সিঙ্গাপুরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মাইক্রোসফটের ইনোভেটিভ প্রোগ্রামের শিক্ষকদের নিয়ে বার্ষিক এডুকেশন এক্সচেঞ্জ (E2) সম্মেলন আয়োজন করেছে মাইক্রোসফট। সম্মেলনে প্রযুক্তিগত সহায়তার মাধ্যমে শ্রেণিকক্ষে শিক্ষাদানের ক্ষেত্রে কিভাবে অভিনব নীরিক্ষা চালানো যায় এবং শিক্ষণ প্রক্রিয়া, দক্ষতা উন্নয়ন, আধুনিক শিক্ষণ পদ্ধতি, নিরাপদ বিদ্যালয় পরিবেশ, শিক্ষার্থীর ঝুকি নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণীমূলক বিশ্লেষণ সহ শিক্ষাখাতের বর্তমান প্রবণতা নিয়ে ধারণার আদান-প্রদান করা হয়।
তিন দিনব্যাপী এ সম্মেলনে মাইক্রোসফট ইনোভেটিভ এডুকেটরদের (এমআইই) স্বীকৃতি দেয়া হয় এবং কনটেন্ট, শিক্ষণ পদ্ধতি, প্রযুক্তির দৃষ্টান্তমূলক সমন্বয় সাধনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের প্রস্তুত করে তুলতে ও ডিজিটাল যুগে তাদের সফলতা অর্জনে শিক্ষকদের স্বীকৃতির উদযাপন করা হয়।
মাইক্রোসফটের ওয়ার্ল্ড ওয়াইড এডুকেশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট অ্যান্থনি সালসিটো বলেন, ‘মাইক্রোসফটে আমরা বিশ্বাস করি, শিক্ষকরাই আসল বীর। তারাই শেখার রূপান্তরের ক্ষেত্রে সকল সম্ভাবনাকে সর্বোচ্চ সম্ভাবনার দিকে নিয়ে যাচ্ছেন। যা শিক্ষার রূপান্তরে এবং শিক্ষার্থীদের সারাজীবনের অভিজ্ঞতা ও দক্ষতার ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষ প্রভাব রাখছে।
সম্মেলনে এ রকমই একজন শিক্ষক ছিলেন রিচার্ড আপ্পিয়াহ আকোতো (আউরা কোয়াদো)। আকোতো ঘানার একজন শিক্ষক যিনি চক আর বোর্ডের মাধ্যমে তার শিক্ষার্থীদের তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক শিক্ষা দেন। স্থানীয় অংশীদার প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে মাইক্রোসফট প্রয়োজনীয় ডিভাইস ও সফটওয়্যার দেয়ার ব্যাপারে আকোতোর সাথে কাজ করবে। পাশাপাশি, প্রতিষ্ঠানটি মাইক্রোসফট সার্টিফাইড এডুকেটর প্রোগ্রামে (এমসিই) পেশাদারিত্বের উন্নয়নের সুযোগ নিয়েও কাজ করবে।
এমসিই, শিক্ষকদের জন্য এক ধরনের সুযোগ হিসেবে কাজ করে। এর মাধ্যমে শিক্ষকরা শিক্ষাদানের ক্ষেত্রে নিজেদের উৎসাতের পরিচর্যা করার সুযোগ পাবেন এবং শিক্ষার্থীদের জন্য সমৃদ্ধ উপায়ে শিক্ষাদান বিষয়ক অভিজ্ঞতা গ্রহণ করতে পারবেন।
শিক্ষাখাতে মাইক্রোসফট নিয়ে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন: https://education.microsoft.com/