সাইবার অভ্যুত্থানের এই যুগে তথ্যের নিরাপত্তা, সংরক্ষণ ও সংশ্লেষণ এবং তথ্যের সময়মতো উপযুক্ত সঠিক ব্যবহারের ওপর নির্ভর করে ব্যাংক ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের অগ্রগতি ও সাফল্য। এসব প্রতিষ্ঠানের মূল্যবান তথ্যের উৎপাদনশীল ব্যবহার এবং সুরক্ষায় প্রযুক্তি ভিত্তিক সেবা দিতে ইতিমধ্যেই ব্যাংকিং খাতে কাজ শুরু করেছে ফিনটেক স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠান ক্রিপটো। বিদেশী নির্ভরতা কমিয়ে দেশের ব্যাংকিং, আর্থিক ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানসহ টেলিকম, মেডিকেল ও শিল্প প্রতিষ্ঠানের প্রফেশনাল সফটওয়্যার সল্যুশনস ও ডকুমেন্ট আর্কাইভিং সেবা দিতে শুরু করেছে।
এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি ঢাকার একটি হোটেলে সংযুক্তি আরব আমিরাত ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ইনটেলিকোন সিস্টেমস অ্যান্ড টেকনো সিআইটি’র সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি করেন ক্রিপটো লিমিটেড ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ তানজিল আহমেদ (আদনান)।
স্থানীয় মানবসম্পদ আর আন্তর্জাতিক মানের সমন্বয়ে মেধা ভিত্তিক প্রযুক্তি সেবার প্রত্যয় নিয়ে বাণিজ্যিক ব্যাংকের ইলেকট্রনিক ডকুমেন্ট সল্যুশন, ডকুমেন্ট ডিজিটালাইজেশন ও ফিজিক্যাল আর্কাইভিং সেবা দিতে শুরু করেছে। আইটি অ্যানাবল সার্ভিসের আওতায় দেশেই প্রযুক্তি দক্ষ জনবল গঠন ও তাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরির মধ্য দিয়ে এই ডিজিটাল ও সাইবার যুগে বাংলাদেশের অভিযাত্রাকে সমুন্বত করতেই এ উদ্যোগ বলে জানিয়েছেন ক্রিপটো লিমিটেড চেয়ারম্যান আহসান আদেলুর রহমান (আদেল)।
তিনি বলেন, সরকারের ডিজিটাল রূপকল্প বাস্তবায়ন করতে দেশের ব্যাংকিং, টেলিকম, পোশাক শিল্প ও মেডিকেল খাতের প্রযুক্তিকরণ ও ডিজিটাইজেশনে আমরা বাংলদেশের জনশক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে চেষ্টা করছি। বাংলাদেশও যে আন্তর্জাতিক মানের সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার ভিত্তিক অ্যাপ্লিকেশন সল্যুশন দিতে সক্ষম তার প্রমাণ দিতে কাজ শুরু করেছি। দেশকে উন্নয়নের দিকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিতেই আমাদের এ প্রচেষ্টা।
তিনি আরও বলেন, ক্রিপটো লিমিটেডের উদ্যোগে ঢাকায় একটি সফট ল্যাব প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। এই ল্যাবে ফিনটেক সল্যুশনস, বিগডেটা অ্যানালাইটিকস এবং আর্টিফিসিয়াল ইন্টিলিজেন্স নিয়ে কাজ করা হবে।
প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ তানজিল আহমেদ (আদনান) বলেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির যুগপৎ ব্যবহারের মাধ্যমে দেশকে সাইবার জগতের হুমকি থেকে নিরাপদ রাখা ও এই ডিজিটাল যুগে বাংলাদেশকে বহির্বিশ্বের সামনে একটি স্মার্ট কন্ট্রি হিসেবে অধিষ্ঠিত করাই ক্রিপ্টোর দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্য। আগামীতে আমাদের পরিধি আরও বাড়বে। তখন আমরা দেশ থেকেই বিদেশে সেবা রপ্তানি করতে পারবো।