TechJano

শাওমি ভক্তদের জন্য সুখবর আছে: দেওয়ান কানন

শাওমি বাংলাদেশের পরিবেশক সোলার ইলেক্ট্রো বাংলাদেশ লিমিটেড-এর  প্রধান নির্বাহী দেওয়ান কানন। বাংলাদেশে শাওমির এগিয়ে চলা নিয়ে কথা বলেছেন তিনি।

স্মার্টফোন বাজারের অবস্থা কি?
দেওয়ান কানন: গত বছরের প্রথম প্রান্তিকের সাথে তুলনা করলে এ বছরে স্মার্টফোনের বাজার একটু নিম্নমুখী। বিশেষ করে গত দুটি প্রান্তিকে অন্য ব্র্যান্ডের তুলনায় ধারাবাহিকভাবে শুধু শাওমি ও আইটেল এর প্রবৃদ্ধি ছিল চোখে পরার মত। শাওমি এ সময় ২০০ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি অর্জন করে সাড়ে চার শতাংশের বেশি মার্কেট শেয়ার দখল করেছে। দেশে তরুণদের আকর্ষণ করে শাওমি নতুন স্মার্টফোন এনেছে। এর উন্নত ফিচার ও সাশ্রয়ী দাম তরুণ স্মার্টফোন ক্রেতাদের আকর্ষণ করায় বাজারে কাটতি বাড়াতে পেরেছে প্রতিষ্ঠানটি।

মার্কেট শেয়ার দখলের লক্ষে উন্নত ফিচারের মান সম্মত স্মার্টফোন সাশ্রয়ী দামে দেশের বাজারে ছাড়ার পরিকল্পনা রয়েছে।

নতুন পরিকল্পনা কি?
দেওয়ান কানন: বাংলাদেশের বাজারে শাওমি ব্র্যান্ডকে সহজে মি-ফ্যানদের নাগালে পৌঁছে দিতে কিছু পরিকল্পনার রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় এ মাসের মধ্যেই আমরা ৪৬টি জেলায় ১০০ টির বেশি মি-স্টোর চালু করতে যাচ্ছি এবং ২০১৮ সালের মধ্যে ৬৪ জেলাতেই ব্র্যান্ডশপ স্থাপনের পাশাপাশি ব্যবসায়িক দিক থেকে অগ্রগণ্য কিছু উপজেলাতেও ব্র্যান্ডশপ স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে। গ্রাহকদের আরও সহজে পরিমার্জিত সেবা দেবার লক্ষে এবছরেই আমরা দেশব্যাপী ২০ টি গ্রাহক সেবা কেন্দ্র চালু করতে যাচ্ছি।

বাংলাদেশের বাজারকে কেমন দেখছে শাওমি?
দেওয়ান কানন: শাওমি এখন বাংলাদেশকে প্রায়োরিটি মার্কেট হিসেবে গণ্য করছে। মাঝে বাজারে শাওমির চাহিদার সাথে সরবরাহের সামঞ্জস্যের ঘাটতি থাকলেও এখন বাজারে চাহিদা ও সরবরাহের সামঞ্জস্য বিদ্যমান। ভবিষ্যত লক্ষ্য অর্জন ও আরও মার্কেট শেয়ার দখলের লক্ষে শাওমি উন্নত ফিচারের মান সম্মত স্মার্টফোন সাশ্রয়ী দামে দেশের বাজারে ছাড়ার পরিকল্পনা করছে। তরুণ প্রজন্ম হচ্ছে শাওমির টার্গেট গ্রুপ। তাঁরাই মূলত স্মার্টফোন ক্রয়ের সিদ্ধান্ত গ্রহণে ভূমিকা রাখেন। আসলে শাওমি প্রজন্মের চাহিদা মাথায় রেখেই তাদের পণ্য বাজারে আনে।

