TechJano

আন্তর্জাতিক আলোক দিবস উদযাপনে নানা আয়োজন

১৬মে বিশ্বজুড়ে পালিত হল আন্তর্জাতিক আলোক দিবস। ইউনেস্কো ঘোষিত এই দিবসটি পালিত হয় বাংলাদেশেও। বাংলাদেশ বিজ্ঞান জনপ্রিয়করণ সমিতি (এসপিএসবি) ও বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের যৌথ উদ্যোগে জাতীয় জাদুঘরের নলিনীকান্ত ভট্টশালী গ্যালারিতে আয়োজন করা হয় ‘আলো ভুবন ভরা’ নামে একটি অনুষ্ঠানের। সকাল ১০টায় শুরু হয়ে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এটি চলে। এই আয়োজনে ছিল Tales of Light বা আলোর গল্প নামক আলোকচিত্র প্রদর্শনী, পোস্টার প্রদর্শনী, হাতে-কলমে আলো নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট, শিশু-কিশোরদের জন্যে আলো ও আলোক-প্রযুক্তি বিষয়ক চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা, কুইজ প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
আলোর গল্প নামে আলোকচিত্র প্রদর্শনীতে প্রায় ১০০ জন আলোকচিত্রীর তোলা ছবি প্রদর্শিত হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন‘ক্যামেরার কবি’ হিসেবে পরিচিত পোর্ট্রেট ফটোগ্রাফার নাসির আলী মামুন। সাংস্কৃতিক সংগঠন কল্পরেখার শিশুশিল্পীরা এতে গান ও নাটিকা পরিবেশন করে।
জাতিসংঘের শিক্ষা,বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি বিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কো (UNESCO) প্রতি বছরের ১৬ মে কে আন্তর্জাতিক আলোক দিবস হিসেবে উদযাপন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে গত বছর। এর আগে ২০১৫ সালকে সারাবিশ্বে আন্তর্জাতিক আলো ও আলোক প্রযুক্তির বছর হিসেবে উদযাপন করা হয়। আন্তর্জাতিক আলোর বছরের যেসব অর্জন, সেসবের সূত্র ধরেই ইউনেস্কো এবছর থেকে ১৬ মে-কে আন্তর্জাতিক আলোক দিবস হিসেবে পালন করার সিদ্ধান্ত নেয়। দিবসটি উদযাপনের উদ্দেশ্য হচ্ছে মানুষের দৈনন্দিন জীবনে,সমাজ-সংস্কৃতি-সভ্যতায়,বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির জগতে, অর্থনীতিতে অর্থাৎ সামগ্রিকভাবে পৃথিবী এবং মানবজাতির অগ্রযাত্রায় আলো এবং আলোক প্রযুক্তির যে বিশাল ভূমিকা রয়েছে,সেটাকে স্বীকৃতি দেয়া। বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক আলোক দিবসের জাতীয় সমন্বয়কারী হিসেবে বাংলাদেশ বিজ্ঞান জনপ্রিয়করণ সমিতি (এসপিএসবি) দায়িত্ব পালন করছে।
আন্তর্জাতিক আলোক দিবসের আয়োজনে সহযোগী হিসেবে রয়েছে মাসিক বিজ্ঞানচিন্তা, কিশোর আলো ও ম্যাসল্যাব।

Exit mobile version