TechJano

ইউনিসেফ হেডকোয়ার্টার ও ইউনিসেফ ECARO -র সাথে দেশিয় সফটওয়্যার কোম্পানির চুক্তি স্বাক্ষর

বাংলাদেশী সফটওয়্যার কোম্পানি রাইজআপ ল্যাবস ইউ-রিপোর্ট মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনটি ডিজাইন ও ডেভেলপ করার চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। চুক্তিটি স্বাক্ষর হয়েছে ইউনিসেফ হেডকোয়ার্টার (নিউ ইয়র্ক) এবং ইউনিসেফ ECARO -র (সুইজারল্যান্ড) সাথে। এই অ্যাপ্লিকেশটি তৈরী করার জন্য রাইজআপ ল্যাবস সরাসরি কাজ করবে ইউনিসেফ গ্লোবাল ইউ-রিপোর্ট টিম, ইউনিসেফ লাতিন আমেরিকা এবং ক্যারিবিয়ান অফিসের সাথে। এছাড়াও এতে যুক্ত হবেন ইউরোপ এবং মধ্য এশিয়ার ইউনিসেফ অফিসের সদস্যরা। ডেভেলপমেন্ট শেষে ৫ বছর পর্যন্ত সাপোর্ট এবং মেইনটেইন করার প্ল্যান ও এর মধ্যে যুক্ত।

প্রথম অ্যাপ্লিকেশনটির উদ্দেশ্য ইউ-রিপোর্ট OTM R4V বাস্তবায়নকারী দেশগুলিকে সাপোর্ট দেয়া। বিশেষ করে বলিভিয়া, ব্রাজিল এবং ইকুয়েডরকে । এর মাধ্যমে আরো বেশি কিশোর-কিশোরী ও যুবক-যুবতীদের কাছে পৌঁছানো এবং তাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন করাই এর প্রধান কাজ। দ্বিতীয় অ্যাপ্লিকেশনটি মূলত বিশ্বের সব ইউ-রিপোর্ট প্রোগ্রামগুলিকে সমর্থন করার জন্য তৈরী। আধুনিক অবকাঠামো ব্যবহার করে একটি স্বাধীন অনলাইন ভিত্তিক ইউ-রিপোর্ট ইউজার ইন্টারফেস তৈরী করা এর অন্যতম লক্ষ্য।

বিভিন্ন বিষয়ে তরুণদের-তরুণীদের মতামত গ্রহণের জন্য ইউনিসেফের একটি উদ্যোগী প্লাটফর্ম হচ্ছে এই ইউ-রিপোর্ট। বিশ্বের ৭৬ টি দেশ থেকে ১ কোটি ৪০ লক্ষ এর বেশি তরুণ-তরুণী প্লাটফর্মটিতে অংশগ্রহণ করে মতামত প্রদর্শনের জন্য, তাদেরকে বলা হয়ে থাকে ইউ-রিপোর্টার্স। নতুন প্রজন্মের একটি সঠিক কমিউনিটি তৈরী করা এবং প্রত্যেককে একজন ভালো নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলাই ইউনিসেফ এর এই প্লাটফর্মটির মূল উদ্দেশ্য। এই আপটির মূল শক্তি তার ডিজিটাল পদ্ধতি। এসএমএস, বিভিন্ন মেসেজ এবং পোলস এ অংশগ্রহণ করার মাধ্যমে কমিউনিটিগুলো প্রতিনিয়ত উপকৃত হচ্ছে। এটি এমন একটি শক্তি যার মাধ্যমে নাগরিক তাদের কথা দেশ এবং দেশের বাইরে সবার কাছে প্রতিনিয়ত পৌঁছাতে পারছে। ইউ-রিপোর্টাররা এসব জ্ঞান এর মাধ্যমেই তাদের এলাকাভিত্তিক সমস্যাগুলোর সমাধান আনতে পারছে ।

রাইজআপ ল্যাবস ইউনিসেফ বাংলাদেশের একটি দীর্ঘমেয়াদী চুক্তি-র পার্টনার। এছাড়া, আইটি কোম্পানিটি ২০২০ সালে তাদের প্রথম ইউ-রিপোর্ট অ্যাপ্লিকেশনটি তৈরি করে বাংলাদেশের কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পের কিশোর-কিশোরী এবং তরুণ-তরুণীদের প্রয়োজনে। এক প্রশ্ন-উত্তর পর্বে রাইজআপ ল্যাবসের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও এরশাদুল হক বলেছেন, বাংলাদেশে ইউ-রিপোর্ট অ্যাপ্লিকেশনটির সফলতা তাদের ইউনিসেফ গ্লোবাল এবং অন্যান্য আঞ্চলিক অফিসগুলির কাছে পরিচিতি পেতে সাহায্য করেছে। এতে করে তারা বিশ্বের দাবি বুঝতে এবং পূর্ণ করতে উৎসাহ পেয়েছে।

রাইজআপ ল্যাবস এশিয়া থেকে একমাত্র কোম্পানি যেটি আফ্রিকা এবং লাতিন আমেরিকা থেকে অন্যান্য কয়েকটি সংস্থার সাথে ইউনিসেফের জন্য ইউ-রিপোর্ট প্ল্যাটফর্মে কাজ করছে। বাংলাদেশের স্থানীয় সফটওয়্যার কোম্পানিগুলো আন্তর্জাতিক ইউএন সংস্থাগুলির সাথে কাজ করার আরও সুযোগ পেয়ে যাচ্ছে। বিশ্বের আইটি শিল্পে তাদের শক্ত অবস্থান রয়েছে। সেজন্য আইটি ইন্ডাস্ট্রিতে শুধুমাত্র কাজের ধৈর্য এবং শৃঙ্খলা দরকার। কাজের ভাল মানের সাথে, বাংলাদেশের আইটি শিল্প খুব দ্রুত বাড়তে পারবে।

Exit mobile version