রেডমি নোট-৫ এ সাড়া কেমন?
দেওয়ান কানন: সম্প্রতি বাজারে এসেছে রেডমি নোট-৫ নামের স্মার্টফোন। স্মার্টফোনটির অন্যতম আকর্ষণ এর ক্যামেরা।  এর পেছনে ১২ মেগাপিক্সেল ও ৫ মেগাপিক্সেলের দুটি লেন্স ও সামনে রয়েছে ১৩ মেগাপিক্সেলের লেন্স। ক্যামেরা ফাংশনে ব্যবহার করা হয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি। ১৯ মে থেকে আগাম ফরমাশ শুরু হয়। এতে দারুণ সাড়া পাওয়া যায়। স্মার্টফোনটির দুটি সংস্করণ রয়েছে। একটির দাম ২০ হাজার ৯৯০ টাকা এবং ৪ গিগা র্যাম ও ৬৪ গিগা স্টোরেজ সংস্করণটির দাম ২৩ হাজার ৯৯০। দুটি সংস্করণে ১২৮ গিগা পর্যন্ত মেমোরি কার্ড সংযুক্ত করা যায়। শাওমির নতুন এই স্মার্টফোনের ৫ দশমিক ৯৯ ইঞ্চির ফুল এইচডি প্লাস ডিসপ্লে রয়েছে। এতে দ্রুতগতির প্রসেসর ও ৪ হাজার মিলি-অ্যাম্পিয়ার ক্ষমতার ব্যাটারি রয়েছে।

নতুন কি আসছে?
দেওয়ান কানন: নতুন স্মার্টফোন হিসেবে শিগগিরই আসছে নতুন ফ্ল্যাগশিপ মি মিক্স ২ এস নামের একটি স্মার্টফোন। দারুণ ফিচার সমৃদ্ধ হবে ফোনটি।

কি থাকবে মি মিক্স টু এস স্মার্টফোনটিতে?
দেওয়ান কানন: মি মিক্স ২ এস হলো শাওমি’র ষ্টেট-অব-দ্য-আর্ট ফ্ল্যাগশিপ মডেল। ডিজাইনের দিক থেকে এটিতে অনেক প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। এ মডেলটি মূলত প্রিমিয়াম কাস্টমারদের টার্গেট করেই বাজারে আনা হয়েছে। এটিতে বাজারের সর্বাধুনিক প্রযুক্তির চিপ প্রস্তুতকারক মার্কেট লিডার কোয়ালকমের ফ্ল্যাগশিপ প্রসেসর স্ন্যাপড্রাগন ৮৪৫ চিপসেট ব্যবহার করা হয়েছে। ৫,৯৯ ইঞ্চির বেজেল-লেস স্ক্রীনের প্রিমিয়াম এক্সপেরিয়েন্স ফোনটিকে করেছে আরও সৌন্দর্যশালী। কয়েক ধাপের ষ্টোরেজ সুবিধা সম্বলিত এ মডেলটিতে আছে বুদ্ধিমত্তাযুক্ত নানা সুবিধা। স্মার্টফোনটির পেছনে ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক দৃশ্য শনাক্তকরণ প্রযুক্তি ও উন্নত ফেস আনলক ফিচারের মতো নতুন কিছু ফিচার থাকবে।

ফোন কেনার ক্ষেত্রে কি পরামর্শ দেবেন?
দেওয়ান কানন: বাংলাদেশের স্মার্টফোন ব্যবহারকারীরা এখন ৪জি নেটওয়ার্ক এর আওতায় চলে এসেছে। এক্ষেত্রে শাওমি হবে তাদের প্রথম পছন্দ। কারণ, শাওমি’র প্রতিটি স্মার্টফোনই ৪জি এনাবল্ড। পারফর্মেন্সের দিক থেকেও অগ্রগণ্য। অভার-অল পারফর্মেন্সের সাথে শাওমির ব্যাটারি ব্যাক-আপ যেকোন ব্র্যান্ডের সাথে অতুলনীয়। বিশেষ করে শাওমি’র এমআই-ইউআই এর ব্যবহারকারীদের দিয়েছে ভিন্ন স্বাদের এক্সপেরিয়েন্স যা সব থেকে আলাদা। সব দিক থেকে বলা যায় শাওমি’ই হবে সবার প্রথম পছন্দ।

ধন্যবাদ টেকজানোর পাঠকদের।

আপনার কিছু জানার থাকলে নিচে মন্তব্য লিখুন। সব প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে।

Exit mobile version