সময় যত যাচ্ছে স্মার্টফোনের ইন্টার্নাল স্টোরেজ ততই বেড়ে চলেছে। সেই সাথে তাল মিলিয়ে চলছে অ্যাপের বহরও। তবে প্রয়োজনের তুলনায় ফোনের ইন্টার্নাল স্টোরেজ যেন সবসময়ই কম মনে হয়। তবে কিছু নিয়ম মেনে চললে সহজেই অ্যান্ড্রয়েড ফোনের অনেকটা জায়গা বাঁচিয়ে নেয়া যায়। জেনে নেই সেই উপায়গুলো সম্পর্কে।:
১. ক্যাশে ও ডেটা ক্লিয়ার ফোনের অ্যাপ ম্যানেজারে যান। সেখানে গিয়ে অ্যাপগুলো সিলেক্ট করুন। তারপর তার ডেটা ও ক্যাশে ডিলিট করুন। এতে পুরোনো অ্যাপ পছন্দ মুছে গেলেও একসঙ্গে অনেক জিবি বেঁচে যায়। তবে মনে রাখবেন, অ্যাপ ব্যবহারের সঙ্গে সঙ্গে ক্যাশে বাড়বে এবং আপডেটের সঙ্গে সঙ্গে ডেটা সাইজ বাড়বে।
২. লাইট অ্যাপ ব্যবহার করুন ফেসবুক, মেসেঞ্জারের মতো অ্যাপগুলোর কিন্তু লাইট ভার্সন রয়েছে। এর ফলে আপনার স্মার্টফোনের স্টোরেজ বাড়ে এবং ওএস-ও ফাস্ট কাজ করে।
৩. পুরোনো ডাউনলোড ডিলিট অনেক সময়ই আমরা বহু ফাইল ডাউনলোডের পর তা ডিলিট করতে ভুলে যাই। এর ফলে ওই ফাইলগুলো জায়গা নিয়ে বসে থাকে। তাই একদিন সময় করে ডাউনলোডস ফোল্ডারে যান। পুরোনো অপ্রয়োজনীয় ফাইলগুলো সিলেক্ট করে দিন ডিলিট টিপে। দেখবেন, অনেকটা হালকা হবে ফোনটি!
৪. গুগল ফটোস সাধারণ গ্যালারি স্টোরেজ না বাড়িয়ে গুগল ফটোসে ফটো ব্যাকআপ করাই যেতে পারে। এর মাধ্যমে যখন ইচ্ছা ফটো দেখতেও পারবেন পাশাপাশি এডিটও করতে পারবেন। বাড়তি পাওনা গ্যালারি স্টোরেজ কমবে।
৫. ডিভাইসের ওয়েস্ট স্ক্যান সি ক্লিনারের নাম নিশ্চয়ই জানেন। এছাড়াও রয়েছে ডিস্ক ইউসেজ বা স্টোরেজ অ্যানালাইজার-এর মতো অ্যাপ। যা আপনার মোবাইলের অতিরিক্ত ওয়েস্টকে মুছে দেয়। এর ফলে স্টোরেজও বাঁচে।
৬. স্মার্ট স্টোরেজ পিক্সেল বা নেক্সাস জাতীয় স্মার্টফোনগুলোতে স্মার্ট স্টোরেজ থাকে। যা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পুরোনো ফাইলের অনলাইন ব্যাকআপ বানিয়ে তা ডিলিট করে দেয়।
৭. এসডি কার্ডে অ্যাপ ইনস্টল সবসময় স্মার্টফোনের ওএস-এর উপর চাপ কেন দেবেন? কিছু অ্যাপ মাইক্রো এসডি কার্ডে পাঠিয়ে দিন। এতে জায়গাও বাঁচবে এবং স্মার্টফোনটি দ্রুত কাজও করবে।
৮. ডকুমেন্টস সেভ করতে ক্লাউড স্টোরেজ ডকুমেন্টস ফোনে সেভ না করে ক্লাউডে করা যায়। এর ফলে তা হারানোর আশঙ্কা যেমন থাকে না। একইসঙ্গে ফোনের জায়গাও বাঁচে। ড্রপবক্স, গুগল ড্রাইভের মতো ক্লাউড স্টোরেজ যথেষ্ট জনপ্রিয়।