সম্প্রতি ঢাকায় “৯ম কাকে আন্তর্জাতিক জাপানীজ ভাষা প্রতিযোগিতা-২০১৯” অনুষ্ঠিত হয়। রাজধানীর মাইডাস সেন্টার এ জাপান দূতাবাস, কাকে ইন্টারন্যাশনাল ও মেইজি এডুকেশনের যৌথ উদ্যোগে আয়োজন করা হয়।
সর্বমোট ১০ জন প্রতিযোগী এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করছে যারা জাপানী ভাষার লেভেল ৫ সম্পন্ন করেছেন। এ সময় প্রায় দুই শতাধিক ছাত্র ছাত্রী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে উপস্থিত ছিলেন। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে, জাপান দূতাবাস থেকে মিস মাই তমুরি [হেড অব পাবলিক অ্যাফেয়ার্স], প্রোগ্রাম বিচারক হিসেবে, কাকে ইন্টারন্যাশনাল থেকে মি কাওয়ামোতো [চিফ অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স], ঢাকা ইউনিভার্সিটি এর গেস্ট লেকচারার মি তাকাশি সুরুগাই এবং মিসেস রোমানা খান [সিনিওর জাপানিজ ল্যাঙ্গুয়েজ ইন্সট্রাকটর ,মেইজি জাপানিজ ল্যাংগুয়েজ স্কুল] উপস্থিত থাকবেন।
এছারাও উক্ত অনুষ্ঠানের সার্বিক দায়িত্বে থাকবেন মোহাম্মাদ জসীম উদ্দিন ভুঁইয়া [চেয়ারম্যান অফ মেইজি এডুকেশন], মিসেস সাদিকা আক্তার [ব্যবস্থাপনা পরিচালক], মো:নাহিদুর রহমান (জেনারেল ম্যানেজার, মেইজি এডুকেশন)।
মিস মাই তমুরি [হেড অব পাবলিক অ্যাফেয়ার্স, জাপান দূতাবাস] বলেন: প্রায় পাঁচ লক্ষ বাংলাদেশী জাপানি ভাষায় কথা বলতে সক্ষম হয়েছেন । জাপান সরকার এখন পর্যন্ত ১২০ টি স্কলারশিপ এর ব্যবস্থা করেছে এবং ভবিষ্যতে এর সংখ্যা আরো বাড়বে । জাপানে তাদের শিক্ষা ও কর্মক্ষেত্রে সুযোগ সৃষ্টি হবে ।
কাকে ইন্টারন্যাশনাল থেকে মি কাওয়ামোতো [চিফ অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স]: জাপানি ভাষার গুরুত্ব ও কাকে ইনস্টিটিউট এর অধীন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজ সম্পর্কে বর্ণনা দেন । তার বর্ণনা তিনি পাওয়ার পয়েন্ট এ উপস্থাপনা করেন যা উপস্থিত অতিথিদের প্রশংসা কুড়ায় ।
মোহাম্মাদ জসীম উদ্দিন ভুঁইয়া বলেন [চেয়ারম্যান অফ মেইজি এডুকেশন] বলেন: ছাত্র ছাত্রীরা তোমরা যারা জাপানের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করতে চাও, তাদের অবশ্যই জাপানি ভাষা শিখতে হবে, কারণ তা তোমার দেশ ও সংস্কৃতিকে জাপানের বুকে তুলে ধরতে এবং জাপানিজ সংস্কৃতিকে অনুধাবন করতে সহায়তা করবে । জাপান প্রযুক্তির দিক থেকে যুগান্তকারী উন্নয়ন সাধন করেছে । জাপানিজ ভাষা শিখতে পারলে প্রযুক্তির এই উৎকর্ষতায় নিজেদের সম্পৃক্ত করতে পারবে ।
অনুষ্ঠান শেষে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয় । এই অনুষ্ঠানের আয়োজনের মূল কারন হল জাপানী ভাষার প্রসার বর্তমানের ভু-রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে গুরুত্ব সুদূর প্রসারী।