সিঙ্গাপুরে প্রথম কোনো আইসিটি একাডেমি প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে সম্মত হয়েছে বিশ্বব্যাপী তথ্যপ্রযুক্তি সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে এবং দেশটির নানইয়াং পলিটেকনিক (এনওয়াইপি)। সম্প্রতি এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠান দুটির মধ্যে একটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। হুয়াওয়ে আইসিটি একাডেমির মূল লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে- যৌথ গবেষণা, শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আইসিটি দক্ষতা বাড়ানো। নেটওয়ার্কিং প্রযুক্তিতে সনদ পাওয়ার পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা এই একাডেমি থেকে হাতেকলমে দক্ষতা অর্জন করতে পারবেন।
বিশ্বে সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে ‘হুয়াওয়ে আইসিটি একাডেমি’ বা ‘হুয়াওয়ে অথোরাইজড ইনফরমেশন নেটওয়ার্ক একাডেমি’ বিভিন্ন শিক্ষামূলক প্রকল্প বাস্তবায়ন করে থাকে। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের সহায়তায় মেধাবী শিক্ষার্থীদের হুয়াওয়ে আইসিটি টেকনোলজিস এবং কোর্স পড়ানো হবে, সনদপত্র দেওয়া হবে এবং মেধা বিকাশে সহায়তা করা হবে। এছাড়াও এ প্রকল্পের আওতায় শিক্ষার্থীদের আইসিটি খাতে হাতেকলমে শিক্ষা নেওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করে দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে বিশ্বের যেকোনো দেশের যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয় হুয়াওয়ে আইসিটি অ্যাকাডেমির অংশ হতে পারবে।’
হুয়াওয়ে টেকনোলজিস কোম্পানি লিমিটেডের সাউদার্ন প্যাসিফিক এন্টারপ্রাইজ বিজনেস গ্রুপের প্রেসিডেন্ট ঝো দানজিন বলেন, ‘নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবনে তরুণ প্রজন্মকে সাহায়তা দেওয়াই হুয়াওয়ের মূল লক্ষ্য। হুয়াওয়ে অথোরাইজড ইনফরমেশন নেটওয়ার্ক একাডেমির প্রকল্পগুলোর মাধ্যমে আমরা এসটিইএম শিক্ষা ব্যবস্থা, গবেষণা এবং শিক্ষার উন্নয়নকে এগিয়ে নিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি, নানইয়াং পলিটেকনিকালের সঙ্গে আমাদের অংশীদারিত্ব শিক্ষার্থীদের নতুন ও প্রাসঙ্গিক দক্ষতা অর্জনের সুযোগ করে দেবে। ফলে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির নতুন নতুন উদ্ভাবনের বিষয়েও শিক্ষার্থীদের আকাঙ্ক্ষা পূরণ হবে, যা বিশ্বের ডিজিটাল অর্থনীতি উন্নয়নে অবদান রাখবে।
হুয়াওয়ের তথ্য অনুযায়ী, প্রতিষ্ঠানটি বিশ্বের ৩৫০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে হুয়াওয়ে আইসিটি একাডেমির শিক্ষার্থীদের শিক্ষা গ্রহণে সহায়তা করবে। গত বছর এই একাডেমির মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ১২ হাজার ৫০০ শিক্ষার্থীকে আইসিটি বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে, যাদের মধ্যে চার হাজার শিক্ষার্থী তাদের দক্ষতা উন্নয়নের জন্য সনদ পেয়েছেন। এই প্রকল্পের অধীনে একটি ‘দক্ষতা প্রতিযোগিতা’র আয়োজন করা হয়, যেখানে বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা চীনে গিয়ে চ’ড়ান্ত পর্বে অংশ নিতে পারেন। বাংলাদেশের মতো দ্রুত উন্নয়নশীল দেশগুলোর বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হুয়াওয়ের এই প্রকল্পের অংশীদার হতে পারে।