মানুষের মনের খোরাক মেটাতে পারে বই। অলস সময়কে রাঙিয়ে দিতেও এর জুড়ি নেই। হরেক রকমের স্বাদ এনে দেওয়াটাই যেন এর স্বভাব। বই পাঠকের তৃষ্ণা মিটিয়ে দেয় যেমন, তেমনি কখনও কখনও বাড়িয়ে দেয় তেষ্টাও, কখনও হাসায় আবার কখনও কাঁদায়, অজানাকে জানান দেয়, করে জ্ঞানের ভাণ্ডার পরিপূর্ণ।
বইয়ের এতএত আবেদন থাকার কারণেই পাঠক এই বইয়ের প্রতি এতটা আকর্ষিত।
বই পড়ুয়াদের কাছে একটি নতুন বই পাওয়া অনেক আনন্দের। কিন্তু আশেপাশে বইয়ের দোকান না থাকার কারণে অনেকের জন্যই বই সংগ্রহ করা কষ্টসাধ্য ব্যাপার। কিছুদিন আগেও ঢাকায় বসবাসরত মানুষের বইকেনার গন্তব্য ছিল নীলক্ষেত। ট্রাফিক-জ্যাম উপেক্ষা করে দূরের লাইব্রেরি থেকে সংগ্রহ করতে হতো বই। ঢাকার বাইরে থাকা মানুষের অবস্থা ছিল আরও করুণ।
কাছের লাইব্রেরির মাধ্যমে বই আনাতে আনাতে লেগে যেত প্রায় মাসখানেক সময়। এতে গুণতে হতো নির্দিষ্ট মূল্যের চেয়ে অধিক টাকা।
সময় বদলেছে। সেসব কষ্টের দিন একেবারেই নেই। প্রযুক্তির কল্যাণে এখন সবকিছুই কেনা যায় ঘরে বসে। বইও তার ব্যতিক্রম নয়। কোনো প্রকার ঝামেলা ছাড়াই যে কেউ ঘরে বসে পছন্দের মতো বই কিনতে পারে। রকমারি.কম (rokomari.com), বই বাজার ডট কম, বই উৎসব ডট কম হচ্ছে বুক স্টোরগুলোর মধ্যে অন্যতম।
এ ক্ষেত্রে রকমারি.কম অন্যান্য স্টোরগুলোর চেয়ে এগিয়ে। এদের আছে তথ্যবহুল ওয়েবসাইট। বই বিষয়ে তথ্যবহুল এই সাইটে মোবাইল, কম্পিউটার; উভয় ডিভাইস দিয়ে ভিজিট করে যেকেউ সংগ্রহ করতে দেশি বিদেশী সকল বই। রকমারি ডট কমের (rokomari.com) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খাইরুল আনাম রনির সাথে কথা হলে উনি বলেন, “রকমারি ডট কম যাত্রা শুরু করে ২০১২ থেকে।
এই ২০১২ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত অনলাইন থেকে বই কেনার হার বেড়েছে কয়েকশ গুন বেশি”। প্রতিটা প্রতিষ্ঠান নির্দিষ্ট ছাড়ের পাশাপাশি বিশেষ বিশেষ দিনগুলোতে বিভিন্ন অফার দিয়ে থাকে এই প্রতিষ্ঠান গুলো। যেকেউ খুব সহজেই ওয়েব সাইট ভিজিট করে কিংবা ১৬২৯৭ এ কল করে সংগ্রহ করতে পারেন পছন্দের বই।