TechJano

শহর-গ্রামের বৈষম্য দূর হবে অনলাইন প্রশিক্ষণে: পলক

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, করোনার কারণে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হাওয়ায় অনলাইন ক্লাসই আমাদের ভবিষ্যৎ। করোনা অনলাইন শিক্ষায় নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। আর এ অনলাইন প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চালুর মাধ্যমে শহর ও গ্রামের বৈষম্য দূর হবে।

সোমবার জুম অনলাইন প্লাটফর্মে আইসিটি বিভাগের অধীন লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের অনলাইন প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের উদ্বোধনীতে অনলাইন কনফারেন্সে এসব কথা বলেন তিনি।

প্রযুক্তি জ্ঞানকে উন্মুক্ত করেছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের ৭০ শতাংশ তরুণের আত্মকর্মস্থান নিশ্চিত করতে অনলাইনে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু করেছে আইসিটি বিভাগের লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং প্রকল্প। করোনার মধ্যেও প্রকল্পটির অধীনে এসএসসি ও এইচএসসি পাস তরুণদের প্রশিক্ষণ দিয়ে আত্মকর্মসংস্থান করে দেয়ার উদ্যোগ চলমান রাখা গেছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিকনির্দেশনা ও আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের পরামর্শে বাস্তবধর্মী বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়নের ফলে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমরা অনেক দূর এগিয়ে গেছি। দেশজুড়ে ইউনিয়ন পর্যায়ে উচ্চগতির ইন্টারনেট ও পেমেন্ট গেটওয়ে অবকাঠামো তৈরি করা হয়েছে। এর ফলেই এখন ঘরে বসেই দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির মতো ফ্রিল্যান্সার প্রশিক্ষণের কার্যক্রম অনলাইনে শুরু করা সম্ভব হয়েছে।

উল্লেখ্য, অনলাইনেই প্রশিক্ষণ নিতে এক লাখ ৮৫ হাজার শিক্ষার্থী নিবন্ধন করে। তবে পিসি ও উচ্চগতির নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সংযোগ রয়েছে এমন ১৫টি ভাগে ভাগ করে দেশের ৪৯২ স্থানে ৪০ হাজার প্রশিক্ষণার্থীকে পর্যায়ক্রমে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। এ জন্য ৩৯টি আইটি প্রতিষ্ঠানকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। ১৫টি জেলায় ওয়েব, গ্রাফিক্স ও ডিজিটাল মার্কেটিং ৩টি কোর্সের ওপর ২০০ ঘণ্টার এই প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে।

আইসিটি সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. আখতার মামুন ও প্রশিক্ষণ উপকরণ পরিকল্পনাকারী শফিউল আলম বক্তব্য রাখেন।

Exit mobile version