অস্ট্রেলিয়া কনসার্টের মাধ্যমে শেষ হলো মাইলসের ৪০ বছর পূর্তিও আন্তর্জাতিক আয়োজন। যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা এবং অস্ট্রেলিয়া মিলে ২৮টি কনসার্ট করে মাইলস। যার মধ্যে ১৮টি যুক্তরাষ্ট্রে, ৭টি কানাডায় এবং ৩টি অনুষ্ঠিত হয় অস্ট্রেলিয়াতে। একটানা এতো বড় বিদেশ সফর রাংলাদেশের কোন ব্যান্ডের জন্য এটাই প্রথম। অস্ট্রেলিয়ায় তিন কনসার্টের মাধ্যমে শেষ হয় তাদের এই সফর। অস্ট্রেলিয়ায় প্রথম কনসার্টে ছিল ১৯ অক্টোবর সিডনিতে, এরপর ২৬ শে অক্টোবর ব্রীসবেনে এবং ২ নভেম্বর মেলবোর্নে।
চলতি বছরের ১৭ জনু এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে দেশ-বিদেশে কনসার্টের ঘোষণা দিয়েছিল ব্যান্ডটি। যুক্তরাষ্ট্র সফরের মাধ্যমে শুরু হয়ে কানাডার পরে অস্ট্রেলিয়ায় মাধ্যমে শেষ হয় মাইলসের আন্তজাতিক সফর।
৪০ বছর ধরেই মাইলস সক্রিয়ভাবে গান করছে। এছাড়া তাদের রয়েছে ১১টি গানের অ্যালবাম। পাশাপাশি ৪টি বেস্ট অব অ্যালবাম প্রকাশ করেছে মাইলস। এর মধ্যে ভারত থেকে দুটি এবং যুক্তরাষ্ট্র থেকে দুটি।
বাংলাদেশি ব্যান্ড হিসেবে ১৯৯৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম শো করে মাইলস। সেখানে মাইলস একক আয়োজনে অংশগ্রহণ করে। ১৯৭৯ সালে মাইলস যাত্রা শুরু করলেও মাইলসের জন্য ১৯৮২ সাল বেশ উল্লেখযোগ্য ছিল। কারণ তখন সাধারণ শ্রোতাদের সামনে হাজির হয় মাইলস। এর আগে শুধু হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে বাজাত মাইলস, যেখানে সাধারণ শ্রোতার আনাগোনা কম ছিল।
মাইলসের প্রথম বাংলা গানের অ্যালবাম ‘প্রতিশ্রুতি’ প্রকাশ হয় ১৯৯১ সালে। তার আগে প্রকাশিত হয় দুটি ইংরেজি গানের অ্যালবাম ‘মাইলস’ ও ‘এ স্টেপ ফাদার’। মাইলসের জনপ্রিয় গানগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘চাঁদ তারা সূর্য’, ‘প্রথম প্রেমের মতো’, ‘গুঞ্জন শুনি’, ‘সে কোন দরদিয়া’, ‘ফিরিয়ে দাও’, ‘ধিকি ধিকি’, ‘পাহাড়ি মেয়ে’, ‘নীলা’, ‘কী জাদু’, ‘কতকাল খুঁজব তোমায়’, ‘হৃদয়হীনা’, ‘স্বপ্নভঙ্গ’, ‘জ্বালা জ্বালা’, ‘শেষ ঠিকানা’, ‘পিয়াসি মন’, ‘বলব না তোমাকে’, ‘জাতীয় সংগীতের দ্বিতীয় লাইন’, ‘প্রিয়তমা মেঘ’ ইত্যাদি।