জনপ্রিয়

আবারও ওয়ালটন পন্য কিনে লাখপতি হওয়ার সুযোগ

By Baadshah

June 08, 2020

আবারও মিলিয়নিয়ার হওয়ার সুযোগ নিয়ে এলো ওয়ালটন। প্রতিষ্ঠানটির ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-৭ এ দেয়া হচ্ছে এ সুবিধা। এর আওতায় ওয়ালটন ফ্রিজ, ওয়াশিং মেশিন এবং মাইক্রোওয়েভ ওভেন কিনে পেতে পারেন এক মিলিয়ন বা ১০ লাখ টাকা। রয়েছে লাখপতি হওয়ার সুযোগসহ কোটি কোটি টাকার নিশ্চিত ক্যাশ ভাউচার। ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে ক্রেতাদের এ সুবিধা দিচ্ছে দেশের শীর্ষ ইলেকট্রনিক্স পণ্যের ব্র্যান্ড ওয়ালটন।

উল্লেখ্য, অনলাইনে দ্রুত সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা দেয়ার লক্ষ্যে সারা দেশে ডিজিটাল ক্যাম্পেইন চালাচ্ছে ওয়ালটন। গত বছর ক্যাম্পেইনের চতুর্থ সিজনেও মিলিয়নিয়ার হওয়ার সুযোগ দিয়েছিল প্রতিষ্ঠানটি। সে সময় ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে অসংখ্য গ্রাহক ১০ লাখ টাকা করে পেয়েছেন। বাকি সিজনগুলোতে নতুন গাড়ি, আমেরিকা ও রাশিয়া ভ্রমণের ফ্রি বিমান টিকিট, ৫ এবং ১ লাখ টাকা ছাড়াও ক্রেতারা কোটি কোটি টাকার ক্যাশ ভাউচার, মোটরসাইকেল, ফ্রিজ, টিভি, এসিসহ বিভিন্ন ওয়ালটন পণ্য ফ্রি পেয়েছেন।

এ উপলক্ষে রোববার (৭ জুন, ২০২০) রাজধানীতে ওয়ালটন করপোরেট অফিসে আয়োজন করা হয় এক ডিক্লারেশন প্রোগ্রামের। যার স্লোগান ‘আবার হব মিলিয়নিয়ার’। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ৮ জুন থেকে শুরু হওয়া এ সুযোগ থাকছে ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ পর্যন্ত।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটনের নির্বাহী পরিচালক এমদাদুল হক সরকার, এস এম জাহিদ হাসান, মোহাম্মদ রায়হান, উদয় হাকিম, চিত্রনায়ক আমিন খান ও ড. মো. সাখাওয়াৎ হোসেন, ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ফিরোজ আলম ও শাহজাদা সেলিম, অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর মিলটন আহমেদ ও শহীদুজ্জামান রানা প্রমুখ।

এতে জানানো হয়, দেশের যেকোনো ওয়ালটন প্লাজা বা পরিবেশক শোরুম কিংবা অনলাইনে ই-প্লাজা থেকে ফ্রিজ, ওয়াশিং মেশিন এবং মাইক্রোওয়েভ ওভেন কিনে মোবাইল নম্বর দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করবেন ক্রেতা। এরপর ফিরতি এসএমএস-এ ক্রেতাকে টাকার পরিমাণ অথবা ক্যাশ ভাউচার সম্পর্কে জানিয়ে দেয়া হবে।

ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন পদ্ধতিতে ক্রেতার নাম, মোবাইল ফোন নম্বর এবং বিক্রি করা পণ্যের মডেল নম্বরসহ বিস্তারিত তথ্য ওয়ালটনের সার্ভারে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। এর ফলে, ওয়ারেন্টি কার্ড হারিয়ে ফেললেও দেশের যেকোনো ওয়ালটন সার্ভিস সেন্টার থেকে দ্রুত কাক্সিক্ষত পাচ্ছেন গ্রাহক। সার্ভিস সেন্টারের প্রতিনিধিরাও গ্রাহকের ফিডব্যাক জানতে পারছেন। এ কার্যক্রমে ক্রেতাদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে উদ্বুদ্ধ করতে মিলিয়নিয়ারসহ নিশ্চিত ক্যাশ ভাউচারের সুযোগ দেয়া হচ্ছে।

