ক্যারিয়ার

আউটসোর্সিং বিষয়ে নতুনদের যে ৮ দক্ষতা থাকতেই হবে

By Baadshah

May 04, 2018

ইন্টারনেটে আউটসোর্সিং করে টাকা ইনকাম করতে চাইলে কি কি দক্ষতা থাকা দরকার ,তা জানা খুবই জরুরী। আউটসোর্সিং এর কাজগুলো বিভিন্ন ক্যাটাগরির হয়ে থাকে। যেমন- ওয়েব ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন, সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, ডাটা এন্ট্রি, নেটওয়ার্কিং এর কাজ, ডিজাইন এন্ড মাল্টিমিডিয়া, সেলস এন্ড মার্কেটিং, পার্সোনাল হেল্প, আর্টিকেল লেখা ও অনুবাদ  ইত্যাদি।

এ কাজগুলোর যে কোন একটি বা একাধিক সেক্টরে আপনি নিজেকে দক্ষ হিসেবে গড়ে তুলতে পারেন।

তাহলে চলুন জেনে নিই এই ধরনের কাজগুলো করতে হলে আপনাকে কি কি জানতে হবে-

১. ওয়েবডিজাইন এন্ড ডেভেলপমেন্টঃ

এটি হচ্ছে ওয়েবসাইট তৈরি করে দেয়ার কাজ। আপনাকে আপনার ক্লাইন্ট কে তার প্রতিষ্ঠানের জন্য বা কোন সার্ভিস এর জন্য ওয়েবসাইট তৈরি করে দিতে হবে। এর জন্য আপনাকে ওয়েব প্রোগ্রামিং যেমন- HTML, CSS জানতে হবে। ইচটিএমএল এর লেটেস্ট ভার্শন এইচটিএমএল ৫ জানা থাকলে আরও ভাল। এর পাশাপাশি আপনাকে পিএইচপি, অল্প মাত্রায় জাভা জানা থাকতে হবে। তাছাড়াও ওয়ার্ডরপ্রেস, জুমলা ইত্যাদি শিখতে পারেন।

২. SEO অথবা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনঃ

যারা ফ্রীল্যান্সিং এর জগতে আছেন কিন্তু এসইও এর নাম শোনেন নি এমন লোক পাওয়া দুর্লভ। কারন এসইও হচ্ছে খুবই কমন একটি কাজ। আপনার বানানো ওয়েবসাইটকে বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিন যেমন- গুগল, ইয়াহু, বিং ইত্যাদিতে প্রমোট করার মাধ্যমে তাদের সার্চ রেজাল্টে নিয়ে আসাকেই সহজ কথায় এসইও বলা হয়। নতুনদের জন্য ফ্রীল্যান্সিং শুরু করার একটি জনপ্রিয় মাধ্যম হচ্ছে এসইও। এটি মূলত সেলস এবং মার্কেটিং ডিপার্টমেন্ট এর অন্তর্ভুক্ত। অনলাইনে আপনার ওয়েব সাইটের প্রচার এবং ভিজিটর এর জন্য এসইও অতি গুরুত্বপূর্ণ। সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে বেড়েই চলেছে এসইও এর কাজের সংখ্যা।

৩. সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টঃ

অনলাইন জগতের একটি বড় অংশ হচ্ছে সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট। এই সেক্টরে আমাদের জন্য রয়েছে ব্যাপক সম্ভাবনা। তবে এর কাজ শেখাটা অন্যান্য কাজের তুলনায় একটি জটিল। এর মধ্যে রয়েছে- ডেস্কটপ অ্যাপ্লিকেশন তৈরি, গেম তরি, বিভিন্ন প্লাগ ইন তৈরি, মোবাইল অ্যাপ তৈরি, সফটওয়্যার প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট ইত্যাদি। একটি কষ্ট করে কাজ শিখতে পারলে আপনিও এই সেক্টরে কাজ করতে পারেন।

