ফিচার

আকিজ গ্রুপের রুফটপ সোলার প্ল্যান্টে হুয়াওয়ের প্রযুক্তি

By Baadshah

April 13, 2022

ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার ডোবরায় অবস্থিত জনতা জুট মিলে নিজেদের প্রথম রুফটপ সোলার প্ল্যান্ট উদ্বোধন করেছে আকিজ গ্রুপ। প্রাথমিকভাবে ৪৭০ কিলোওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন এই প্ল্যান্ট স্থাপনে আকিজ গ্রুপকে প্রযুক্তি সহায়তা প্রদান করেছে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় আইসিটি অবকাঠামো সেবা ও সমাধানদাতা প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে। আর ইঞ্জিনিয়ারিং প্রোকিউরমেন্ট কন্সট্রাকসন পার্টনার হিসেবে রয়েছে সিনার্জি লিমিটেড। সম্প্রতি এই প্লান্টের একটি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় যেখানে আকিজ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ বশির উদ্দিন, হুয়াওয়ের বোর্ড মেম্বার জেসন লি, এবং সিনার্জি’র চেয়ারম্যান সিরাজুল হক-সহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আকিজ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ বশির উদ্দিন নবায়নযোগ্য শক্তি উৎপাদনের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, “ভবিষ্যতের কথা ভেবে বাংলাদেশের এখন নবায়নযোগ্য শক্তির ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেয়া প্রয়োজন। ২০২৫ সালের মধ্যে নবায়নযোগ্য উৎস থেকে শতভাগ বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্য আমাদের নির্ধারণ করা উচিত। এক্ষেত্রে প্রত্যেকেরই নিজ নিজ ভূমিকা পালন করতে হবে। এই প্রকল্পটি আকিজ গ্রুপের এই লক্ষ্যে যাত্রার সূচনা মাত্র এবং আমি বিশ্বাস করি আগামীতে হুয়াওয়ের অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ও সিনার্জির সহায়তায় আমরা আরও এক্ষেত্রে আরও এগিয়ে যাব।” হুয়াওয়ে বাংলাদেশের বোর্ড মেম্বার জেসন লি বলেন, “ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নে দীর্ঘদিন থেকে কাজ করে যাচ্ছে হুয়াওয়ে। ডিজিটালাইজেশন প্রক্রিয়াকে আরও কার্যকর করতে বিদ্যুৎ খাতকেও ডিজিটাল করতে হবে। হুয়াওয়ে চায় তার অসাধারণ ডিজিটাল পাওয়ার সল্যুশনের মাধ্যমে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতকে আরও শক্তিশালী করতে। কারণ, আমরা একটি সম্পূর্ণ সংযুক্ত, অত্যাধুনিক বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি।” “হুয়াওয়ের ইনভার্টার সলিউশন আকিজ গ্রুপ এবং অন্যান্য সম্ভাব্য গ্রাহক এবং কোম্পানির জন্য বড় অবদান রাখতে পারে। এটি গ্রাহকদের সর্বোত্তম বিদ্যুৎ উৎপাদনে সাহায্য করবে। আকিজ গ্রুপের সাথে সাম্প্রতিক প্রকল্প নিঃসন্দেহে এটি ত্রিপক্ষীয় সমন্বয়ের একটি দুর্দান্ত উদাহরণ। হুয়াওয়ের অত্যাধুনিক সল্যুশন ব্যবহার করে এই খাতের অগ্রগতিতে অবদান রাখতে পেরে সিনার্জি গর্বিত”, সিনার্জির পরিচালক জিয়াউল হক এবং ইয়ামিন খান তাঁদের মতামত এভাবেই ব্যক্ত করেন। প্রাথমিক পর্যায়ে এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ক্ষমতা ৪৭০ কিলোওয়াট যা আগামী চার মাসে ২.৪ মেগাওয়াটে উন্নীত হবে এবং পরবর্তীতে এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মোট ক্ষমতা হবে পাঁচ মেগাওয়াট। প্রাথমিকভাবে এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ আকিজ গ্রুপ তাদের শিল্প-কারখানায় ব্যবহার করবে এবং অব্যবহৃত বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যোগান দেবে। প্ল্যান্টটির জন্য হুয়াওয়ে ইনভার্টার সল্যুশন প্রদান করেছে, যা পাওয়ার ইলেকট্রনিক এবং ডিজিটাল প্রযুক্তির সমন্বয়ে প্রস্তুতকৃত একটি নবায়নযোগ্য সমাধান। এই সমাধান উন্নত বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা নিশ্চিত করতে সক্ষম এবং এতে ওয়্যারেন্টি সেবাও রয়েছে।

হুয়াওয়ে: হুয়াওয়ে বিশ্বের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান। সমৃদ্ধ জীবন নিশ্চিতকরণ ও উদ্ভাবনী দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে একটি উন্নত ও সংযুক্ত পৃথিবী গড়ে তোলাই প্রতিষ্ঠানটির উদ্দেশ্য। নতুন উদ্ভাবনের মাধ্যমে হুয়াওয়ে একটি পরিপূর্ণ আইসিটি সল্যুশন পোর্টফোলিও প্রতিষ্ঠা করেছে, যা গ্রাহকদের টেলিকম ও এন্টারপ্রাইজ নেটওয়ার্ক, ডিভাইস এবং ক্লাউড কম্পিউটিং-এর সুবিধাসমূহ প্রদান করে। প্রতিষ্ঠানটি বিশ্বের ১৭০টির বেশি দেশ ও অঞ্চলে সেবা দিচ্ছে, যা বিশ্বের এক তৃতীয়াংশ জনসংখ্যার সমান। এক লাখ ৯৭ হাজারের বেশি কর্মী নিয়ে বিশ্বব্যাপী টেলিকম অপারেটর, উদ্যোক্তা ও গ্রাহকদের সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিত করে ভবিষ্যতের তথ্যপ্রযুক্তি ভিত্তিক সমাজ তৈরির লক্ষ্যে হুয়াওয়ে এগিয়ে চলেছে। শীর্ষস্থানীয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে, গত ২১ বছর ধরে বাংলাদেশের তথ্য-প্রযুক্তি শিল্প, টেলিকম অপারেটর এবং স্থানীয় অংশীদারদের সাথে নিবিড়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে, যার মাধ্যমে দেশের সাধারণ মানুষের কাছে তথ্য-প্রযুক্তির সেবা পৌঁছে দিয়ে ’ডিজিটাল বাংলাদেশে’র স্বপ্ন পূরণে অসামান্য ভূমিকা রেখে চলেছে প্রতিষ্ঠানটি। এছাড়া বিভিন্ন সিএসআর কর্মসূচী পরিচালনার মাধ্যমে সামাজিক ক্ষেত্রেও নানান অবদান রাখছে হুয়াওয়ে। অগ্রযাত্রার পথে, বাংলাদেশের সাথে এই লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছে হুয়াওয়ে।