ইউটিউবে টাকা কামানোর নতুন এক সুযোগ দিতে যাচ্ছে গুগল। যাঁরা চ্যানেল জনপ্রিয় করতে পারবেন তারা বিজ্ঞাপনের বাইরে আরও নানা উপায়ে চ্যানেল থেকে টাকা আয় করতে পারবেন।
ইউটিউবে কনটেন্ট নির্মাতাদের ভালোমতো টাকা দেওয়া হয়না এমন অভিযোগ রয়েছে।
এখন ইউটিউব কর্তৃপক্ষ পেইড চ্যানেল তৈরি করতে দেবে। এতে ওই চ্যানেলের মেম্বারশিপ নিতে গেলে সাবসক্রিপশন ফি নেওয়া যাবে।
ইউটিউবের চিফ প্রডাক্ট অফিসার নিল মোহন জানান, ইউটিউবে এখন পর্যন্ত বিজ্ঞাপন থেকেে অর্থ কামান চ্যানেল নির্মাতারা। এখন বিজ্ঞাপনের বাইরেও আমরা চিন্তা করছি। ইউটিউব চ্যানেল নির্মাতাদের নানা উপায়ে অর্থ আয়ের সুযোগ করে দেওয়া হবে।
চ্যানেলে মেম্বারশিপ নিতে গেলে মাসে ৪.৯৯ মার্কিন ডলার ফি ন্ওেয়া যাবে। এতে লাইভ স্ট্রিম, এক্সক্লুসিভ কনটেন্ট,একট্রা ভিডিও নামে নানা অফার চালু করতে পারবেন।
যেসব চ্যানেলে এক লাখের বেশি সাবসক্রাইবার থাকবে তাদের জন্য এ সুবিধা থাকবে।
এ ছাড়া ইউটিউব চ্যানেলে ই-কমার্স ব্যবসা করা যাবে। ইউটিউব থেকে সরাসরি বিভিন্ন পণ্য বিক্রয় করার সুবিধা থাকবে। অর্থাৎ, ফেসবুক লাইভে যেভাবে অনেকে পণ্য বিক্রি করেন ইউটিউবে সে সুবিধা থাকবে।
বর্তমানে ইউটিউবকে ফেসবুকের মতো প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে হচ্ছে। এজন্য ভিডিও নির্মাতা ও চ্যানেল পরিচালকদের সুদিন ফিরতে পারে। ইউটিউবে প্রায় ২০০ কোটি ব্যবহারকারী আছে।
নীতিমালা অনুসারে, এক বছরের মধ্যে কোনো চ্যানেলের ভিডিও সর্বমোট চার হাজার ঘণ্টা দেখা হলে তবেই চ্যানেলটি বিজ্ঞাপন প্রদর্শনের (অ্যাডসেন্স) জন্য আবেদন করতে পারবে। এর সাথে চ্যানেলটিতে থাকতে হবে অন্তত এক হাজার সাবস্ক্রাইবার।ইউটিউব।
এর আগে পার্টনার হিসেবে যুক্ত হওয়ার জন্য ইউটিউবের নীতিমালা বেশ সহজ ছিল। চ্যানেলে মোট ১০ হাজার ভিডিও ভিউ থাকলেই পার্টনার হওয়ার জন্য আবেদন করা যেত, ছিল না সাবস্ক্রাইবার সংক্রান্ত কোনো বিধিনিষেধও।
নতুন নীতিমালার বিষয়ে এক ব্লগ পোস্টে গুগলের ডিসপ্লে, ভিডিও অ্যান্ড অ্যানালিটিকস বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট পল মুরেট জানিয়েছেন, মানসম্মত ভিডিওর মাধ্যমে ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে এমন নির্মাতাদের শনাক্ত করতে এবং বিজ্ঞাপন থেকে আয় বাড়ানোর ক্ষেত্রে নতুন নীতিমালা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। নামকরা ইউটিউব ভিডিও নির্মাতা লগান পলের প্রতি ইঙ্গিত করে এ ব্লগপোস্টে আরও বলা হয়, নতুন এই নীতিমালার মাধ্যমে নিম্নমানের ভিডিও আপলোড কমিয়ে আনা হবে।
ইউিটউবে যেভাবে ইনকাম হতে পারে ভুবন ভাম বা বিবিকিভাইনস নামের একটি ইউটিউব অ্যাকাউন্ট তৈরি করেন। ভারতীয় তারকাদের মধ্যে তার অ্যাকাউন্টটি ইউটিউব রিউইন্ডে ফিচার করা হয়। ওই অ্যাকাউন্টের ভিডিওর জন্য লাখো ভক্ত জোটে এবং ট্রেন্ড সেটার হন। কিন্তু ইউটিউবারদের ভাগ্য খারাপ। কিছুদিন পরেই ইউটিউব কিছু নিয়ম বদলে ফেলেছে। আগে কোনো রকম অ্যাকাউন্ট খুলে কাট-পিস ভিডিও দিয়েই অনেকে আয় করেছেন। ২০১৭ সালে পার্টনার প্রোগ্রামে পরিবর্তন আনে ইউটিউব। ভিডিও নির্মাতাদের চ্যানেলের ভিউ যদি ১০ হাজার পার হয় তবেই চ্যানেল মানিটাইজ করার জন্য আবেদন করতে পারবে। নতুন চ্যানেল নির্মাতাদের এরপর রিভিউ প্রসেসের মধ্যে দিয়ে যেতে হবে। ইউটিউবের নিয়মনীতি মানা হয়েছে কিনা সব যাচাই বাছাই করা হবে। এ ছাড়া বিজ্ঞাপনের রেট কমে গেছে। প্রতি ব্যানার অ্যাডের ১০০০ ভিউয়ের জন্য এখন মাত্র ৮ সেন্ট করে দেয় গুগল। তবে রোল আউট অ্যাডের প্রতি ১০০০ ভিউয়ের জন্য পাঁচ থেকে ৮ ডলার পর্যন্ত পাওয়া যায়। এখনকার সত্যিকারের ইউটিউবারদের জন্য এটাই এখন সুযোগ। নিজের ভিডিও ব্লগ বা ভ্লগ তৈরি করে তাতে দর্শক টানতে পারলেই বিশাল ইনকাম।
আরও পড়ুন: