েছে। এ হামলায় আহত হয়েছে ১ হাজারেরও বেশি মানুষ।
সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে রাতে এ খবর জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
এর আগে লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় প্রথমে জানিয়েছিল, সোমবারের ইসরায়েলি হামলায় নারী, শিশু ও চিকিৎসকসহ কমপক্ষে ১০০ জন নিহত হয়েছেন এবং ৩০০ জনের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। পরে জানানো হয় ১৮২ জন নিহত এবং ৭২৭ জন আহত হয়েছেন।
প্রায় এক বছর ধরে সীমান্তে পাল্টিপাল্টি হামলা করে আসছে হিজবুল্লাহ যোদ্ধা ও ইসরায়েলি সেনারা। সম্প্রতি গাজা থেকে নিজেদের যুদ্ধের মূল ক্ষেত্র লেবাননে নেয়ার ঘোষণা দেয় নেতানিয়াহু সরকার। এই ঘোষণার পর থেকেই দেশটিতে একের পর এক ভয়াবহ হামলা করে আসছে ইসরায়েলি সেনারা।
এদিকে সোমবার এক ভিডিও বার্তায় ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োয়াভ গ্যালান্ট বলেছেন, আমরা লেবাননে আমাদের আক্রমণ জোরদার করছি। আমাদের লক্ষ্য অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত অভিযান চলবে যাতে উত্তরের বাসিন্দারা নিরাপদে তাদের বাড়িতে ফিরে যেতে পারেন। তাই ইসরায়েলি জনগণকে সংযম দেখাতে হবে।
এদিকে ইসরায়েলি হামলার পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে ইসরায়েলে রকেট ছুড়েছে হিজবুল্লাহও।
লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠীটি একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা লেবাননের দক্ষিণ ও পূর্বে ইসরায়েলি হামলার প্রতিশোধ নিতে ইসরায়েলি দুটি সামরিক ঘাঁটিকে লক্ষ্যবস্তু করেছে।
হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, লেবাননের দুটি ইসরায়েলি ঘাঁটিতে ‘ডজন ডজন রকেট’ নিক্ষেপ করা হয়েছে। প্রতিশোধের অংশ হিসাবে দিনের শুরুতে আরো তিনটি স্থাপনাকে লক্ষ্য করা হয়।
লেবানন থেকে রকেট ছোড়ার বিষয়টি ইসরায়েলি সেনাবাহিনীও নিশ্চিত করেছে। তারা বলছে, লেবানন থেকে ৩৫টি রকেট ছোড়া হয়েছে। এসব রকেট কারমেল এবং গ্যালিলির উত্তর, দক্ষিণ ও মধ্য অঞ্চলে ছোড়া হয়।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী তাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনী বেশ কয়েকটি রকেট প্রতিহত করেছে। আমরা ফাঁকা এলাকায় রকেট পড়ার ঘটনা শনাক্ত করেছি।
এদিকে লেবাননের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ফিরাস আবিয়াদ জানিয়েছেন, ইসরায়েলি বোমা হামলায় বাড়িঘর, চিকিৎসা কেন্দ্র, অ্যাম্বুলেন্স ও পলায়নরত মানুষের গাড়ি টার্গেট করা হয়েছে। তাদের হামলায় ২১ শিশু, ৩৯ জন নারী ও দুজন চিকিৎসকসহ অন্তত ২৭৪ জন নিহত হয়েছেন।