৪. ডিজাইন এন্ড মাল্টিমিডিয়াঃ

এর মধ্যে আছে গ্রাফিক্স ডিজাইন, লোগো ডিজাইন, বিজনেস কার্ড ডিজাইন, বিভিন্ন এনিমেশন তৈরি, অডিও ভিডিও এডিট এবং তৈরি, প্রেজেন্টেশন তৈরি করা, প্রিন্ট ডিজাইন ইত্যাদি। ভালভাবে কাজ শিখে দক্ষতার পরিচয় রাখতে পারলে এই সেক্টর থেকেও আপনি সম্মানজনক অর্থ আয় করতে পারবেন।

৫. সেলস এন্ড মার্কেটিং কাজঃ

এটি একটি অনেক বড় সেক্টর। এর মধ্যে রয়েছে এসইও, বিজ্ঞাপন, ইমেইল-মার্কেটিং, এসএমএম বা সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, এসইএম বা সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং, মার্কেট রিসার্চ এন্ড এ্যনালাইসিস, সেলস জেনারেশন, বিজনেস প্ল্যানিং ইত্যাদি। এই ধরনের কাজের জন্য প্রথমে আপনাকে দক্ষ হতে হবে।এই ধরনের পেশায় আপনি বেশ ভাল পরিমান অর্থ উপার্জন করতে পারেন।

৬. রাইটিং এন্ড ট্রান্সলেশনঃ

এই বিষয়ে কাজ করতে গেলে আপনাকে ইংরেজীতে বেশ দক্ষ হতে হবে। ইংরেজিতে দক্ষ হলে আপনি আর্টিকেল লিখে আয় করতে পারবেন। আর যদি আপনি বিভিন্ন দেশের ভাষা জেনে থাকেন তাহলে ট্রান্সলেশনের কাজও করতে পারেন। তবে শুধু কাজ করার জন্য আবার বিভিন্ন দেশের ভাষা শিখতে যাবেন না।

৭. অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সাপোর্টঃ

এর মধ্যে আছে বিভিন্ন ধরনের ডাটা এন্ট্রি এর কাজ, পার্সোনাল অ্যাসিস্ট্যান্ট, ওয়েব রিসার্চ, ইমেইল হ্যান্ডলিং ইত্যাদি। কম্পিউটারের উপর ভাল দক্ষতা থাকলে আপনি এই কাজ করতে পারেন।

৮. বিজনেজ সার্ভিসঃ

এছাড়াও এই সকল মার্কেটপ্লেসে অ্যাকাউন্টিং, বিজনেস প্লানিং, বিজনেস কন্সাল্টেশন এর কিছু কাজ পাওয়া যায়। ভাল মার্কেট অ্যানালাইজার হতে পারলে আপনিও এই কাজ করতে পারবেন। এই গুলোই মূলত অনলাইন মার্কেট গুলোর সবচেয়ে কমন কাজ। আপনি যদি ভালভাবে কাজ শিখতে পারেন তাহলে আপনিও বেশ ভাল মানের কাজ করতে পারবেন। অনেকে বলে থাকেন এখন নাকি ফ্রীল্যান্সিং মার্কেটে কাজ পাওয়া যায়না। এটা সম্পূর্ণই ভুল তথ্য। আসলে আগে অনেকেই কাজ না জেনেও ভাওতাবাজি দিয়ে কাজ নিত। ক্লাইন্ট বিশ্বাস করে কাজ দিত ঠিকই কিন্তু অবশেষে কাজটি করতে না ক্লাইন্ট এর কাছে বাজে ফিডব্যাক পাওয়া যেত। এখন আসলে ভাওতাবাজির দিন শেষ। এই জন্য আপনাকে আগে খুব ভালভাবে কাজ শিখে নিতে হবে এবং প্র্যাক্টিস করতে হবে। সাথে সাথে আপনি যে কাজটি পারেন সেটি ক্লাইন্ট কে বোঝানোর জন্য বেশ ভাল মানের পোর্টফোলিও বানাতে হবে। এই ভাবে চেস্টা করলে অবশ্যই দ্রুত কাজ পাওয়া সম্ভব।

লেখক: মুহাঃ তানভীরুল হক নিবিড়, তথ্যপ্রযুক্তি উদ্যোক্তা ফেসবুক আইডি: https://www.facebook.com/raffsan.nirjhon