ওয়ালটন ফ্রিজের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা প্রকৌশলী গোলাম মুর্শেদ বলেন, গত বছর ২০ লাখ ফ্রিজ বিক্রি হয়েছিলো। এর প্রেক্ষিতে চলতি বছর ২৫ লাখ ফ্রিজ বিক্রির টার্গেট নেয়া হয়েছিল। কিন্তু করোনাভাইরাস দুর্যোগের ফলে বিশ্বব্যাপী স্থবিরতা নেমে এসেছে। তারপরও বছরের বাকি দিনগুলোতে জীবনযাত্রা স্বাভাবিক থাকলে এ লক্ষ্য পূরণে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি আসবে। কারণ বিশ্বব্যাপী ক্রেতাদের রুচি, চাহিদা, প্রয়োজনীয়তা ও ক্রয় সক্ষমতার ভিত্তিতে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও ফিচারের ফ্রিজ উৎপাদন ও বাজারজাত করছে ওয়ালটন। ওয়ালটন ফ্রিজের ডিজাইন এবং মানোন্নয়নে দেশ-বিদেশের দক্ষ ও মেধাবী প্রকৌশলীদের সমন্বয়ে শক্তিশালী গবেষণা ও উন্নয়ন (আরএন্ডডি) টিম কাজ করছে। ফলে প্রতিনিয়ত আরো উন্নত ও অত্যাধুনিক ফিচারসমৃদ্ধ, নান্দনিক ডিজাইনের ফ্রিজ বাজারে ছাড়া হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে সরকারি নির্দেশনা এবং যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে ওয়ালটনের বিক্রয় কার্যক্রম চলছে। দুর্যোগপূর্ণ এ সময়ে ওয়ালটনের অগণিত ক্রেতা যাতে কিছুটা হলেও উপকৃত হতে পারেন, সেজন্য ১০ লাখ টাকাসহ নিশ্চিত ক্যাশ ভাউচারের সুযোগ দেয়া হচ্ছে। পাশাপাশি করোনা মোকাবেলায় দেশজুড়ে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছে ওয়ালটন।

ওয়ালটন ফ্রিজের প্রোডাক্ট ম্যানেজার শহীদুজ্জামান রানা জানান, স্থানীয় বাজারে রয়েছে দেড় শতাধিক মডেলের ফ্রস্ট, নন-ফ্রস্ট, ডিপ ফ্রিজ ও বেভারেজ কুলার। দাম মাত্র ১০,৯৯০ টাকা থেকে ৬৯,৯০০ টাকার মধ্যে। আরো রয়েছে চোখ ধাঁধানো আকর্ষণীয় ডিজাইনের গ্লাস ডোর এবং ব্যাপক বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ইনভার্টার প্রযুক্তির বিএসটিআই’র ‘ফাইভ স্টার’ এনার্জি রেটিংপ্রাপ্ত ডিজিটাল ডিসপ্লেসমৃদ্ধ সাশ্রয়ী মূল্যের ফ্রিজ। এসব ফ্রিজ স্ট্যাবিলাইজার ছাড়াই নিশ্চিন্তে চলে। এছাড়া ইনভার্টার প্রযুক্তির ৫৬৩ লিটারের সাইড বাই সাইড গ্লাস ডোরের নন-ফ্রস্ট রেফ্রিজারেটর সব শ্রেণির গ্রাহকদের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।

এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, মাত্র ৬৯,৯০০ টাকায় গ্রাহকরা পাচ্ছেন ডিজিটাল ডিসপ্লেসমৃদ্ধ বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ইনভার্টার প্রযুক্তির ফ্রিজ। খুব শিগগিরই বাজারে আসছে ডিজিটাল ডিসপ্লে সমৃদ্ধ ৫৮০ লিটারের সাইড বাই সাইড ডোরের আরেকটি ফ্রিজ। নগদ মূল্যের পাশাপাশি ওয়ালটন ফ্রিজে রয়েছে জিরো ইন্টারেস্টে ইএমআই এবং সহজ কিস্তি সুবিধা।

