গত কয়েকদিনে নির্বাচন বানচাল নিয়ে যা হল তা লজ্জার। এ ধরনের ঘটনা যাতে ভবিষ্যতে না ঘটে সতর্ক থাকতে হবে। আমি মো. সহিবুর রহমান খান রানা বলছি, বেসিস সদস্যদের পাশে সবসময় ছিলাম, আছি এবং থাকব। সবসময় পাশে পাবেন। তথ্যপ্রযুক্তি (আইটি) খাতের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) নির্বাহী কমিটির ২০১৮-২০ মেয়াদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ৩১ মার্চ। এই নির্বাচনের অন্যতম আলোচিত প্যানেল ‘টিম দুর্জয়’ থেকে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন সল্যুশন নাইন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সহিবুর রহমান খান রানা।
নতুন ও তরুণ আইটি ব্যবসায়ীদের জন্য কাজ করব
নির্বাচিত হলে দেশে সফটওয়্যার মার্কেটিং এজেন্সী গড়ে তোলা এবং অ্যাকসেস টু ফিন্যান্স ব্যবস্থা আরও সহজ করবেন বলে জানিয়েছেন। এর মধ্যে সফটওয়্যার মার্কেটিং এজেন্সী গড়ে তোলার কারণ হিসেবে বলেন, অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানই ভালো সফটওয়্যার বানাচ্ছে কিন্তু মার্কেটিংয়ের অভাবে আন্তর্জাতিক বাজারে সেভাবে প্রবেশ করতে পারছে না। দেখা যায়, বেশিরভাগই প্রযুক্তিতে অভিজ্ঞ কিন্তু মার্কেটিংয়ে সেই হারে না। এছাড়া এই রকম প্রতিষ্ঠান থাকলে সফটওয়্যার বেচা-কেনা নিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলোকে তেমন ভাবতে হবে না। আর ক্ষুদ্র ও মাঝারি আকারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য অ্যাকসেস টু ফিন্যান্স ব্যবস্থা সহজ করা। সে ক্ষেত্রে এই ধরনের প্রতিষ্ঠানগুলোকে বেসিস নির্দিষ্ট কোনো সার্টিফিকেট দেবে। আর সেটির মাধ্যমে তারা অর্থ লেনদেনের জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করতে পারবে। এ ছাড়া বেসিস সদস্যদের চাওয়া-পাওয়া কী, তা তালিকা করে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে গুরুত্ব দিয়ে বাস্তবায়ন করা হবে। নির্বাচন করার কারণ হিসেবে বলেন, নতুন উদ্যোক্তারা যেসব বাঁধার সম্মুখ হন সেসব বিষয় এবং তা থেকে কীভাবে উতরে যাওয়া সম্ভব তা আমি আমার অভিজ্ঞতার কারণে জানি। আর এ কারণে বেসিসের মাধ্যমে নতুন ও তরুণ আইটি ব্যবসায়ীদের জন্য কাজ করতে তিনি নির্বাচনে দাঁড়িয়েছেন বলে জানিয়েছেন। আমার যে অভিজ্ঞতা ও ইশতেহার, তা বেসিসের মতো সংগঠন থেকে বাস্তবায়ন করা সহজ। সফটওয়্যার মার্কেটিং এজেন্সীর জন্য উদ্যোক্তাদের অনুপ্রাণিত করা হবে। আর এ জন্য সচেতনতাও বাড়ানো হবে।