ইভেন্ট

আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ দ্ ঢাকার লা গ্যালারিতে সব্যসাচী হাজরার প্রদর্শনী ‘Brahmi to Bangla’

By Baadshah

June 19, 2022

ধানমন্ডির আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ দো ঢাকার লা গ্যালারিতে ১৪ জুন ২০২২, মঙ্গলবার থেকে চলছে সব্যসাচী হাজরার প্রদর্শনী ‘Brahmi to Bangla’. একই সাথে প্রকাশিত ও প্রদর্শিত হচ্ছে তার তৃতীয় প্রকাশনা “অ-In the Quest of Bangla Typography”. অক্ষরবিন্যাসের দৃষ্টিকোণ থেকে বাংলা হরফকে নান্দনিক ও ব্যবহারিকভাবে বিশ্লেষণ এই প্রদর্শনী ও প্রকাশনার প্রধান উপজীব্য।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের অধ্যাপক ও শিল্পী শিশির ভট্টাচার্য্য, স্থপতি ও চলচ্চিত্র নির্মাতা এনামুল করিম নির্ঝর, শিল্পী অভিনেতা আফজাল হোসেন এবং আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ দো ঢাকার পরিচালক ফ্রঁসোয়া ঘ্রোজঁ।

মুখের ভাষার মতো লেখার হরফও প্রতিনিয়ত রূপ বদলায়। সময়, প্রযুক্তি, মাধ্যম, প্রয়োগ, বৈষয়িক বোঝাপড়া ও নন্দনতাত্ত্বিক নিরীক্ষার মধ্য দিয়ে ভিন্নতা পায় হরফের আদল ও ব্যঞ্জনা। প্রযুক্তির বিকাশের সাথে সাথে দৈনন্দিন জীবনে হাতে লেখার প্রয়োজন সীমিত হয়ে আসছে। কিন্তু হস্তাক্ষর ও লেখাঙ্কনের অনুশীলন অক্ষরবিন্যাস সংশ্লিষ্টদের জন্য খুবই জরুরি। মুদ্রিত বাংলা অক্ষরের প্রমিত রূপ বিগতকালের হস্তাক্ষরের অনুকরণেই গৃহীত। অক্ষরবিন্যাসের বহুমাত্রিক সম্ভাবনা নিয়ে চর্চার প্রয়োজনে বাংলা অক্ষরের প্রমিত রূপকে প্রকৃতভাবে চেনা, জানা ও আত্মস্থ করার তাগিদে এই প্রয়াস।

‘Brahmi to Bangla’ শিরোনামে প্রদর্শনী এবং “অ-In the Quest of Bangla Typography” শিরোনামে প্রকাশনার মাধ্যমে সব্যসাচী হাজরা মূলত তরুণ শিল্পীদের জন্য বাংলা অক্ষর বিষয়ে তার অনুসন্ধানের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছেন। সব্যসাচী আশা করেন তরুণ শিল্পীরা এই চর্চাকে এগিয়ে নেবেন এবং এই প্রকাশনার তথ্যগত ঘাটতি পূরণ করবেন। 

বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তী, ভাষা আন্দোলনের সত্তর বছর ও ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জন্মদ্বিশতবার্ষিকীর সন্ধিক্ষণে এই প্রকাশনা ও প্রদর্শনীটি উপস্থাপিত হচ্ছে।

প্রদর্শনী চলবে ২৫ জুন ২০২২, শনিবার প্রতিদিন বেলা ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। বইটি যৌথভাবে প্রকাশ করেছে কথাপ্রকাশ ও নোকতা এবং প্রদর্শনীর সহযোগিতায় রয়েছে আইপিডিসি ফাইন্যান্স লিমিটেড। 

সব্যসাচী হাজরা বলেন, “গ্রন্থটির বিষয়বস্তু হলো মুদ্রিত বাংলা হরফ। মূলত প্রমিত বাংলা হরফের পরিক্রমা দেখানো হয়েছে এখানে। আমি ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগর দ্বারা প্রচন্ডভাবে অনুপ্রাণিত। এই বই এবং প্রদর্শনী ১৯৫২সালের সকল ভাষা শহীদ এবং ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগরের স্মৃতির উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করছি।” 

আফজাল হোসেন বলেন, “পৃথিবীতে একদল মানুষ রয়েছে যারা সৃজনশীল। যারা সবকিছুকে ভিন্ন দৃষ্টি তে দেখতে পারে। এরকম একটা দুসময়ে একটা মানুষ হরফের সৌন্দর্য নিয়ে কাজ করছে। এটা নিয়ে আমাদের গর্ববোধ করি, আনন্দিত হই।”

এনামুল করিম নির্ঝর বলেন, “বিভিন্ন সময়ে বাংলা হরফ নিয়ে নানা কাজের উদ্যোগ নেওয়া হলেও সেগুলো আলোর মুখ দেখেনি। সব্যসাচী হাজরার এই দারুণ কাজটি অন্যদেরও আরও উতসাহিত করবে বাংলা হরফ নিয়ে কাজ করতে।”

রাহুল আনন্দ বলেন, “সব্যসাচী হাজরার ভ্রমণটা আমি কাছ থেকে দেখেছি। গ্রন্থটি পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত হবে বলে আমি আশা করছি।”