ওয়ালটন সূত্রে জানা গেছে, আন্তর্জাতিক মান যাচাইকারি সংস্থা নাসদাত ইউনিভার্সাল টেস্টিং ল্যাব থেকে মান নিশ্চিত হয়ে ওয়ালটনের প্রতিটি ফ্রিজ বাজারে ছাড়া হচ্ছে। ওয়ালটন ফ্রিজের রয়েছে বিএসটিআইয়ের ফাইভ স্টার এনার্জি এফিশিয়েন্সি রেটিং। ফ্রিজ উৎপাদন ও রপ্তানিতে ওয়ালটন অর্জন করেছে আইএসও, ওএইচএসএএস, ইএমসি, সিবি, আরওএইচএস, এসএএসও, ইএসএমএ, ইসিএইচএ, জি-মার্ক, ই-মার্ক ইত্যাদি সার্টিফিকেট।

আন্তর্জাতিকমানের ওয়ালটন ফ্রিজ রপ্তানি হচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। দেশের ফ্রিজ বাজারে প্রায় ৭৫ শতাংশ মার্কেট শেয়ার রয়েছে ওয়ালটনের। এছাড়া গত ডিসেম্বরে ষষ্ঠবারের মতো দেশের সেরা রেফ্রিজারেটর ব্র্যান্ডের মর্যাদাস্বরূপ ‘বেস্ট ব্র্যান্ড অ্যাওয়ার্ড’ পেয়েছে ওয়ালটন।

ফ্রিজে এক বছরের রিপ্লেসমেন্ট সুবিধার পাশাপাশি কম্প্রেসরে ১২ বছরের গ্যারান্টি দিচ্ছে ওয়ালটন। দ্রুত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা দিতে সারা দেশে রয়েছে ৭৪টি সার্ভিস সেন্টার। যার প্রেক্ষিতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে ফ্রিজের সার্ভিস দিতে ওয়ালটন বদ্ধ পরিকর। ওয়ালটন হোম অ্যাপ্লায়েন্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা প্রকৌশলী আল ইমরান বলেন, করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে স্বাস্থ্যসুরক্ষায় ওয়াশিং মেশিন এবং মাইক্রোওয়েভ ওভেন অত্যন্ত জরুরি দুটি গৃহস্থালী পণ্য। সেজন্য দুর্যোগপূর্ণ এই সময়ে ক্রেতাদের অতি প্রয়োজনীয় পণ্যদুটিতে এমন সুযোগ দেয়া হচ্ছে।

তিনি জানান, বর্তমানে বাজারে রয়েছে ওয়ালটনের ১৩ মডেলের সেমি অটোমেটিক এবং অটোমেটিক টপ এবং ফ্রন্ট লোডিং ওয়াশিং মেশিন। ব্যাপক বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী এসব মেশিনের দাম ৬,৯০০ টাকা থেকে ৪৫,৫০০ টাকার মধ্যে। ক্যাম্পেইন এবং ঈদ উপলক্ষ্যে অত্যাধুনিক ফিচারের নতুন দুই মডেলের ওয়াশিং মেশিন বাজারে ছাড়া হয়েছে। ওয়ালটনের অটোমেটিক ফ্রন্ট লোডিং ওয়াশিং মেশিনে রয়েছে হট ওয়াটার ওয়াশ সুবিধা। যাতে ৯৫ ডিগ্রি পর্যন্ত গরম পানিতে কাপড় পরিস্কার করা যায়। ওয়ালটন ওয়াশিং মেশিনে গ্রাহকরা সর্বোচ্চ ৭ বছর পর্যন্ত মোটর ওয়ারেন্টি পাচ্ছেন।

এছাড়া বর্তমানে বাজারে রয়েছে ৯ মডেলের ওয়ালটন মাইক্রোওয়েভ ওভেন। দাম পড়বে ৬,৯৯০ টাকা থেকে ১৯,০০০ টাকার মধ্যে। এতে মাছ-মাংস ডিফ্রস্ট থেকে শুরু করে খুব সহজেই নানান স্বাস্থ্যকর খাবার তৈরি করা যায়।