কোভিড-১৯ এ নতুন স্বাভাবিক বাস্তবতায় স্বাস্থ্য পণ্য এবং দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় দ্রব্যের অনলাইন খুচরা বিক্রি বাড়লেও জুনে অনলাইন ব্যবসায় বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছেন ২৪ শতাংশ নারী। ফ্যাশন, কসমেটিক এবং আমদানি নির্ভর পণ্য নিয়ে যারা ফেসবুকের মতো প্লাটফর্ম ব্যবহার করে ব্যবসায় করতেন এপ্রিলে স্টক ফুরিয়ে যাওয়া এবং অর্ডার বাতিল হওয়ায় এমন বিপাকে পড়েছেন।
ব্র্যাক ইন্সটিটিউট অব গভর্নমেন্স অ্যান্ড ডেভেলপেন্ট (বিআইজিডি) পরিচালিত গবেষণায় এ তথ্য প্রকাশ পেয়েছে। রোববার এক ওয়েবিনারে এই উদ্বেগজনক ফলাফল উপস্থাপন করেন বিআইজিডি গবেষক মেহনাজ রাব্বানি।
গবেষণা বলা হয়, মহামারির কারণে গত বছরের ঈদ এবং পহেলা বৈশাখের তুলনায় কম রাজস্ব আয় হয়েছে ৭৯-৮৪ শতাংশ উদ্যোক্তা। এই চাপটি সবচেয়ে বেশি পড়েছে নারী উদ্যোক্তাদের ওপর।
বিআইজিডির প্রথম দফার জরিপ গবেষণায় দেখো গেছে, জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ১২১ জন কর্মচারীকে প্রথম ধাক্কাতেই ছাঁটাই করা হয়েছে। পরিস্থিতির উন্নতি না হলে আগামী সাত মাসের মধ্যে আরও ৫৫০ জনের চাকরি হুমকির মুখে পড়তে পারে।
অবশ্য উদ্যোক্তাদের একটি বড় অংশের বিশ্বাস, তাদের ব্যবসার উন্নতি হবে। গবেষণায় দেখা গেছে,গত এপ্রিল মাসে উদ্যোক্তাদের হার শতকরা ১৫% থেকে বেড়ে জুন মাসে ২১ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।
এছাড়াও এই ধাক্কার অনিশ্চয়তা কমেছে ৩০% থেকে ১৮%। সামগ্রিক ভাবে আত্মবিশ্বাসের মাত্রা বৃদ্ধির সাথে, প্রায় অর্ধেক উদ্যোক্তা এখন বিশ্বাস করেন, পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে তাদের ছয় মাস থেকে প্রায় এক বছর সময় লাগবে।
বাংলাদেশ মহিলা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (বিডব্লিউসিসিসিআই) প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি এবং সংসদ সদস্য সেলিমা আহমেদ, বিগ নির্বাহী পরিচালক ড. ইমরান মতিন এই ওয়েবিনারে বক্তব্য রাখেন।